আবার যখন কলেজে পড়ি তখন মুক্তি পেল জেমস বন্ডের নতুন সিনেমা দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ । সিনেমাটি যেদিন মুক্তি পেল সেদিনই ঠিক করলাম দেখতেই হবে । সেই মত হলে প্রথম দিন প্রথম শোর সময়ে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলাম প্রচন্ড ভিড় কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার কোন উপায় নেই । তাই বাধ্য হয়ে ব্ল্যাকেই কাটলাম । তারপর হলে ঢুকে যখন সিটে বসলাম তখন দেখলাম যে পর্দার সামনে একদম প্রথম সারিতে আমার সিট পড়েছে । জীবনে সেই প্রথম একেবারে সামনের সারিতে বসে সিনেমা দেখা । সিনেমা দেখতে গিয়ে তো ঘাড়ের অবস্থা খারাপ । যাই হোক ওই অবস্থাতেই বসে কোনরকমে সিনেমাটা দেখলাম ।
তারও পরে কম্পিউটার কেনার পর সিডিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু একটি জেমস বন্ডর সিনেমা দেখেছিলাম । যেমন অন হার ম্যাজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিস, লিভিং ডে লাইট প্রভৃতি ।
তারপর একে একে সিডি ডিভিডি এবং ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা ডিআইভিএক্স ফাইলের দৌলতে প্রায় সবকটি জেমস বন্ডের সিনেমাই দেখা হয়েছে । ১৯৬২ সালের ড. নো থেকে আরম্ভ করে হালের ডাই অ্যানাদার ডে অবধি । একেবার নতুন সিনেমা ক্যাসিনো রয়াল এখনও দেখা হয়নি তবে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি দেখার সুযোগ হবে ।
প্রথম দিকে জেমস বন্ডের সিনেমা দেখার পর অদ্ভুত লাগত যে এত গাঁজাখুরি ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে । জেমস বন্ডের অবিশ্বাস্য রকমের লাক । যেকোন রকমের বিপদ থেকেই সে যেকোন ভাবে বেরিয়ে আসতে পারে । তারপর নানা রকমের আশ্চর্য রকমের গাড়ি সাবমেরিন আর বিভিন্ন হাইটেক যন্ত্র । পরে বুঝতে পারলাম জেমস বন্ডের জনপ্রিয়তার কারণই হচ্ছে এই গাঁজাখুরি ঘটনা গুলো । তখন থেকেই জেমস বন্ডের সিনেমাগুলি উপভোগ করতে আরম্ভ করলাম ।
চল্লিশ বছরেরও বেশী সময় ধরে জেমস বন্ড ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে । প্রত্যেক সিনেমায় গড়ে দুটি করে মহিলাকে সে শয্যাসঙ্গিনী করতে সক্ষম হয়েছে । মানে একুশটি সিনেমায় তাকে চল্লিশ জনেরও বেশী মহিলার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করতে দেখা গেছে । প্রত্যেক সিনেমায় বহু বার তার কানের পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে গেছে অথবা আততায়ী তাকে হাতের মুঠোও পেয়েও হত্যা করতে ইতস্তত করেছে তার ফলে বন্ড যেভাবেই হোক বেঁচে পালিয়েছে । মানুষ ছাড়াও হাঙর, সাপ, বাঘ, বিছে, কুমীর প্র
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০