গত ১ তারিখ রাতে কখন ঘুমায়ছি মনে নেই। ভোর বেলা খুলনায় যেতে হবে, তাই ভোর সারে পাচটার সময় উঠে গেলাম মজমপুর গেটে। যেয়ে শুনি খুলনার বাস এখন আর মজমপুর গেট থেকে ছাড়ে না!!!
হায় আল্লা এখন কি করব?? আমারত ১০টার মধ্যে খুলনায় পৌছাতেই হবে। তারাতাড়ি কোন ভ্যান রিকশা বা অটো খুজতে লাগলাম, চৌড়হাস যাবার জন্য। কিন্তু কিছুই পায় না। সে সময় দেখি পাশ দিয়ে খুব আস্তে আস্তে একটা মাইক্রোবাস যাচ্ছে। তো আমার ভাব দেখে ড্রাইভার ভাই বললেন কোথায় যাবেন ? আমি বললাম চৌড়হাস যাবো, নিয়ে যাওয়া যাবে। তিনি বললেন আসেন। ভিতরে যাবার পর শুণলাম রাজশাহী থেকে তিনি বিরক্তিকর ভাবে একা একা আসছেন । কোথায় যাবেন জিজ্গাসা করায় বললেন খুলনায় যাবেন ।এরপর আমিও খুলনায় যাবো শুনে বললেন- তাইলে চলেন আমার সাথে।
আমরা খুলনার পথে রওনা দিলাম, যেতে যেতে শেখ পাড়াতে নাসতা করার জন্য নামলাম, পথে আরো কিছু যাত্রী ওঠা নামা করতে সময় নষ্ট করলাম। তার পরও আমি নিশ্চিত নয়টা থেকে সারে নয়টার মধ্যেই আমরা খুলনায় পৌছাতে পারব। কিন্তু যশোর পার হবার পরই গাড়ীর ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে লাগল। শেষে এভাবে প্রায় ৪০/৫০ মিনিট সময় নষ্ট করার পর আমি মাইক্রোর আশা ত্যাগ করে বাসে করে খুলনায় গেলাম। যেতে যেতে অবশ্য এক জায়গায় কি যেন এক গন্ডগোলের ফলাফল হিসাবে একটা ইট আমাদের বাসের সামনের কাচ ফাটিয়ে দিল। সেখানেও কিছুটা সময় নষ্ট হলো । যায় হোক, দশটার দিকে আমি খুলনায় পৌছালাম।
আমতলার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ভবনে পৌছাতে পৌছাতে পৌনে এগারোটা বেজে গেল। ওখানে গিয়ে অবশ্য বেশ ভালভাবেই সময়টা কাটল। কারন গিয়ে দেখি আমার অতি প্রিয় রাসেল ভেড়া বসে আছে। এর পর বিসিসির কাজ শেষ করে রাসেলদের বিদায় দিয়ে খুলনা শহরটা ঘুরে দেখে তিনটার সময় গেলাম অনুবর্তনের অফিসে। ওখানে নিয়ামুল ভায়ের সাথে দেখা করে এবং তার কাছ থেকে বেশ কিছু সুন্দর ও দরকারী জুমলার থিম উপহার নিয়ে গল্প করার সময় ফোন দিলেন, মাত্র কয়েক দিনেই আমার অনেক আপন মনে হওয়া প্রাণঅন এর রোমেল ভাই। রোমেল ভায়ের সাথে দেখা করলাম, তিনি আমাকে মজার মজার মিষ্টি খাওয়ালেন(তবে আগেই পেট ভর্তি থাকায়, খুব বেশি একটা খেতে পারিনি)।
এরপর রোমেল ভাই সেদিন রাতে তার ওখানে থেকে যেতে বললেন । তিনি বললেন এখন কুষ্টিয়া যাবার বাস নাও পেতে পার। কিন্তু তথন মাত্র সারে চারটা বাজে। আমি বললাম না আমি অবশ্যই বাস পাব। তিনি বললেন গড়াই সার্ভিসের বাসের শেষটা ছাড়ার সময় এখনই। তবে বি আর টি সির বাস পাওয়া যাবে যেটা নিউ মার্কেট থেকে ছাড়ে। আমি নিউমার্কেটে গিয়ে শুনলাম বি আর টি সির বাস ছাড়বে সারে ছয়টায়, তাই ভাবলাম আগে অন্য কোন বাসে যশোর যাবো। সকাল বেলাতে যশোরের কাছাকাছি যেখানে বিভিন্ন প্রকারের মাছের পোনা বিক্রি হওয়া দেখে নামতে ইচ্ছা করছিল, ভাবলাম ঐখানেই যেয়ে কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করে বি আর টি সির বাসে বাড়ী ফিরব। কিন্তু যশোর আসতে আসতে সন্ধা হয়ে গেল। শুনলাম এখন নাকি আর মাছের পোনা দেখা যাবে না। কি আর করা। যশোরের মাইক পট্টিটে কারের কোন ভাল সাউন্ড সিস্টেম পাওয়া যায় কিনা খুজতে গেলাম, পছন্দমত কিছু পেলাম না। মনিহার না কি মোড়ে এসে শুনলাম বি আর টি সি চলে গেছে। কুষ্টিয়ার বাস খুজতে ছিলাম একটা কাউন্টার থেকে আমাকে কুষ্টিয়ার বাসের টিকেট দিল।তখনই আমি কিছুটা বুঝতে পারছিলাম এই বাসটা বোধহয় কুষ্টিয়া পর্যন্ত যাবে না, ঝিনাইদহ থেকে অন্য বাসে তুলে দেবে। একথা জানাতেই কাউন্টারের লোকটি বললো- ভাই সেটা নিয়ে আপনার চিন্তা করা লাগবে না। ঝিনাইদহতে আমাদের বাসের যাত্রি নেয়ার জন্য কুষ্টিয়ার শেষ বাসটা অপেক্ষা করে।
তার কথায় ভরসা করে ঝিনাইদহ এসে দেখি কোন বাস নেই। কি আর করা বাড়তি টাকা ফেরত নিলাম আর শুনলাম কিছুদুর গিয়েই একটা মোর থেকে ঢাকার থেকে আসা কুষ্টিয়ার বাস পাওয়া যাবে। তবে ঐ মোরে যাবারও কোন যানবাহন পেলাম না। অগত্যা হাটতে শুরু করলাম ভাবলাম কিছু না পেলে হেটে হেটেই বাড়ী যাব, এর আগে আমি একটানা প্রায় ৩০ কি. মি. পর্যন্ত প্রায় অনায়াসে হেটেছি । কিছুদূর এসে দেখি মোটা মুটি ফাকা রাস্তায় তিন চারটা কার দাড়িয়ে আছে, আর রাস্তার একপাশে ছয় সাত জন, আর এক পাশে দুই জন গল্প করছে।
আমি দুই জনের কাছে কোথায় যাবেন জানতে চাইলে বলল, কোথায় যাব ঠিক নেই। আজ সারা রাত ঘুরব, এই যেমন এখন কুষ্টিয়া থেকে আসলাম। আবার কোথায় যাব জানি না। আমি বললাম তো কে জানে? কোথায় যাবেন ? তারা বলল ভাই ঐ পাশে একজন মাসে ১৮ লাখ টাকা বেতন পায়, সে জানে। বাংলাদেশে কাওকে দেখছেন? মাসে ১৮ লাখ টাকা বেতন পেতে? আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম বাংলাদেশে মাসে ১৮ লাখ টাকা বেতন পাই, এমন কাওকে দেখেছি নাকি??? আমার চিন্তাটা একটু সহজ করার জন্য জিজ্ঞাসা করলাম উনি কি দেশে থেকেই ১৮ লাখ টাকা বেতন পায়, নাকি বিদেশে। বিদেশে হলে ঠিক আছে। তখন লোকদুইটা বলল আরে ভাই বিদেশ না বাংলাদেশের রবি চেনেন মোবাইলফোন রবি। তখন আমার প্রথমেই মনে হলো রবির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বসুর কথা । ঐ পারে গিয়ে দেখি আরে আমার বন্ধু (ফেসবুক ফ্রেন্ড) বিদ্যুৎ কুমার বসু দ্বাড়ীয়ে । তাকে দেখে প্রথমেই আমার বলতে ইচ্ছা করলো আচ্ছা ইন্ডিয়াতে রবির ডোকোমোওত মাত্র ৯৫রুপিতে ৪জিবি মোবাইল ইন্টারনেট দেওয়া শুরু করেছে। আমাদের দেশে কি এমন অফার দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না ?? যদি সম্ভব হতো, তবে কিছুদিন পরেই, যখন আমরা আমাদের প্রযুক্তিতে কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে হাটে হাটে তথ্য ও প্রযুক্তি ফেরি করে বেড়ানো শুরু করব । তখন আপনাদের বরি সিমও আমরা ফেরি করে বেড়াতাম । এবং আপনি নিশ্চিত থাকেন মিথিলার হাসি দেখে রবির যে কয়টা সিম বেশি বিক্রি হয়েছে, এই সহজ ইন্টারনেট সিমের জন্য গ্রামের সহজ সরল কিশোরের হাসি দেখে আরো অনেক অনেক বেশি সিম বিক্রি হত । আর তার অধিকাংশই সচল থাকত ।
এসব হিজিবিজি কথা না বলে আমি বললাম- আপনারা কি এখন কুষ্টিয়াতে যাবেন ? তিনি বললেন- তারা এখন খুলনা যেতে চাচ্ছেন, এর পর আমি জানালাম আমার আপু পর পর দুইমাসে বরির বেস্ট এমপ্লয় হইছে, সাথে আমার বাস না পাবার কথাও বললাম। তিনি বললেন, তাইলেত তোমার আপুর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতে হবে, তুমি আসলেই তার ভাই কিনা । তিনি আপুর সাথে কথা বলে বললেন, তাইলে একটা কাজ করি, আমরা যেহেতু খুলনায় যাচ্ছি । তাই তুমি আমাদের সাথে আজকে রাত্রে থাকতে পার, কিমবা আমরা একটা গাড়ীতে করে তোমাকে বাড়ী পৌছানোর ব্যবস্থা করতে পারি। তো তিনি তার গাড়ী বহর থেকে একটা গাড়ীতে করে আমাকে বাড়ীতে পৌছানোর ব্যবস্থা করতে বললেন । আমি এক জনের সাথে রাস্তার অপর পারে আসলাম কিন্তু তখন মনে হল। এই আমার সাথের লোকটা যার উপর আমাকে বাড়ীতে পৌছানোর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেওয়া । সে মুখে কিছু না বললেও আমার উপর যে প্রচন্ড ক্ষেপবে এটাই স্বাভাবিক । কারণ সে তার বসের সাথে রাত্রে ঘুরতে বেড়িয়েচে মজার একটা সময় কাটানোর জন্য, আর আমি তার মজার সময় নষ্ট করব । তাই একটু দূরে গিয়েই আমি তাকে বললাম । ভাই আমি এখান থেকে অবশ্যই কোন বাস পাব , আপনার আর যাওয়ার দরকার নেয় । সে বলল না স্যার আপনাকে পৌছানোর ব্যাবস্থা করতে বলেছেন । আমি বললাম নারে ভাই, আমার কোন সমস্যা নেই, আমার ট্রাকে যাবারও অভ্যাস আছে , আর এখান থেকে অহরহ ঢাকার বাস পাওয়া যাবে । তাই আমি তাকে বিদায় দিয়ে বাসের জন্য দুই তিন মিনিট অপেক্ষা করে আস্থে আস্থে হাটা শুরু করলাম। যেতে যেতে এক জায়গা থেকে খেজুর কিনলাম। এর পর সেমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, হেটেই কুষ্টিয়া যাবো । আমি হাটছি হাটছি...
১৫/২০ কি. মি. আশার পর হাইওয়ে টহল পুলিশের সাথে দেখা হল। এত রাতে একা কোথায় যাচ্ছি জিঙ্গাসা করলে বললাম কুষ্টিয়া। তারা বললো পায়ে হেটে ? আমি বললাম হ্যা পায়ে হেটেই যাবার ইচ্ছা । যশোর থেকে কুষ্টিয়া যাবে বলে একটা বাস তুলেছিল, কিন্তু সেটা ছিল ঝিনাইদহের বাস । আর তিন চারটা ট্রাককেও বলেছি, ডাকাত সন্দেহে কেও নিতে চাইনি । আর এখন কোন গাড়ীতে যাবার ইচ্ছাও নেয় । হেটেই যেতে ইচ্ছা করছে । তারা বলল পাগল নাকি? আমি বললাম হলেওত নিজে বুঝতে পারব না । সবাইত কম বেশি পাগল , কেউ কি আর নিজে বোঝে ?? তখন তারা একটু রাগ করেই বলল- তাওত আপনি চাইলেই আর আপনাকে এভাবে একা একা এত রাতে হেটে যেতে দিতে পারি না। তাদের ভিতর একজন বলল একটা ট্রাক থামিয়ে এনাকে উঠিয়ে দাও । আমি বললাম আপনাদের যদি কোন বিশেষ সমস্যা থাকে, তাহলেত আমাকে গাড়ীতেই যেতে হবে । তবে আমার কাছে এই রাস্তা হেটে যাওয়া তেমন কোন ব্যাপার না। এর আগেও আমি ইবি থেকে কুষ্টিয়া অনায়াসে হেটে গেছি। কাজেই আপনারা যদি এখন আমাকে হেটে যাবার অনুমতি দিতেন, তাহলে খুবই খুশি হলাম। তারা জিঙ্গাসা করল কি করেন ।
আমি একটু ভেবেই বললাম গল্প লিখি । তাদের একজন বলল, বইয়ের নাম কি? আমি বললাম কোন বইত ছাপেনি, আমি লিখি ব্লগে বই লিখলেত পাঠকের ভাল লাগল, কি মন্দ লাগল, সেটা বোঝা যায় দুই তিন মাস বছর পর। ব্লগে একে বারে সঙ্গে সঙ্গে ফিটব্যাক পাওয়া যায়। (তাদেরকে অবশ্য বলি নি ব্লগে মানুষ ক্যাচাল ছাড়া লেখা ঠিক পড়তে চায় না । আমার লেখার পাঠক খুবই কম, বিখ্যাত না হতে পারলে মানুষ কোন কালেই লেখকের দাম দেয় না) ব্লগ ব্যাপারটাও যে কি সে বিষয়েও তাদেরকে হালকা বয়ান দেওয়া লাগল। শেষ মেষ তাদেরকে রাজি করাতে পারলাম । অবশ্য একজন আমাকে হালকা চেক করল, বললো হাতে কি? বললাম খেজুর । বলল পকেটে কি ? বললাম দুইটা মোবাইল সেট আর একটা এয়ারফোন । এক পর আমি আবার হাটতে শুরু করলাম। ২০ মিনিট পর তাদের সাথে আবার দেখা হয়ে ছিল । তবে সেবার তারা খালি পাশ দিয়ে গাড়ী নিয়ে গিয়ে কাছে এসে বলল যান । এর পর হাটতে হাটতে ইবি পার হলাম। হাইওয়ের পাশে অনেক ছোট ছোট দোকান খোলা ছিল। এক জায়গার এক নাইট গার্ড আমার কাছে ঝারি খেল । তারে যতবার কই আরে ভাই আমি এমনি এমনি হাটতে হাটতে যাচ্ছি, সে ততবারই ঝেরা করে আরে মিয়া দাড়ান!! এমনি এমনি মানে ?? যাই হোক বৃত্তি পারার কাছাকাছি এসে আমি একটা পেট্রোল পাম্প থেকে খেজুর দিয়ে সেহরি খেলাম। আর এর ভিতর বেশ কয়েকবারত বাসায় ফোন করে বলেছি আমি ঝিনাইদহ থেকে বাস পাচ্ছি না । যাই হোক ঐ প্রেট্রোল পাম্পের পাশের মুদি খানার বাশের চাঙ্গির উপর সোয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ব্যাকাত্যাড়া চাঙ্গির উপর শোয়াটা একেবারেই আরাম দায়ক ছিল না । আবার তখন আমার হেভি ডিউটি পা জোড়াও ছিল প্রচন্ড রকমের ক্লান্ত । তাই ওখানে ঘন্টা খানেক শুয়ে থাকলাম, কিন্তু কেন যেন ঘুম আসল না । তার পর হালকা সূর্য উঠলে আবার হাটা শুরু করলাম । এতক্ষন রাতের বেলা খুব কমই মাইলষ্টোন দেখা যাচ্ছিল এবার একটা মাইল ষ্টোন দেখলাম, এখনো ১৫ কিলোমিটার । আবার হাটি আর বসি । ভাবলাম আজ হেটেই বাড়ি যাব । অনেক দিনের ইচ্ছা আর শখ ছিল হেটে হেটে ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়া আসব । শখের দাম নাকি লাখ টাকা (এখন মুদ্রাস্ফিতির কারণে শখের দাম কোটিতে গিয়ে পৌছেছে কিনা জানি না ) আর মাত্র ১০/১৫ কিলোমিটারের জন্য লাখ অথবা কোটি টাকা মিস করার কোন ইচ্ছাই ছিল না । বটতৈল এর কাছে এসে বুঝলাম অবস্থা খুবই খারাপ, আজকে যদি রোজা রাখতে চাই । তাইলে জীবনে আর কোন রোজা রাখার সুযোগ নাও পেতে পারি । তাই পানি খেলাম, কোমল পানি খেলাম । রোজা না রাখতে পারায় অনেক রাখাপ লাগলেও শেষ পযন্ত প্রথম রোজাটা করা হলো না । যাক বৃত্তি পাড়া থেকে আমি হিসাব করেছিলাম আমি আটটা সারে আটটার দিকে কুষ্টিয়া পৌছাবো। কিন্তু শেষ মেষ ১০ টার দিকে বাড়ী এসে পৌছলাম।
বিরক্তি নিয়ে এতখানিক পড়ে যে ভাবছেন- ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়া হেটে এসে বিশাল কামায়ের কাম করেছ ?? ফাইজলামির আর জায়গা পাও না ??
তার উদ্দেশ্যবলছি - এটা কখনই কোন কামায়ের কাম ছিল না । এই ঘটনার ফলে মূলত আমার এক টাকাও কামায় হয়নি ঠিক তবে আমার বহু দিনের একটা শখ পূরণ হয়েছে । বিষয়টা আমার কাছে ভাল লেগেছে তাই শেয়ার করলাম । যেমন মুসার হিমালয়ের মাথায় উঠার বিষয়টাও আমার কাজে ছিল পুরোপুরি ফালতু একটা বিষয়। আর অকারণে দেশের ৩৫ থেকে ৪০লক্ষ টাকা নষ্ট করা ছাড়া কিছুই না । আর আমার মতে ঐ ঘটনার কামায় শাহ সিমেন্ট কয়েক বস্তা বেশি বিক্রি হওয়া এই আর কি । তবে সেটাওত কারো কারো জন্য বিশাল কোন ব্যাপার ছিল । যেমন এই ঘটনাটা আমার জন্য ।
ভ্রমন কাহিনীটা টিংকু ভাইতে উপহার দিলাম । কারণ সে আমাকে দেশের পথের একটা গেণ্জি উপহার দেবার শর্ত তাকে এটা উপহার দেওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৪