গ্রাম বাংলার খোঁজে কয়েকজন তরুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন তরূন, শিক্ষিত, সুশীল চৌকশ, কিন্তু গ্রাম বাংলা সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। গ্রাম বাংলা দেখেনি তারা কখনো, যদিও বইতে পড়েছে প্রচুর। তাদের হঠাৎ একদিন তাদের সখ হলো তারা গ্রাম বাংলা দেখবেন। গ্রাম বাংলা দেখার আশা নিয়ে তারা বেড়িয়ে পড়লো একদিন। ঢাকার উপকন্ঠে নতুন তৈরী একটি বিপনি বিতানের সামনে থেকে তারা পায়ে হেঁটে উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করলো। হেটে যেতে যতে গ্রামবাংলার অপরূপ রূপ তাদের সামনে তার সবুজ রূপ ধীরে ধীরে মেলে ধরতে শুরু করলো। পায়ে হাঁটা মেঠো পথ ধরে যেতে যেতে তারা গ্রাম দেখে মুগ্ধ হচ্চিল। পথের দু'পাশে সবুজ ধানক্ষেত, মাঝে মাঝে জলা ভূমি। জলার মাঝে সাদা বক দেখা যাচ্ছিল হঠাৎ হঠাৎ। পথের দু'পাশে ধানক্ষেত আর সাথে মৃদু মন্দ বাতাস। গ্রাম বাংলার রূপে তাদের মুগ্ধতা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। দূরে মাঝে মাঝে ঝোপঝাড় আর কিছু কিছু ঘর বাড়ি চোখে পড়ছিল। হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যাবার পর একটা খাল দেখে তরুনেরা খালে নেমে গেল। খালের পাশ দিয়ে আল পথ ধরে ধানক্ষেতের ভেতর ঢুকে গেল তারা। কিছুটা যাবার পর হঠাৎ একটা সাপ চলে গেল আল পথ পাড় হয়ে। ভয়ে তারা দৌড়ে আবার রাস্তায় উঠে এলো। সর্প দর্শন করার পরে তদের গ্রাম দেখার ইতি হলো। তারা আবার ফিরতি পথ ধরে বিশ্বদিদ্যালয়ে তাদের হোস্টেলে ফিরে এলো।
এই গল্প পড়ে যাদের মনে প্রশ্ন জাগবে যে এর অর্থ কী, তাদের জন্য...
গল্পের পাত্রদের একজন হলেন আজকের বিখ্যাত অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ,
গল্পের নতুন তৈরী বিপনি বিতান হলো আমাদের আজকের নিউ মার্কেট,
গল্পের মেঠোপথ হলো আজকের মিরপুর রোড ও গ্রীন রোড,
গল্পের সেই খাল ও সাপের ঘটনার স্থান হলো আজকের গ্রীন রোড ও পান্থপথের সংযোগ স্থল,
আর গল্পের সময়কাল হলো ১৯৫৫ খৃষ্টাব্দ।
গল্পটা কয়েকবছর আগে স্যারের মুখেই শোনা।