ছোটবেলায় পাখীর প্রতি খুব দুর্বল ছিলাম , সবাই কম বেশি থাকে । ছোটবেলায় দেখতাম পাড়ার ছেলেরা তখন পাখি খুন করার জন্য ২-৩ টাকা দিয়ে গুল্টি বানাতো । এটা এক প্রকার বন্দুক । গুল্টির জন্য আবার লাগত গুলি , অনেকেই কাঁচের গুলি ব্যবহার করত আবার যাদের কাঁচের গুলি কেনার মত টাকা থাকত না তারা মাঠ থেকে এটেল কাদামাটি আনত এবং সেগুলো কাঁচের গুলির আকৃতির করে বানাত । সেগুলো আবার রোদে শুকাত , ৪-৫ দিন ধরে । একসাথে অনেক বানাতো হাজার খানেক , কম বা বেশিও বানাত । এর পর আগুনে পুরাতো , আগুনে পুরালে ওই মাটির গুলি গুলো কাঁচের গুলির মত শক্ত হত , ভাঙা জেত না ।
আমার মা ওদের সাথে আমাকে মিশতে দিত না বেশি । বলত ওরা নাকি ঢুড্ডা , ওদের সাথে মিশতে নেই । আমি আবার মা জিজ্ঞাসা করতাম ; মা ঢুড্ডা মানে কি ?? মা ধমক দিয়ে বলত ' ঢুড্ডা মানে খারাপ , বুঝেছিস !!
ভোর হলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম । না, কাঁচা হলুদ রোদ্দুর গায়ে চড়িয়ে দিনটি কেমনে আসে শুধু তা দেখার জন্য নয়; ভোর হলেই আমাদের বাড়ির উপরে যে আকাশটুকু আছে, ঐ আকাশ দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে যেত । উড়ে উড়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে একদম নীল দিগন্তের আড়ালে হারিয়ে গেলে মনটা ভারি খারাপ হয়ে যেত । আমি হাত বারিয়ে ধরতে চাইতাম । পারতাম না, মন খারাপ হত । মনে মনে ভাবতাম ওই ঢুড্ডা ছেলে গুলো এই সুন্দর পাখি গুলোকে খুন করতে চাই কেন , তাদের সাথে পাখিদের কি কোন ঝগড়া হয়েছে !! আবার ভাবতাম নাহ , পাখিরা তো কথা বলতে পারেনা তাহলে ঝগড়া হবে কিসের ?
একদিন দেখি আমার চাচাত ভাই ওই গুল্টি বানিয়েছে । ও আমাকে দেখে লুকিয়ে ফেললো , আমি জিজ্ঞাসা করলাম ,
- কি লুকালি ?
- কিছু না ।
- না তুই কিছু আমাকে দেখে লুকিয়েছিস । আমাকে বল কি লুকিয়েছিস ?
- বললাম তো কিছু না ।
- আমাকে বল নইলে চাচিকে বলে দেব ।
- আচ্ছা বলছি , কিন্তু আগে বল কাউকে বলতে পারবি না ?
- আচ্ছা বলবনা এবার দেখা
- এই দেখ , এটা গুল্টি ; পাখি মারতে হয় ।
- তুই কি ঢুড্ডা হয়ে গিয়েছিস ? তোর কাছে গুল্টি কেন ? ( অবাক হয়ে )
- ঢুড্ডা হয়ে গিয়েছি মানে ? কিসের ঢুড্ডা ?
- মা বলেছে যারা পাখি খুন করে তারা হচ্ছে ঢুড্ডা । তুই পাখি মারবি কেন ? পাখির সাথে তোর ঝগড়া আছে কোন ?
- আরে তোর মা মিথ্যা বলেছে । পাখি মেরে পাখির মাংস খাবো ।
- কি বলছিস তুই , পাখির মাংস খাবি মানে ? (অবাক হয়ে)
- হ্যাঁ , পাখির মাংস অনেক মজা । বক,ঘুঘু ,পানকৌড়ি এদের মাংস , আহ!! কি সুসাধু ।
- দেখ এগুলো করিস না । ওরা কি কোন ক্ষতি করেছে ?
- তুই না খেলে না খাবি , আমি যাই । এখন পুবপাড়ার মাঠে বক মারতে যাবো । অনেক বক এসেছে । তুই জাবি ?
- না , তুই যা । মা বকবে ।
পাড়ার ছেলেরা বিকেলে খেলা করত , আর আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম । সন্ধ্যায় পাখিরা সবাই ঘরে ফিরে যেত । চারপাশে যখন নীরব হয়ে আসত তখন গুটি গুটি পায়ে আঁধারেরা চারপাশ ঘিরে ধরত আর ঠিক তখনই রূপকথার কোনো এক অন্ধ জাদুকর আকাশের সমস্ত গা ফুটো করে দিত, আর আমাদের বাড়ির উপর সেইসব তারকাগুলো আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকত, আমিও ।
আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল বাঁশঝার । অনেক পাখির বাসা সেখানে , বাচ্চা পাখি গুলো কিচিরমিচির করে ডাকত । আমার ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যেত যখন পাখি গুলো ছোটাছুটি করত এক গাছ থেকে আরেক গাছে । আমি চেয়ে তাদের খেলা দেখতাম । তখন আমার চোখে পড়ল দুই-তিন জন ছেলে ওই বাঁশঝারে ঢুকেছে । তখন দুপুর , পাখিরা বিশ্রাম নিচ্ছিল ।দেখলাম ওদের সবার হাতে গুল্টি , পাখিদের দিকে তাক করে আছে মারার জন্য । ওই ছেলেদের মধ্যে কেউ একজন চিৎকার করে বলল ; লেগেছে লেগেছে , ধর ধর উরে গেল । আমি সব দেখছি । ওরা দৌড়াতে দৌড়াতে একটা খরের মাচার কাছে গেল । বলছে , ঘুঘুটা এই মাচার নিচে ঢুকেছে , বের করতে হবে । আমি ঘুঘু নাম শুনে চমকে উঠলাম , কিছুক্ষণ আগেই মা ঘুঘু টা তাদের বাচ্চাদের খাওয়াছিল । একজন মাচার নিচে ঢোকার চেস্টা করছিল , কিন্তু পারছিল না । আমি ভাবছিলাম ওরা যেন পাখিটা কে না খুজে পায় । পেলে মেরে ফেলবে । ভাবতেই আমার খারাপ লাগছিল । যে ছেলেটা মাচার নিচে ঢুকতেছিল সে বের হয়ে বলল , 'আরে এটা একটা শালিক পাখি , এটা খাওয়া যাবে না ; চল যায় । ছেলে গুলো মাচার কাছ থেকে চলে গেল । মনে প্রশ্ন হল , পাখির মধ্যে আবার পার্থক্য আছে নাকি , যে ; এই পাখি খাওয়া যায় , ওই পাখি খাওয়া যায় না ।
আমি ঘর থেকে বের হয়ে ছুটে গেলাম ওই মাচার কাছে , ভেতরে ঢুকে পাখিটা বাচাতে চাইছিলাম । কিন্তু পাখিটা আমাকে শত্রু ভেবে আমাকে কামরাতে চাচ্ছিল , ওর ঠোঁট আর নখ দিয়ে আমাকে আঘাত করতে চাচ্ছিল । পাখি বোধ হয় বিপদের সময় সবাইকে শ্ত্রু ভাবে , বন্ধুকেউ । আমি চেস্টা করে পাখিটাকে উদ্ধার করে দৌড়ে বাড়িতে নিয়ে আসলাম । মা'র কাছে নিয়ে গেলাম , মা আমার হাতে পাখি দেখে অবাক হয়ে বলল ,
- তুই এটা কোথায় পেলি ?
- ওই ছেলে গুলো এই পাখিটা কে মেরে রেখে গেছে । এটা শালিক পাখি , খাওয়া যাবেনা বলে শুধু মেরেছে , নিয়ে যায় নি ।
- এটা শালিক পাখি না , এটা ময়না পাখি । দেখি আমার কাছে দে ।
আমি মা'র কাছে পাখিটা দিয়ে দিলাম । আমার হাতে দেখি রক্তে ভরে গেছে । মা হাত ধুতে বলল । পাখিটার ডানায় লেগেছিল গুল্টির গুলি । এই জন্য উড়তে পারছিল না । মা হলুদ আর আলাম্পুরি লতার পাতা বেটে পাখিটার ডানায় লাগিয়ে দিল , আর কিছু ভাত পাখিটার মুখে খাইয়ে দিল । এভাবে দুই-তিন দিন আমি আর মা ময়না পাখিটার অনেক যত্ন নিলাম । ময়না অনেক সুস্থ হয়ে উঠলো , কিন্তু উড়তে পারছে না । পাখিটা অচিরেই আমার খুব আপন হয়ে গেল । আমার সাথে ময়নার খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেল , আমি আর আকাশের দিকে চেয়ে থাকি না । শুধু ময়নাকে নিয়ে থাকতাম । আমি ওর নাম রাখলাম একটা ''মিতা'' । মিতা শব্দের অর্থ বন্ধু , ময়না আমার বন্ধু হয়ে গেল ।
একদিন দেখি বাবা একটা লোহার খাঁচা নিয়ে আসছে । আমার খাঁচা দেখে জিজ্ঞাসা করলাম ; বাবা খাঁচা কি করবে ? বাবা বলল ; ময়না পাখিটা খাঁচার মধ্যে বন্দি রাখবো । বাবার কথাটা শুনে আমার মন খারাপ হয়ে গেল । আমি মা-বাবা কে বললাম মিতা কে খাঁচায় রাখা হবে কেন ? উনারা বললেন 'কোথায় চলে যেতে পারে , আর চলে গেলে ওই বদমাইশ ছেলেদের কাছে পরলে মেরে ফেলবে । আমি বললাম , কোথায় যাবে না ও আমাকে ছেরে । আর ওকে যদি তোমরা বন্দি করে রাখো তাহলে আমাকেও ওই খাঁচার মধ্যে রাখতে হবে । উনারা আমার কোন কথায় শুনলেন না ।
খাঁচায় পুরে ময়নাটাকে যেদিন বারান্দায় ঝুলিয়ে দেওয়া হল সেদিন পাখিটাকে দেখে আমার ভীষণ কান্না পাচ্ছিল । মুখটা খাঁচার কাছে নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম- ঠোঁট গলার মালা চিক চিক কালো পাখা আর হলদেটে পা দুটি । খাঁচা থেকে বের হবার জন্য মিতা খাঁচার চারপাশে ছটফট করছে আর বারবার আমাকে তাকিয়ে দেখছে । আমি অসহায় এর মত শুধু ওকে দেখেই গেলাম ।
খাঁচায় সারাদিন বসে বসে পর্যবেক্ষণ করে কে কখন কী করছে । আর সুযোগ পেলেই খাঁচার মাঝে ফাঁক-ফোঁকর খুঁজতে থাকে বের হবার জন্য । আমি যখন ওর কাছে জেতাম তখন আরো বেশি ছটফট করত । একদিন সকালে আমি প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলাম । পেছন থেকে শুনতে পেলাম "শুভ সকাল! কই যাও ?" আমি এদিক সেদিক তাকিয়ে কাউকে দেখলাম না , আবার সেই সুর "শুভ সকাল! কই যাও ?" হ্যাঁ বুঝতে পারলাম এটা মিতা'ই বলেছে । ও মা! এতো দেখি চমত্কার কথা বলতে পারে ! ঠিক মানুষের বাচ্চার মতন । সকাল আর বিকেল নাই, খাঁচার পাশ দিয়ে কেউ গেলেই উনি নাকি সুরে বলে ওঠে কই যান ?? কই যান ?? বলে ।
প্রতিদিন সকাল বিকেল রাত- তিনবেলা রুটিন করে খাওয়াতাম । স্কুল থেকে ফিরেই চলে আসতাম খাঁচার দিকে । বসে গল্প করতাম অনেক ক্ষণ । আমার মিতা গল্প শোনা বাদ দিয়ে খালি খাঁচার লোহা কামড়াত আর ফাঁক পেলে আকাশের দিকে উঁকিঝুকি মারত । খাঁচাটা ঝাঁকি দিয়ে তারপর আদপ শেখাতে হত আমাকে । মাঝে মাঝে কিন্তু আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত ।
একদিন খুব করে ঝড় ওঠেছে । আমি মা-বাবা , বড় ভাই- বোন ঘরের ভেতরে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছি । বাইরে শো শো করে বাতাস আর বৃষ্টি বইছে । আমি আড্ডার মাঝখান থেকে আসতে করে ওঠে আসলাম । যাতে বৃষ্টির ফোঁটা ভেতরে এসে ঘরের ভেতরটা ভিজিয়ে দিতে না পারে সেই জন্য সবকটা জানালা বন্ধ । আমি ধীরে ধীরে কোনো এক জানালার কপাট ধীরে ধীরে খুলে কপাট দুটির মাঝে মাথা সেধিয়ে দিলাম যাতে ভেতরে আলো খুব একটা যেতে না পারে । বৃষ্টির কনাগুলো সিটকে এসে আমার সারা মুখ ভিজিয়ে দিচ্ছিল । কী ঠান্ডা! সারা শরীর শিরশিরিয়ে ওঠল । একটু দূরে একটা বরই গাছের সবকটা পাতা ভিজে একসাথে , গা বেয়ে বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে । কয়েকটা শালিক নিচু এক মগডালে একটার সাথে একটা গা সেধিয়ে বসে বসে ঝিমুচ্ছে । কী ভালোবাসা! মাঝখানের দুটো মনে হয়ে ওদের বাচ্চা । মা পাখিটি মাঝে মাঝেই ঠোঁট দিয়ে ওদের শরীর আচঁড়িয়ে দিচ্ছে । নিচে একটা অন্ধকার মতো ঝোঁপের মাঝখান থেকে হঠাত্ করে একটা টুনটুনি বের আসল । ঝোঁপটার মাঝে সবচেয়ে যে বড় গাছ আছে তার চিকন একটা ডালে বসে আঁতিপাতি করে কী যেন খুঁজছে । একটা ফড়িং ঠোঁটের ফাঁকে সেধিয়েই আবার ফুরুত্ করে ঝোঁপটার মাঝে হারিয়ে গেল । পাথিরা কী সুন্দর স্বাধীন! দুইটা ডানা আছে, যেখানে খুশি যখন ইচ্ছে উড়ে উড়ে যেতে পারে । আল্লায় কেন যে মানুষের দুইটা ডানা দিল না ।
এই যা! আমার মনে পড়ল আমার মিতার কথা , ও তো ঝরে ভিজে যাচ্ছে । বাইরে এখনো বাতাস আর বৃষ্টি । আমি ঘর থেকে বাইরে চেস্টা করেও বের হতে পারছিলাম না শুধু দেখছিলাম বাতাসে খাঁচাটা দুলছে । ময়নাটিও ভিজে গেছে । বের হবার জন্য খাঁচার চারপাশে ফাঁক খুঁজছে । ঠান্ডা বাতাস আর বৃষ্টির জন্য জানি না- খাঁচার তাঁরের উপর বসে থাকা পা দুটি তিরতির করে কাঁপছে । বেশ কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে আমি মিতার কাছে এগিয়ে গেলাম । ঠান্ডা বাতাসে মুহূর্তে সারা শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠল আমার । এতক্ষণ তাহলে বেচারি কেমনে ছিল এখানে ? কাছে যেতেই দুর্বল দৃষ্টি মেলে আমার দিকে তাকাল । চোখ দুটি ঘোলাটে হয়ে গেছে । আগে শরীরে চিকচিকে একটা ভাব ছিল- আজ কেমন যেন মলিন মলিন লাগছে ।
রাগ করেছিস আমার উপর ? কথা বলছিস না কেন ? খুব খিদে লাগছে ? বল ? আমার ঠিক মনেই ছিল না, সত্যি বিশ্বাস কর । এমনটি আর হবে না । কসম !!
বাড়িতে ওই দিন কি যেন একটা কাজে খুব ব্যস্ত ছিলাম । মিতার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম । মনে পড়তেই আঁতকে ওঠলাম । না খেতে পেরে বেচারি বোধহয় অনেক কাবু হয়ে গেছে । রাগ করে হয়ত আমার সাথে কথাই বলবে না । তা কেন করবে না রাগটা ? একটু যদি খেয়াল থাকত! ধ্যাত্! এরপর থেকে আমি যদি আর অবহেলা করছি তবে ... আমি মিতার কাছে ছুটে গেলাম মনে পড়তেই ।
খাঁচার একটি কোণে ঘুমিয়ে আছে মিতা । মিতা ! মিতা ! ঘুমিয়েছিস ?? কথা বল আমার সাথে । দেখ আমার আর এরকম হবে কখনো । কসম !
ময়না আর কথা বলে না কেন ? আর নড়ে না কেন ? আমার দিকে আর তাকায় না কেন ? লোমগুলো অমন ধুসর কেন ? আকাশে উড়ে যাবার জন্য আর ছটফট করছে না কেন ? উড়ে উড়ে দূর থেকে দূরে দিগন্তের নীলে আর হারিয়ে যাবে না ।
অতলান্তিকের মহাশুন্যতায় ডুবে গেলাম । যেন আমার মাঝে আমি নেই । প্রিয়জন মারা গেলে কাঁদতে নেই , কবর দিতে হয় । তা না হলে গুনাহ হয় । আমরা ভাইবোনেরা মিলে পাখিটিকে কবর দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম । বাড়ি থেকে একটু দূরে কবর খোড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।
এইখানে আমবাগান । ঘন পাতায় ঢেকে আছে আকাশ । ঝড়ে ঠান্ডা বাতাস আর বৃষ্টিতে ভিজবে না আমার পাখিটা । ঘাসগুলোও কী সবুজ । একটা পিঁপড়েও তো দেখছি না এখানে । মরে গেলে কবর দেবার পর শরীর নাকি পিঁপড়ে খায় ? বাবার কাছে শুনেছি । এইখানে পিঁপড়ে নাই, খেতে পারবে না । মাথার উপর সবুজ ঘাস তার উপর জোড়ায় জোড়ায় ঘন আমপাতা তারও উপরে নীল আকাশ- তাদের একদম নিচে আমার পাখিটা ।
- আমি আগে মাটি দেব । তুই পরে দিবি, বড় ভাইয়া বলল । বড় মানুষের আগে মাটি দিতে হয় । না হলে মিতার আত্মায় কষ্ট পাবে ।
থাক, আমি নাহয় পরেই মাটি দেই । তবু তুই শান্তি পাস... আর আমাকে মনে রাখিস মিতা ...