আমি অফিস থেকে ফিরে প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও সাইকেল রাইড করি। BDC এর ট্রায়ালে যাবার খুব ইচ্ছা। সময় সুযোগ হয়ে উঠে নাই এখন পর্যন্ত। তবে, একদিন হয়তো যাব তাই সপ্তায় ৩/৪ দিন লং রাইড এ যাবার চেষ্টা করি। লং রাইডে যেতে যেতে নিজে থেকে কিছু নিয়ম কানুন আয়ত্ব করেছি।
১। লং রাইডে যাবার আগে অবশ্যই সাইকেল ঠিক মতো পরীক্ষা করে নিতে হবে। মাঝ রাস্তায় সাইকেল বিকল হয়ে গেলে সেটা আপনাকে যথেষ্ঠ পরিমান ভোগান্তি উপহার দিবে।
২। অবশ্যই হেলমেট পড়তে হবে
৩। দীর্ঘ রাইডে ক্লান্তি এসে ভর করবেই হঠাৎ হঠাৎ। আমি করি কি, রাইডের সময় আশে পাশের দৃশ্য দেখা বাদ দিয়ে ধ্যনমগ্ন হয়ে প্যাডেল মারি। একটি নির্দিষ্ট গতি আর একটি নির্দিষ্ট ছন্দে প্যাডেল মারলে ক্লান্তি এসে ভর করে না। আশে পাশের দৃশ্যে মনোযোগ দিলে আপনি নির্দিষ্ট গতি আর ছন্দ ধরে রাখতে পারবেন না। অল্পতে হাফিয়ে উঠবেন।
৪। প্রথম প্রথম বেশি দূর যাবেন না। গেলেও দূরত্বটাকে ভাগ করে নিবেন। একটি নির্দিষ্ট পরিমান পথ অতিক্রম করার পর ব্রেক নিবেন। সে সময় আশে পাশের দৃশ্য মনোযোগ দিয়ে দেখবেন। সুন্দর পরিবেশের লোভে পড়ে ভুলেও কোথাও শুয়ে পড়বেন না। এতে আপনার লং রাইডে যাওয়ার সাধ মিটে যাবে।
৫। কখনো কারো সাথে পাল্লা দিয়ে প্যাডেল ঘুরাবেন না। আপনার নির্দিষ্ট গতি আর ছন্দে ছেদ পড়লে ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। যার সাথে রেস দিচ্ছেন সে হয়তো আশে পাশেই কোথাও যাবে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের এনার্জি নষ্ট করার মানে নেই। আজকে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি, আমাকে জনা দশেক ব্যাক্তি ওভারটেক করে চলে গেছে; তার মধ্যে ৪/৫ জন রাইডার গ্রাম বাংলার ফনিক্স সাইকেলের রাইডার ছিলো, ১ জন নারী রাইডারও ছিলেন। আমি যেহেতু অনেক দূর যাব তাই তাদের সাথে রেস করার কথা চিন্তায় আনিনি। সাইকেল এমন এক জিনিস আশে পাশে অন্য রাইডার চোখে পড়লেই প্রথম হবার জন্য প্যাডেল ঘুরতে শুরু করে মনের অজান্তেই। মনের এই সুপ্ত ইচ্ছাটা লং রাইডে দমন করতে হবে।
৬। সাথে অবশ্যই পানি/ সেলাইন নিয়ে যাবেন।
৭। ব্যস্ত রাস্তা এড়িয়ে নিরিবিলি রাস্তা ধরে ড্রাইভ করবেন।
সাইকেল এর দুনিয়ায় সবাইকে আমন্ত্রন জানাই। সাইকেল চালান, সুস্থ্য থাকুন, পরিবেশ দূষণ রোধ করুন এবং অবশ্যই ঢাকার যানজট কমাতে সাহায্য করুন!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৭