সময় আর অর্থ সাশ্রয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন শপিং। ভিড় ঠেলে দোকানে গিয়ে গলদঘর্ম হয়ে পণ্য বা সেবা নেয়ার বদলে মানুষ এখন অনলাইন শপিংয়েই বেশি আগ্রহী।
আরামে ঘরে বা অফিসে বসে পণ্য খুঁজে নেয়া থেকে শুরু করে ফ্রি ফোম ডেলিভারি এবং মাসিক কিস্তিসহ সশরীরে কেনাকাটার সব সুবিধাই একে একে যুক্ত হচ্ছে অনলাইন কেনাকাটায়।
এত সুবিধার পরেও সাম্প্রতিক কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রশ্ন থেকেই যায় অনলাইন শপিং নিরাপত্তা নিয়ে।
প্রযুক্তিনির্ভর এই সময়ে, যখন মানুষ কেনাকাটাসহ সবকিছুতেই কার্ডের উপর বেশী নির্ভরশীল, হ্যাকাররাও আপনার অর্থ হাতাতে ওত পেতে আছে সারাক্ষণ – তাই অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখুন নিচের সূত্রগুলো:
• অবিশ্বস্ত সাইট বা যেখানে-সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলবেন না, অনিয়মিত হলে গেস্ট হিসেবে পেমেন্ট দিন।
• কোনো ওয়েবসাইটেই আপনার বিল প্রদান সংক্রান্ত তথ্য ‘সেভ’ রাখবেন না।
• মূল্য পরিশোধের আগে যাচাই করে নিন এটি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বা নথিভুক্ত কি না?
• যোগাযোগের ঠিকানা বা ফোন নম্বর দেয়া আছে কি না - ভালো করে দেখে নিন।
• কোনো সাইটে প্রবেশের সময় যদি ব্রাউজার থেকে ‘ওয়ার্নিং’ দেখানো হয়, তবে জোর করে বা ‘অন মাই রিস্ক’ প্রবেশ করবেন না।
• অনলাইনেও কিছু কিনে কার্ডে দাম পরিশোধ করলে মোবাইলে এসএমএস আকারে স্টেটমেন্ট পাঠানো হয়। বিল সাইকেল পর্যন্ত এটি সংগ্রহ করা উচিত।
• অনলাইন কেনাকাটায় ডেবিটের বদলে ক্রেডিট ব্যবহার করা উচিত। এতে দাম পরিশোধ সংক্রান্ত কোনো ‘বিষয়’ বা ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ হলেও তুলনামূলক সহজে সুরাহা করা যায়।
• পাবলিক কম্পিউটার থেকে শপিং করবেন না, একান্তই নিজস্ব কম্পিউটার বা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে প্রয়োজনে মোবাইল ফোন থেকে অর্ডার প্লেস করুন।
• নিরাপদ অনলাইন শপিং/ট্রানজেকশনের জন্য অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে আপনার পিসির নিরাপত্তা প্রোগ্রামটি যেন অবশ্যই আপডেটেড হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩০