“এমন অফার দেখলে চোখ-তো কপালে উঠবেই” ব্যানার দেখে সত্যি ক্রেন দিয়ে টেনেও চোখ আর জায়গামতো ফেরত পাঠাতে পারিনি। একটি এন্টিভাইরাসের দাম দুই, চার-পাঁচশো থেকে এক হাজার হতে পারে; আর স্মার্টফোনের সর্বনিম্ন দাম আড়াই হাজার টাকা – ক্যামনে কী?
কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার কথা শুনেছি, যৌতুকপ্রথা দণ্ডনীয় জেনেও যিনি মেয়ের ‘বদনাম’ ঢাকতে সঙ্গে বাড়ি-গাড়ি অফার করেন জামাইকে; কিন্তু স্মার্টফোন ফ্রি দিয়ে এন্টিভাইরাস চালানো নতুন বৈকি! তবে কি ধরে নেবো প্রোডাক্ট দায়গ্রস্ত কোম্পানি?
১৮-২৪ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে অনুষ্ঠিত ‘সিটি আইটি ফেয়ার ২০১৬’তে এ অফার সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ায় পরে অবশ্য স্মার্টফোনের বদলে ফিচার ফোন দেয়া হয়। অফারটি এখনও চলছে এলিফেন্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সেন্টারের ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ২০১৬ (২০-২৫ জানুয়ারি) আসরে।
পানির বোতল কিনে ফ্রিজ মুফতে পাওয়ার এই ঝাকানাকা ‘অফার’ নেবেন কি না জানতে চেয়ে কেউ কেউ আমাদের প্রশ্ন করেছেন – তাদের জন্য আমাদের পরামর্শ এই যে সহজভাবে চিন্তা করে দেখলে ৩০০ টাকার একটি পণ্যে কেউ ৩০ টাকা দামের অন্য কিছু ‘ফ্রি’ দিলে তা বিশ্বাসযোগ্য ভেবে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না, কিন্তু ৩০০ টাকার জিনিসের সাথে ৯০০ টাকার জিনিস ফ্রি-টা কেমন যেন লাগছে।
বাজারে প্রচলিত তাদের পণ্যসমূহ নিয়ে পিসি স্লো করে দেয়া ছাড়া নেগেটিভ তেমন কোনো মার্কিং আমরা পাইনি (এন্টিভাইরাস টেস্ট ফলাফলে অন্যান্য মধ্যম মানের প্রোডাক্টের মতোই তাদের স্কোর)। এরপরেও, কেউ ব্যবহার করতে চাইলে পরিচিত কেউ এর লাইসেন্সড ভার্সন কিনে ব্যবহার করেন কি না, আর করলে তার পারফর্মেন্স কেমন – তা জেনে কেনার পরামর্শ রইলো।
যে কোনো বিষয়ে আপনার মতামত বা পরামর্শ জানাতে মন্তব্যের পাশাপাশি ফেসবুকে ‘টেক সমাধান’ পেজেও মেসেজ পাঠিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে।
আগের পোস্ট: http://www.somewhereinblog.net/blog/techshomadhan/30092438
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯