somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“বিখ্যাত ইরানীয়ান পরিচালক এবং তাদের চলচিত্র কর্মগুলো” - (২য় পর্ব )

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধন্যবাদ। এর আগের পোস্টে আমি মূলত মাজিদ মাজীদীর কাজের উপর যথাসাধ্য একটা ধারনা দেবার চেষ্টা করেছি। আজকের এই পোস্টে আমি ইরানের আরও দুজন শক্তিমান পরিচালক তথা বাহমান ঘোবাদীর ও আসগর ফারহাদি এবং তাদের কিছু উল্লেখযোগ্য চলচিত্র নিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছি।


বাহমান ঘোবাদী:

ইরান-ইরাক সীমান্তবর্তী ইরানীয়ান কুর্দিস্থান প্রদেশে ১৯৬৯ সালে বাহমান ঘোবাদীর জন্ম। ঘোবাদী ইরান ব্রডকাস্টিং কলেজ হতে ছবি পরিচালনার উপর পড়াশোনা করেন। তার Life In Fog নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্রটি ইরানে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। মূলত একজন সংখালঘু কুর্দি রক্তের বাহক হিসেবে বাহমান ঘোবাদী সবসময়ই চেয়েছেন ইরান-ইরাকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নানা উপজাতির অবহেলিত মানুষগুলোর সুখদুঃখের ছবিগুলো সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দি করতে। তার উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম হল-

• Caméra d'Or at the Cannes Film Festival
• Gold Plaque from the Chicago International Film Festival
• Glass Bear and Peace Film Award at the Berlin International Film Festival
• Golden Shell at the San Sebastian International Film Festival


Turtles Can Fly (2004)

IMDB রেটিং-7.9

এই ছবির প্রেক্ষাপট ইরাক-তুর্কি সিমান্তলগ্ন সংখালঘু কুর্দি রিফুজী ক্যাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর ইরাক হামলা প্রায় সমাগত। সাদ্দাম হোসেনের আসন্ন পতন নিয়ে অত্যাচারিত কুর্দিদের রিফুজী ক্যাম্প-এ তাই মিস্র প্রতিক্রিয়া। ইরাকি টিভি চ্যানেলে কোন সত্য সংবাদ পাওয়া যায়না। ক্যাম্পের একমাত্র ভরসা তাই ১৩ বছরের কিশোর বালক “সেটেলাইট”। এমন অদ্ভুত নামকরনের কারন, ক্যাম্পে বিদেশী টিভি চ্যানেলে প্রকৃত সংবাদ জানার জন্য ডিস অ্যানটেনা স্থাপন এবং ইংরেজি সংবাদের ভুল-চু্‌ল, উল্টা- পাল্টা অনুবাদ কেবল “সেটেলাইট”-ই পারে। এর পাশাপাশি সেটেলাইটের আরেকটি পরিচয় হল, সে ক্যাম্পের সব অনাথ শিশু-কিশোর, যাদের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটেনা তাদের নেতা। এইসব শিশু-কিশোরদের অনেকেরই স্থলমাইন-এ হাত-পা উড়ে গেছে। তারপরও তারা সেটেলাইটের নেত্রিত্তে স্থানীও কৃষকদের অনুরধের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আবাদি জমি থেকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্থলমাইন অপসারণ করে, সংগৃহীত এইসব স্থলমাইন পরবর্তীতে তারা কালো বাজারে বিক্রি করে। এই রিফুজী ক্যাম্পএর নতুন অতিথি তিন অনাথ ভাইবোন, যথা আগ্রিন (বলাবাহুল্য, সেটেলাইট এই মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়), তার পিঠেপিঠী দুহাত বিহীন কিন্তু ভবিষ্যৎ বানী বলার অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ভাই হেনগভ, এবং সর্বশেষ ৪-৫ বছরের অন্ধ ভাই রিগা। প্রকৃতপক্ষে রিগা তাদের ভাই নয় বরং এর আগের গ্রামে আগ্রিন যখন ইরাকি বাহিনীর সদস্যপদের দ্বারা গনধর্ষণের স্বীকার হয় তারই ফসল। প্রতিদিন আগ্রিন ভাবে এই রিগা নামক কলংকটিকে যদি পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়া যেত, নাকি নিজেই মরে যাবে? যাহোক, শেষপর্যন্ত সেটেলাইট কি তার ভালবাশার দেখা পেয়েছিল? আগ্রিন কি ভুলে যেতে পেরেছিল তার অতীত দিনের গ্লানি? কিংবা হেনগভ, রিগার মত শিশু-কিশোরদের গন্তব্য কোথায় গিয়ে মিশেছে?
অনেক বেশি লিখে ফেললাম এই মুভিটি নিয়ে। কি করব বলুন? আমার নিজেরও যে খুব প্রিয় মুভি এটি!
যারা এখনও এই “গ্রেট মাস্টার পিস” মুভিটি দেখেননি এবং যারা যুদ্ধের মুভি ভালবাসেন তাদের প্রতি অনুরধ, প্লীজ এই মুভিটি দেখে ফেলুন। তবে অবশ্যই “নিজ দায়িত্তে”, এই ছবিটি দেখে যখন আপনি কাঁদবেন তখন আমাকে দায়ী করতে পারবেননা।

টরেন্ট লিংকঃ
Click This Link)_XviD_[Eng_subs]


A Time for Drunken Horses (2000)

IMDB রেটিং- 7.5

অনাথ তিন কুর্দি শিশু-কিশোর- আইয়ুব, তার বোন এবং তাদের বিকলাঙ্গ ছোট ভাই মাদি যার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। পরিবারের বড় হিসেবে আইয়ুব-কে বেছে নিতে হয় ইরাক-ইরান সিমান্তে চোরাচালানের কাজ। গাধার পীঠে টায়ার বেঁধে তুশারময় সীমান্ত দিয়ে একদিন আইয়ুব, তার বোন এবং তাদের বিকলাঙ্গ ছোট ভাই যখন একদল চোরাচালানীদের সাথে সীমান্ত অতিক্রম করছিলো তখনি বাঁধে বিপত্তি। টের পেয়ে যায় সীমান্ত রক্ষীরা। কি লিখা ছিল তাদের ভাগ্যরেখায়? জানতে হলে দেখুন A Time for Drunken Horses।


টরেন্ট লিংকঃ

Click This Link


Marooned in Iraq (2002)

IMDB রেটিং- 6.9

হয়তো ভাবছেন রেটিংতো খুব বেশিনা তবুও কেন উল্লেখ করলাম? আচ্ছা, আপনাদের কি মনে আছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম একটি ডকুমেন্টরি ফিল্ম “মুক্তিরগান”-এর কথা? কেন যেন এই ছবিটি দেখে মুক্তিরগান-এর কথা মনে পড়ে গেল। তাই আর লোভ সামলাতে পারলাম না।
তখন ইরান-ইরাক যুদ্ধ চলছে। এরই মাঝে একদল ইরানীয়ান কুর্দি বাদক দল এক বিপদজনক অভিযানে নেমে পড়ে। আর তা হল, তাদের সাথের এক জাদুকরিকণ্ঠী শিল্পী যে কিনা সীমান্ত পার হয়ে ইরাকী কুর্দিস্থান-এ হারিয়ে গেছে তাকে খুঁজে বের করা। সত্যিই তাই, সংস্কৃতি কি কোন নির্দিষ্ট ভউগলিক পরিমণ্ডলে বেঁধে রাখা সম্ভব বলুন? সংস্কৃতি তো সার্বজনীন তাইনা?

টরেন্ট লিংকঃ
Click This Link)_[_Extra]



আসগর ফারহাদিঃ


১৯৭২ সালে ইরানের ইস্ফাহান প্রদেশে আসগর ফারহাদির জন্ম। তারপর পর্যায়ক্রমে থিয়েটারে গ্র্যাজুয়েট সহ নাট্যকলায় বিএ, এবং সর্বশেষ মঞ্চ নির্দেশনায় যথাক্রমে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় এবং তারবিয়াত মোদারেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। শুরুতে শর্ট ফিল্মে ও টিভি সিরিজ নিয়ে মনযোগী থাকলেও Dancing in the Dust ছবিটির মাধ্যমে চলচিত্র জগতে প্রথম পদার্পণ। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে তৈরি করে গেছেণ বক্তব্যধর্মী চলচিত্র আর যথারীতি তার সাফল্যও ঘরে তুলেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি হচ্ছে-

• Asia Pacific Film Festival (2003)
• Warsaw International Film Festival (2004)
• Berlin International Film Festival (2011)
• Golden Globe Awards (2012)
• Academy Awards (2012)
ইত্যাকার , ইত্যাকার ।



A Separation (2011)


IMDB রেটিং-8.5


নাদের এবং সিমিনের ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন। ১১ বছরের একমাত্র কন্যা তারমেহ এবং নাদের-এর আলঝাইমার রোগাক্রান্ত বাবা সহ তেহরান শহরে এই পরিবারটির বসবাস। সিমিনের একান্ত ইচ্ছা সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ভাবে চলে যাওয়া। সে চায়না এই পরিবেশের মধ্যে দিয়ে তাদের মেয়ে বেড়ে উঠুক। অন্যদিকে নাদের আপাতত তার বৃদ্ধ বাবা ভিন্ন অন্যকিছু ভাবতে নারাজ। ভাঙনের সূত্রপাত এখানেই। সিমিন বিবাহ বিচ্ছেদের চিন্তা ভাবণা শুরু করে এবং এর ফলশ্রুতিতে তার বাবা-মার কাছে চলে যায়। অপারগ নাদের তাই বৃদ্ধ বাবার দেখাশোনার্থে বাধ্য হয় রাজীয়া নামক একজন আয়া নিয়োগে। অনেকটা রগচটা রক্ষণশীল স্বামীকে না জানিয়েই ছোট মেয়েটিকে নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা রাজীয়া কাজ করতে আসত। যাহোক, কিছু টাকা চুরি যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজীয়াকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং বাসার সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামতে গিয়ে রাজীয়ার গর্ভপাত ঘটে। আদালতে নাদের দোষী সাব্যস্ত হয়। রাজীয়ার স্বামী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোটা অংকের অর্থ দাবী করে কিন্তু ধর্মভীরু রাজীয়া সন্দিহান যে এ ধরণের দাবী কটটুকু যৌক্তিক? বিপদের এই দিনে অবস্থা সামাল দিতে সিমিন আপাতত ফিরে আসে। শেষ দৃশে দেখা যায় বিবাহ বিচ্ছেদ আদালতের বাইরে নাদের ও সিমিন অপেক্ষমাণ আর ভেতরে অশ্রুসজল দ্বিধাবিভক্ত তারমেহ ঠিক বুঝতে পারেনা সে কার সাথে যাবে? বাবা না মা ?

টরেন্ট লিংকঃ
Click This Link




About Elly (2009)

IMDB রেটিং-8.0


তেহরানের মধ্যবিত্ত সমাজের একদল বন্ধুবান্ধব তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে চলে যায় সমুদ্রতীরে। তাদেরই একজন Sepideh তার কন্যার শিক্ষক এলি-কেও সাথে নিয়ে আসে। উদ্দেশ্য সদ্য বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া জার্মান ফেরত বন্ধু আহমেদ-এর সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে দেয়া। পরদিন সকালে দলের অন্যান্য মহিলারা যখন শহরে শপিং করতে চলে যায় তখন এলি জানায় যে তার মাকে হার্ট সার্জারির জন্য হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাকেও ফিরে যেতে হবে। কিন্তু বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য এলিকে রয়ে যেতে হয়। এরমাঝে একটি শিশু সাগরে পড়ে গেলে দলের পুরুষরা তাকে সাগর থেকে উদ্ধার করে। কিন্তু একি! এলি কোথায়? তবেকি সেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে যেয়ে সমুদ্রে হারিয়ে গেল নাকি মায়ের অপারেশনের জন্য ইতিমধ্যেই শহরে ফিরে গেছে? অজানা এক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয় পরিবার তিনটি। শেষ পর্যন্ত কি হল?

টরেন্ট লিংকঃ
Click This Link

“বিখ্যাত ইরানীয়ান পরিচালক এবং তাদের চলচিত্র কর্মগুলো” - (১ম পর্ব )- Click This Link

“বিখ্যাত ইরানীয়ান পরিচালক এবং তাদের চলচিত্র কর্মগুলো” - (৩য় পর্ব )
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১২
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×