আল্লাহর গজবের ঐতিহাসিক সাক্ষী ‘মৃত সাগর’ ...
এটাই সেই ঐতিহাসিক ‘মৃত সাগর’। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘ডেড সি’ (Dead Sea) এবং আরবিতে এটি ‘বাহরুল মায়্যিত’ নামে পরিচিত। প্রায় ২০ লাখ বছর আগে এ সাগরের উত্পত্তি।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, সমকামিতার মতো পাপকার্যে লিপ্ত হওয়ার কারণে সডম ও গোমাররাহ নামক লোকালয় মহান আল্লাহর হুকুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগের। ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানটি বর্তমানে ‘মৃত সাগর’। আল্লাহর নবী হজরত লুত (আ.)-এর বারবার সাবধানবাণী সত্ত্বেও সে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার অভ্যাস পরিত্যাগ করেনি। পৃথিবীর বুকে একমাত্র তারাই যৌন ক্ষুধা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে মহিলাদের বাদ দিয়ে পুরুষদের ওপর উপগত হতো। ফলে গজব হিসেবে আল্লাহ তায়ালা এ জনপদের ৪ লাখ জনগোষ্ঠীকে বাস্তু-ভিটাসহ বিধ্বস্ত করে দেন।
অবৈধ যৌন মিলন, অনৈতিক যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার মতো অমানবিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। মানবগোষ্ঠীকে অশ্লীলতা, জিনা, ব্যভিচার ও সমকামিতা থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন। বিশ্ব মানবতার ত্রাণকর্তা হজরত রাসুল করীম (সা.) কিশোর-বালকদের চেহারার দিকে কুদৃষ্টিতে না দেখার নির্দেশ প্রদান করেন, কারণ তাদের চেহারায় বেহেশতের হুরের দীপ্তি আছে। তিনি বলেন, ‘আমার উম্মতের ব্যাপারে যেটা সবচেয়ে বড় ভয় করি, তাহলো লুত সম্প্রদায়ের অনুরূপ পাপাচার। আমার উম্মতের মধ্যে কিছু লোক কওমে লুতের অপকর্মে লিপ্ত হবে। যখন এরূপ হতে থাকবে, দেখবে তখন তাদের ওপরও অনুরূপ আজাব অবতরণের অপেক্ষা করছে।’ লুত সম্প্রদায়ের মতো যারা সমকামিতায় লিপ্ত হবে তাদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, জিনা, ব্যভিচার, সমকামিতা ও মাদক গ্রহণের মতো ঘৃণিত ও অশ্লীল কাজের ধারেকাছেও না যাওয়ার জন্য ইসলামে রয়েছে কঠোর হুশিয়ারি। পাপাচার কেবল নিষিদ্ধই করা হয়নি, বরং যেসব বিষয় ব্যভিচারের দিকে প্রলুব্ধ করে, তা সবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় ইসলাম ধর্মে এগুলো গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। অপরাধ যেমন ঘৃণ্য, শাস্তিও তদ্রুপ কঠিন ও কঠোর।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫