চোখ থেকে সানগ্লাসটা দু আঙ্গুলে ধরে নামানোর সময় ধীর চোখে গ্লাসের দিকে তাকিয়ে রইল ছেলেটা। ২৫/২৬ বছর বয়স, সুন্দর মায়া মাখা একটা হাসি, অথচ চোখের দৃষ্টি কোথায় যেন হারিয়ে থাকে। অদ্ভুত এক অনুভূতি, যেন পৃথিবী তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়েও ব্যর্থ। গালের খোঁচা খোঁচা দাড়িতে সুদর্শন লাগছে, না কি উদাসীন, বলা মুশকিল। ধীরতার সাথে পরিস্থিতির কর্তৃত্ব নিয়ে ভরাট কন্ঠে বলে উঠে,
- আমার একটা ওয়ালথার পিপিকে লাগবে। দু’টো এক্সট্রা ম্যাগাজিন সহ।
- কী কাজে চাই?
কর্তৃত্ব ফেরত চাইলাম আমি। কিন্তু প্রশ্ন পাত্তা না দিয়েই,
- মোট খরচ কত আর ডেলিভারী কবে হবে বলে দিলে আমি এখুনি এডভান্স করে যেতে পারি, বাকী ডেলিভারীর সময়।
- আপনার কাজ হয়ত আমরাও করে দিতে পারি, সেক্ষেত্রে অহেতুক ঝুঁকি কেন নিতে চাচ্ছেন? তাছাড়া খরচও কম পড়বে।
- আমি জানতে চাই আপনি লাভের গূঢ কেন ছাড়তে চান।
- ধরা পড়লে আমার ব্যাবসার জন্য ঝুঁকি। তাছাড়া আমার অন্যান্য ক্লায়েন্টরা ব্যাপারটা পছন্দ করবেন না।
মৃদু হেসে বলল যুবক,
- দ্যান লেটস বি প্রোফেসনাল, আমরা ফিগার নিয়ে আলোচনা করি?
- হুম। ৭০% আপনি এখন দিয়ে যাবেন, বাকীটা ডেলিভারী দেবার ১ ঘন্টা আগে জানানো হবে কখন, কোথায়।
মনের ভিতর খচ খচ করতে লাগল। সাধারণ অর্ডার না এটা। এই ধরণের অস্ত্র প্রফেশনাল ছাড়া কেউ খোঁজ করে না। তাছাড়া, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের জন্য স্যারের সিগনেচার লাগবে। স্যার জিজ্ঞেস করলে কি বলব? এদিকে প্রশ্নের উত্তরের বদলে এগিয়ে দেয়া খামটা বেশ মোটা ছিল। বোঝাই যায়, মালদার পার্টি। টাকাটা দরকার, ছেলে ইদানীং বিদেশে পড়তে যাবার বায়না ধরেছে।
*****
লিফট দিয়ে নামতে নামতে বুক ভরে আরমানি কোডের ঘ্রাণ নিলো মায়েশা। পাশে ঝাড়া ৬ ফিট লম্বা, হ্যান্ডসাম হাংকটাকে আজকে ভার্সিটিতে আসতেই পাকড়াও করে নিলো। ওয়েলস ইউনিভার্সিটির গ্র্যাড, এখন দেশে ফিরে মায়েশার ভার্সিটিতেই ইভনিং এমবিএ করছে। পছন্দের টয় পেতে খুব একটা খুঁজতে হয় না তার, কিন্তু এই খেলনাটা ভালো লেগেছে। বাবাও কিছুদিন ধরে ঘ্যানর ঘ্যানর করছে বিয়ের জন্য। এটা হলে খারাপ হয় না। দেখতে, শুনতে ভালোই। কড়া ব্রিটিশ এক্সেন্টে বলেও ভালো!
জারিফের ফুল ফ্যামিলি ইংল্যান্ডে সেটেল্ড। সেটেল্ড বলতে সেখানে পড়তে গিয়ে পরে সবাইকে নিয়ে যায়। ওখানেই সবার হাসি খুশী বসতি। কিন্তু দেশে জন্ম, শৈশব-কৈশোর, বন্ধু, এদের মায়া ছাড়তে পারেনি জারিফ। দেশে ফিরে বন্ধুদের সাথে ব্যাবসা শুরু করেছে। বলে, ইংল্যান্ডে তো একটা সিকিউরড লাইফ আছেই, দেখি না দেশে কি করা যায়। লিফটের ডোর ওপেন হলে বাইরে পা বাড়াতে বাড়াতে জিজ্ঞেস করে মায়েশা,
- বলো কোথায় করবে লাঞ্চ।
- তোমার যেখানে খুশী, আফটার অল ইটস ইওর ট্রিট।
- ওকে, চলো আমরা পেরি-পেরি খাবো। দেখি, তুমি কতো ‘ব্রিটিশ’।
- নির্বাচিত শব্দের ওপর জোর প্রয়োগ ...
- হা হা হা। তোমার সাথে কথা বলে মজা আছে।
- সবাই পায় না।
- তাই? দেখা যাক।
*****
আজও বোধহয় দেখা হল না মেয়েটার সাথে। ধানমন্ডী ২৭ ধরে ডানে টার্ন নিচ্ছে সোহরাব ফয়েজ রহমানের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ এএমজি। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর খাস লোক তিনি। এক মেয়ে, এক ছেলে নিয়ে ছোট্ট সংসার। ব্যাক্তি রহমান সাহেবের সাথে মত বিরোধের কারণে স্ত্রী ছেলের সাথে কানাডা থাকেন। ছেলে তার ব্যাবসার আন্তর্জাতিক অংশ দেখা-শোনা করে। আন্তর্জাতিক পরিধিতে পৌছতে গিয়ে তিনি অনেক পরিধিই ভেঙ্গেছেন। তবে একটা কাজ করতে তিনি কখনো ভোলেননি, আর তা হল কম্পিটিশনকে হয় কিনে নাও, নয়তো এলিমিনেট করো। তারপরও একটা প্রবাদ ইদানীং খুব ভোগায় রহমান সাহেব কে, সেদিন নাতির সাথে কথা বলতে লং ডিস্ট্যান্স কল দিয়েছিলেন তিনি। নাতি বাংলা বলতে শিখেছে, দাদা কে শোনাচ্ছে,
“অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে,
তব ঘৃণা যেন তারে, তৃণসম দহে।“
তিনি নিশ্চিত এই কাজ তার স্ত্রী নাতিকে দিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে করিয়েছেন। তার স্ত্রীকে তিনি প্রথম দেখেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তখন বিকেলের পড়ন্ত আলো। কনে দেখা আলোয় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য্য এক চেহারায় এসে থমকে যাওয়ার রহস্য উদঘাটনে। পরিপূর্ণ গৃহিনী, সন্তানদের জন্য অসাধারণ মা, সর্বোপরি একজন পটিয়সী নারী পেলেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে একজন অর্ধাঙ্গিনী পান নি রহমান সাহেব। পৃথিবীতে যাই ঘটুক, তার ব্যাংক-ব্যালেন্সের উর্ধগতি থাকা চাই – এই দাবী তাকে সময়ের সাথে অনেকের প্রিয়, তার চেয়েও বেশী মানুষের অপ্রিয় করেছে। সংখ্যা গরিষ্ঠদের দলে তার স্ত্রীও যোগ দিয়েছেন। ছেলে যদিও কিছু কিছু জানে, তবে তা শুধু ব্যাবসার কারণেই। একমাত্র নিজেকে ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করার মতো মানুষ রহমান সাহেবের এই দুনিয়ায় নেই!
নিজের উপর নিজেরই আনমনে হেসে ফেললেন তিনি। দি গ্রেট রহমান সাহেব জীবনে সঙ্গী হিসেবে শুধু টাকা পেয়েছেন।
পার্টি সেন্টারটা চোখে পড়তেই আবার মেয়ের চেহারাটা ভেসে উঠলো। মেয়ের বিয়ের কথা ভাবতেই বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। মেয়েটা শ্বশুরবাড়িতে চলে যাবে, তারপর ... ??
*****
এএসপি কামরুল সাহেবের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। সকালে ডাকবাক্সে একটা সাদা পাতা পাওয়া গেছে, লেখা – “নিরাপত্তা ঝুঁকি। সাবধান!”। আজ সিআইপি রহমান সাহেবের একমাত্র মেয়ের বিয়ে। প্রতি ১০ মিনিটে একজন করে মন্ত্রী আসছেন। এইমাত্র বিরোধী দলীয় নেত্রী নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর রওনা দিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে রহমান সাহেবের ছেলে আদিত্য সাহেবের ফোন এসেছিল। তিনি জানতে চেয়েছেন কাউকে আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হয়েছে কি না। কামরুল সাহেব তাকে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন। বলেছেন, সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা বজায় থাকবে প্রধানমন্ত্রী লোকেশন ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত। তিনি শান্তা ওয়েস্টার্নের কনফারেন্স রুমে বসে অতিথিদের আসা যাওয়া দেখছেন সিসিটিভিতে। আশে-পাশের ১০ হাজার স্কয়ার ফিট যায়গার প্রতি ইঞ্চি লোকে লোকারণ্য।
বিন্দু বিন্দু ঘামের কারণ একটা ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট। কিছুদিন আগে এয়ারপোর্টে একটা পার্সোনাল ফায়ার আর্মসের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স হয়। এইসব জিনিস বড়লোকেরা শখের বশে আনায়। যারা ক্লিয়ারেন্স পেপারে সই করেন,তাদের মাল আটকানোর ক্ষমতা সামান্য অফিসারের নেই। ঝামেলা হয় যখন স্পেশাল ব্রাঞ্চ অস্ত্র ট্র্যাক করতে করতে শহরের ভিতরে ঢুকে ট্র্যাক হারিয়ে ফেলে। হয়তো দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই, হয়তো দুটো ঘটনা শুধুই বিচ্ছিন্ন, তবুও কামরুল সাহেবের কপালে কেন যে এই ঠান্ডা এসির মাঝেও ঘাম জমছে!
তার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে জানেন, এই ঘাম তাকে এক অলৌকিক গুণে জানান দিচ্ছে সামনে দূর্যোগ।
*****
সচিবালয় থেকে বেড়িয়ে রাস্তা কামড়ে, তুফান বেগে ছুটে চলল রহমান সাহেবের নতুন কেনা বিএমডব্লিউ এক্স ফাইভ। এইমাত্র সিঙ্গাপুরের সাথে ৯৫হাজার কোটি টাকার সাবমেরিন কেবল চুক্তি সই করলেন। আহ! এসির বাতাস যেন বসন্তের মৃদু হাওয়া। আবারও অর্থের জয় হল। এর বিনিময়ে মেয়ের কবুল বলার দৃশ্য খুব একটা চিন্তার খোরাক জোগাল না তার মনে। তাছাড়া, অনুষ্ঠান তো একটা বাহুল্য মাত্র। বিদায় হবার আগে মনে করে জারিফের বাবা-মা র সাথে দেখা করে নিলেই হবে।
এসব ভাবতে ভাবতে আফসানার বিদ্রুপ মাখা হাসি চোখে ভেসে উঠল রহমান সাহেবের। আফসানা বুঝলো না, তিনি এখন আর শুধু সুরাব নন, তিনি এখন – সোহরাব ফয়েজ রহমান ।
*****
“কাকে উদ্দেশ্য করে লিখবো বুঝতে পারছি না তাই সম্বোধন ছাড়াই শুরু করছি। আমি সোহরাব ফয়েজ রহমান, আপনাদের পরিচিত বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি, আমার জীবনের শেষ দিয়ে শুরু করছি এক নতুন অধ্যায়ের। এই নোটের সাথে যুক্ত সিডিতে রয়েছে বর্তমান সংসদ, প্রশাসন ও বেসরকারীভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িত সকল জনপ্রতিনিধি/সরকারী চাকুরে/ব্যাক্তির নাম, ঠিকানা, অপরাধের সকল নথি, তথ্য ও উপাত্ত।
প্রশ্ন উঠতে পারে আমি কেন হঠাত এমন সিদ্ধান্ত নিলাম? সিদ্ধান্ত নেবার পিছনে কারণ আছে বটে, কারণের চেয়ে বড় ঘটনা হল পাগলামো। সোহরাব নামের সামান্য একজন দ্রুত অসামান্য পরিণত হওয়া সমাজের বিশেষ ব্যাক্তির মাথায়ও মাঝে মাঝে পাগলামো চড়ে বসে। এটাও তেমন হতে পারে। যখন সামান্য ছিলাম তখন হুট করে একদিন বুঝে গেলাম অসামান্য হতে হলে টাকার কুমীর হতে হবে। যেহেতু আমাকে বিধাতা অন্য কোন ক্ষমতা দেননি,বুঝে গেলাম টাকা একমাত্র গতি। দ্রুত জীবন অর্থময় করতে গিয়ে কীটে পরিণত হলাম। সকাল বিকেল দুচার লিটার রক্তে আমার চোখের মণি একটুও দুর্বল হয় না। বেশীদিন এসব খুন খারাপী করতে হল না। দ্রুত টাকার কুমীর হলাম। আমার হয়ে কে কোথায় খুন করে সে খবর আমি রাখি না। আমার কোন ডিপার্টম্যান্ট রাখে তাও আমি জানিনা। আমি তখন বলতে গেলে কোন এক গ্রহের ঈশ্বরের মত। স্ত্রী কণ্যার হদীসও জানি জানিনার মাঝখানে। মাসে দুএকবার ডাইনিং টেবিলে দেখা হতো হয়ত। আমি জানতাম আমি টাকার কুমীর, আমার স্ত্রী টাকার কুমীরের পত্নী, আমার কণ্যার একটা টাকার কুমীর বাবা আছে!
কিন্তু হুট করে সব পাল্টে গেলো, প্রথমবারের মত বুঝলাম এই টাকার কুমীর আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে একা মানুষ। মানুষ অস্তিত্বহীন হয় ভিতরে ভিতরে, আমার অস্তিত্বহীনতায় আমি যেন আঁকড়ে ধরতে চাইলাম আমার মামণি মায়েশাকে। আমার অস্তিত্ব‘মায়েশা’ মণির বিদায়ক্ষণে একজন বাবা হিসেবে তাকে আমার যা দেয়া উচিত ছিল, তাই উপহার দিয়ে গেলাম। মাথা উঁচু করে বাবা বলতে পারার অধিকার।
শুভ বিদায়।“
চিঠিটা তিন ভাজ করে টেবিল ল্যাম্পের নিচে রেখে দিল জারিফ। তারপর লাইট নিভিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে আছে সে, আর অল্প কিছুক্ষণ।
*****
টলতে টলতে বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন রহমান সাহেব। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে আজ লিমিট মেনে খান নি। আজ একটু বেসামাল হওয়াই যায়। কেন যেন জারিফের বাবা-মা র চেহারা মাথায় ঘুরছে। খুব পরিচিত লাগছিল। তাদের দৃষ্টিতে কি ঘৃণা ছিল?
অবাক কান্ড! ঘৃণা কেন থাকবে? তাদের সুপুত্র দি গ্রেট সোহরাব সাহেবের কন্যার জামাতা হয়েছে আজ। এতো তাদের সাত জনমের ভাগ্য! হাত বাড়িয়ে টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালাতে সুইচ হাতড়াতে লাগলেন। হাতে একটা কাগজ ঠেকল। এটা আবার কী? লাইট জ্বালিয়ে পড়তে শুরু করলেন।
চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল তার। এসব কী লেখা এই চিঠিতে!
আরে! এতো তারই হাতের লেখা! হুবুহু!
ক্লিক শব্দে চমকে উঠে পিছে ফিরলেন। কালো গোল নল দেখে শীতল স্রোত বয়ে গেল তার শীড় দাঁড়া বেয়ে। নল বেয়ে চোখ তুলে তার পিলে চমকে উঠল। ধীর একটা চোখ চেয়ে আছে তার দিকে। তার নিচে সুন্দর মায়া মাখা একটা হাসি, অথচ চোখের দৃষ্টি কোথায় যেন হারিয়ে আছে!
ধীরতার সাথে পরিস্থিতির কর্তৃত্ব নিয়ে ভরাট কন্ঠে বলে উঠে যুবক,
- পিস্তলটা চিনতে পারছেন রহমান সাহেব, অথবা সুরাব? আপনিই এনে দিয়েছেন।
আর ধকল নিতে পারছেন না রহমান সাহেব। এই পিস্তলটাই তো সেদিন লোকমান ক্লিয়ার করে আনালো! বলছিল, আলম সাহেবের ছেলে জন্মদিন উপলক্ষে আনিয়েছে।
- কিন্তু এই চিঠি তুমি কোথায় পেলে?
- আপনার স্ত্রী রহমান সাহেব। ভাগ্য গুণে অতুলনীয়া একজন অর্ধাঙ্গিনী পেয়েছেন আপনি।
- আমাকে খুন করে তোমার লাভ?
- সত্যিকার অর্থে আমার কোন লাভ নেই, সত্যিকার অর্থে আপনার খুন হয়ে আপনারও কোন লাভ নেই। লাভ তাহলে কার? আমি আপনি ছাড়া বৃহত্তর যে জনগন তাদের!
- কে? কে ? কে তুমি? সাহস থাকলে পরিচয় দাও, কে?
ট্রিগারে আঙ্গুল চেপে বসতে বসতে বুলেটের রূপ নিয়ে উত্তর এলো,
- হতে পারে পরজন্মের একজন হিমাদ্রী, ত্বকী কিংবা সাগর-রুনীর মেঘ!