তোমাকে অনেক মিস করি। স্বপ্নে তুমি আজকাল প্রায় সময় হানা দাও। কখন বধুর বেশে, কখনোবা লজ্জাবতি লতার মতো প্রথম প্রেমের আবেশে হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার মানুষটি হয়ে। তোমার মনে আছে স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তোমার জন্য আমার দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা কোচিং ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তন্বীদের ওদিকে দেখা করা?
একদম ভালো লাগতোনা তোমার ওই হৃদয় উজাড় করা ভালবাসা। মনে হতো আদিখ্যেতা। আজ তুমি নেই, কিন্তু তোমার ভালবাসা প্রতিনিয়ত একবার করে স্মরণ করিয়ে দেয় আমার জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে থাকা। তোমাকে আমি ভালবাসতে চেয়েছিলাম - তোমার মতো করে। এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করি আমার জীবনে তোমার অনুপস্থিতির কারণ।
We never get a fair treatment out of life – তুমি আমাকে বুঝাতে; যখন আমি অদম্য ক্রোধে ফুঁসছি। আমি কখনো মেনে নিতে পারিনি তোমার এই সরলতা। কতোবার বুঝিয়েছি তোমায়, মানুষগুলো অনেক খারাপ। তুমি হাসতে, আমি আরো রেগে যেতাম। তখন তুমি তোমার কোমল ঠোঁটগুলো দিয়ে আমাকে বকা দিতে। বলতে – “উফ, একদম ছেলেমানুষ। বেশি রাগ, না?” আমি কিন্তু বুঝে যেতাম এরপর কি হবে। খুশিটা মনে চেপে রাখতাম, এর জন্যই তো এতো কিছু! দুহাত ঘাড়ে জড়িয়ে চুলগুলো আলতো করে খামচে ধরে তুমি আমার নাকে নাক ঘষে দিতে। জিজ্ঞেস করতে, “এখনো রাগ আছে?” আমি উত্তরে বলতাম, “তুমি আর রাগ কি কখনো একসাথে থাকতে পারে?” তুমি অনেক খুশি হতে।
সেদিন আমার জন্মদিন ছিলো। আমি ঠিক রাত ১২টায় তোমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তুমি উপর থেকে একটি গোলাপের তোড়া পাঠালে পিচ্চি বোনটিকে দিয়ে। গোলাপের তোড়া হাতে পাবার জন্য এক প্যাকেট Cadbury ঘুষ দিতে হলো। যখন বাসায় যাচ্ছিলাম তখন তুমি মৃদু বকা দিয়ে বললে, “আজ তো তোমার জন্মদিন। তুমি কেন আসলে।” আমি বিজ্ঞের মতো বললাম, “তুমি যে আসতে পারবেনা তাই!” তোমার মন খারাপ হয়ে গেলো, বললে, “এতোটা ভালবাসা কি আমার সহ্য হবে?” আমি তোমাকে সারা রাত বুঝিয়েছিলাম আমাদের জন্য কতটা সুন্দর সময় অপেক্ষা করছে।
তোমার ভয় জয় পেলো আমাদের ভালবাসার উপর। তোমার স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই নেই আজ আমার কাছে। মাঝে মাঝে টিভিতে যখন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন দেখি তখন ...। ০আজ আমার জন্মদিন। রাত ১২টা বাজে। তোমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আমি। কি করি বলতো ... ???