সাম্প্রতিককালে জনৈক সংসদ সদস্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সংসদে দাড়িয়ে বলেন - চুদুর বুদুর চইলতন।
আসুন আমরা দেখি এই বাক্যের দ্বারা কি কি সংঘটিত হয়েছে। আমরা জানি বাক্যের গঠনে তিনটি উপাদান আবশ্যক। আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা।
যোগ্যতা - তিনি দাবি করেছেন এটি ফেনীর আঞ্চলিক ভাষা। যেহেতু ফেনী স্বাধীন বাংলাদেশের অন্তরগত এবং ভাতৃত্বের একান্ত দাবীদার পার্শ্ববর্তি দেশটির চরম প্রচলিত "ভুং ভাং তেরে মেহেরবান" নয়, সেহেতু এটি যোগ্যতা রাখে।
আসত্তি - যদিও বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন ব্যক্তিত্ব ডঃ আইজু চুদুর বুদুর কি জিনিষ এ ব্যাপারে প্রশ্নবোধক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে বাক্যের পদগুলোকে সঠিক ভাবে বিন্যস্ত করে বক্তার মনোভাব সঠিক ও পরিষ্কার করে বুঝানোর গুণ (!) এখানে বিদ্যমান।
আকাঙ্ক্ষা - মাননীয় সংসদ সদস্য অত্যন্ত জোর দাবি ও প্রবল আপত্তির মুখেও তার বক্তব্য জারি রাখেন। তিনি বার বার বলতে থাকেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তার চাওয়া। মনে রাখতে হবে, তিনি একজন জন প্রতিনিধি। তার চাওয়া মানে জনগনের চাওয়া। সুতরাং, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমি কোন আলোচনায় যাবনা।
মাননীয় সংসদ সদস্য চামড়া সামলে রাখার ব্যাপারে পরামর্শ দেন। মনে হয় চামড়া ব্যবসা সম্পর্কে তিনি বিশদ খবরাখবর রাখেন।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ইহা একটি স্যাটায়ার পোস্ট নয়।