আমর ঢাকার যেখানে থাকি, এখানে আজকে সরকার ত্রাণ বিতরণ করেছিল। ৫ কেজি চাল, সাথে আরও কিছু। আমাদের রোডের মাথায় গাড়ি আসছে।
এটার টার্গেট ছিল গরীব মানুষ, যারা দৈনিক ইনকামে চলে। যেমন রিকশাওয়ালা। কিন্তু অনেক ৪ তলা বাড়ির মালিক গরীব সেজে নিয়ে আসছে। এটা গরীবের হক নষ্ট করল। সিস্টেমটা নিচের থেকে উপরে উঠবে। যে সবচে দুর্বল সে আগে পাবে। যে মাসিক বেতন পায়, বা ফিক্সড ইনকাম আছে সে এটা পেতে পারে না।
এটা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভাড়াটিয়াদের দিলে ভাল হত। ভাড়াটিয়া যারা আবার ফিক্সড ইনকামের চাকুরী করে, তাদের অবশ্যই পাওয়া উচিত হবে না। ... ... ... কিংবা বাড়ির মালিক আর ভাড়াটিয়া সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে। ... ... ... আবার অনেক বাড়িওয়ালা অল্প দুয়েকটা রুম বা এপার্টমেন্ট ভাড়া দিছে, যার আয়ে সংসার চলে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিক সাহেব ভাড়া মওকুফের আহবান জানাইছে। এটা একটা জটিল পরিস্থিতি। এগুলোর ব্যালেন্স হওয়া দরকার।
সেনাবাহিনী ডোর টু ডোর গেলে ভাল হয়। যার যার ফিনানশিয়াল অবস্থা বুঝে হ্যান্ডওভার করবে।
এখনো চালের দাম বাড়ে নাই। এই অবস্থায় বাড়িওলাদের বাদ দিয়ে ভাড়াটিয়া আর বস্তিবাসীদের দেয়া উচিত। ভাড়াটিয়াদের মধ্যে যাদের ফিক্সড ইনকাম নাই, সেটা বাড়ির মালিক সুপারিশ করবে।
আর ভবিষ্যতে চালের দাম বাড়লে বা মার্কেটে খাবার সংকট শুরু হলে বাড়িওয়ালারাও ফ্রি পাবে। কিংবা বাড়ি বাড়ি যেয়ে স্বল্পমূল্য চাল ডাল বিক্রি করবে। টিসিবি ডোর টু ডোর সেল করবে।
যদি ভাড়াটিয়াদের ভাড়া সরকার মওকুফ করতে বলে তখন বাড়িওয়ালাও ফ্রি খাবার পাবে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখলাম সেলিব্রেটিরা বা এলাকার ধনী কিছু মানুষ বা জনপ্রতিনিধি খাবার বিলি করতেছে। অনেকে একাধিকবার পায়, কেউ পায় না। বায়মেট্রিক ডাটাবেজের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে কে পেল আর কে পেল না তার একটা হিসাব রাখা দরকার, যেন প্রত্যেকে একবার পায়, অপচয় না হয়।
সামুব্লগে লেখা যারা পড়েন, তাদের মধ্যে সরকারের নীতি নির্ধারক কেউ কি নাই? একটা কেন্দ্রীয় নীতি আর সমন্বয় দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২০