১.
চশমা পরা চাঁদ
দ্বন্দ্ব আর ঢাইলো না
এমনিতেই ভাইসা গেছি
আলো জ্বালাইয়া লজ্জা ঢাকুম না।
২.
এইটা বুঝি হেমন্ত পূর্ণিমা
তারার পাহারায়
রাষ্ট্র পার হইতেছে!
৩.
হেমন্তের রাত মরার রাত।
অমন চান্দের আলো
নগর মোড়ে আরো ভালো
সে বাঁচন
সন্দেহ সমান।
৪.
তুলার রাতে বালিশ গেছে উড়ে
মুখ চেপে করতেছি পান
চান্দের দুধ।
৫.
বেশরম চাঁদ!
শিং মাছের মতোন লাফাইতে লাফাইতে ছাদ পার হয়ে গেল।
৬.
বৌদ্ধ ককটেল মারতেছে
বৌদ্ধ ককটেল খাইতেছে
অশ্বত্থ তলায় স্বর্ণমন্দির দেশ!
বাকির দল পলায়তেছে
এ নগরে
নন্দনকাননে পাকতেছে দ্বৈতবাদীর চুল!
৭.
কলাগাছে কুয়াশা ধরে
ঘাসে ধরে শিশির
উড়িতেছে ফানুস
বৌদ্ধমন উঁকি দিতেছে
প্রবারণায় যার যার ধর্ম মানুষ।
৮.
গুনতে বসেছি রোদের তেজ
গুনছি নগরে হাতি পায়ে খাড়া ক’খানা তালগাছ
বড় বড় দেবদারু আর পাখির বিষ্ঠা দেখার জন্য এই আবাসিক এলাকার করি বন্দনা
বড় বড় সড়কে অশ্বত্থ বট পাকুড় মেলে না
হাঁটতে হাঁটতে মনে আসে তোমায় নিয়ে দেখব ছাতিম;রাতভর সুঘ্রাণ নিবো
দেখাব সন্ধ্যা ঠিক নগরের কোন পথ দিয়ে প্রবেশ করে
কোন পথে হিম হাওয়া গুনগুনিয়ে আসে তোমার চুলে
এই চেনা হেমন্ত সন্ধ্যা
এই চেনা নগরে
আঁধারে তোমার রোম কাঁপছে
অনেক সস্তা শব্দের ভেতর কেমন নিস্তব্ধ দামী আমরা!
এই পৃষ্ঠদেশে বালিমাখা ধূসর;সেই দিকে আমার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে
কতো অচেনা হয়ে গেছি তোমার কাছে! আলোর দিকে বসতে চেয়ে
অন্ধকারই আমাকে চিনল বেশি,তুমি ছাড়া।
আসছে কোন হেমন্ত কোন শীতের প্রহরে
এই পালিশ করা এয়ারপোর্টে চেনা পাখিরা ফিরে আসবে?
ঋতুরা কেবল হাওয়া পাখির গান!
আর কিচ্ছু না!
তাহলে এইসব ভালবাসার খরচা কেন করলাম?
কেন ওই তালতলা
কেন ওই ঠান্ডাছড়া
কেন ওই হালদায় মাছেরা এতো পোনাছাড়ে?
বিকেল ফুরাবার কালে এই রঙ মনে আসে,
এই স্টিলের চড়া বাজারে হলুদ আলোর আভা দেখে বিমোহিত হয়েছিলাম
হলুদ আভায় ভরা তোমার মুখখানি,হলুদফুলের কাত্তিক পরাগ।