somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ The Imitation game(2014)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধ শব্দটা আমরা না চাইতেও আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে এই ভূমিতে আগমনের পর হতেই। উচ্চস্বরে কান্না দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে আগমনী বার্তা দেয় প্রতিটি শিশু। কখনো কখনো ভ্রুণ অবস্থায়ই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় শিশুর। আনওয়ান্টেড আনপ্রোটেক্টেড সেক্স এর কারণে এ যুগে ভ্রুণ অবস্থায়ই অনেক শিশুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যাই হোক, সেটা অন্য ক্ষেত্রের কথাবার্তা। আমিতো বসেছি মুভি রিভিউ লিখতে, আমার আবার একটা দোষ হচ্ছে, লতায় পাতায় জড়িয়ে কোন কথা আসলে সেটা নিয়ে কিছুটা হলেও আলোচনা না করে ছাড়তে পারি না।
যুদ্ধ কতধরণের, জীবন যুদ্ধ, নিজের ভেতর বহুরূপী সত্তাদের যুদ্ধ, পরিবারের ভেতর চলে পারিবারিক যুদ্ধ, স্বাধীনতা নিয়ে চলে পরস্পর দুটি জাতির, দুটি দেশের যুদ্ধ, আবার কখনো কখনো সেই যুদ্ধ রুপ নেয় ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধে! যেখানে একাধিক জাতি এক হয়ে অন্য কোন একাধিক জাতির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এককথায় একটা মানুষ সৃষ্টি থেকে বিনাশ পর্যন্তই যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন যাপন করে। কেও কায়দাকানুন জেনে নিয়ে,শিখে নিয়ে খুব ভালো ভাবে পার করে এই যুদ্ধক্ষেত্র কেও বা পরাজিত সৈনিক হয়ে দৈহিক মৃত্যুর আগেই আত্মার মৃত্যু হয়ে গিয়ে জ্বালাময়ী অপেক্ষায় রয় দৈহিক মৃত্যুর।

এখন আসি মূল কথায়, কেন এই যুদ্ধ নিয়ে দার্শনিক কথাবার্তা লিখলাম এখন? কারণ এই মুভির মূল ঘটনা একটি যুদ্ধ কে কেন্দ্র করেই। যুদ্ধে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে, সবাই হয়তো ময়দানে নেমে যুদ্ধ করতে সমর্থ হয়না, বা সে সক্ষমতা অথবা দক্ষতা সবার থাকে না। কিন্তু তাদের যুদ্ধ চলে অন্যজায়গায়। মুভিটি মূলত তেমনি একজন ব্যক্তি কে কেন্দ্র করে তৈরি।



সেই ব্যক্তি যে একজন আড়ালের বাজিকর হিসেবে কাজ করেছিলেন সে সময়। একজন ব্রিটিশ। যার নাম এলান টারিং।
এলান টারিং ছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে একজন ম্যাথমেশিয়ান। যুদ্ধের সময় তার উপর দায়িত্ব বর্তায় এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজের। যার স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন মৃত্যুর পরে। কারণ সে কাজটি এতটাই গোপনীয় ছিল যে যুদ্ধের পরবর্তী ৫০ বছরের মধ্যে তা ব্রিটিশ সরকার সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে সংরক্ষিত রেখে ছিল। ৫০ বছর আগের সেই সৈনিক, সেই নায়কের গল্প সাধারণের সামনে আসে খুব বেশিদিনও হয়নি, এইতো ২০০০ সালের কিছু পরেই, এরপর রানী এলিযাবেথ দ্বিতীয় তাকে সরকারি ভাবে ক্ষমা প্রদান করেন। তার আগে ২০০৯ সালেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন পাব্লিক্যালি তার জীবদ্দশায় তাকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে বরংচ তার জীবন কে আরো বেশি দুর্দশাময় করার জন্য ক্ষমা চান। প্রশ্ন আসতে পারে, কেন? যুদ্ধের সময় তার অবদান অনস্বীকার্য ঠিক, কিন্তু সরকার অতি গোপনীয়তার কারণে তা পাব্লিক্যালি প্রদর্শণ করতে সমর্থ হয়নি কিন্তু তার জীবন কে আরো দুর্দশাময় কেন করেছিল?
এর জন্য তো আপনাকে মুভিটি দেখতে হবে।
আর কিই বা ছিল তার অবদান সেই সময়? যার কারণে ব্রিটিশ সরকার এত বছর পর এসেও পাব্লিকের সামনে ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছে? সেটাও নাহয় নাই বা বললাম? মুভিটি দেখলেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এবং জানতে পারবেন এই ব্যক্তি কেনই বা এত গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা ক্লু দেই, কি বলেন?
তিনি কম্পিউটার সাইন্সেও যুগান্তকারী অবাদান রেখে গিয়েছেন।
এই ব্যক্তির রহস্য সমাধান করতে ইচ্ছুকদের অথবা আগ্রহীদের মুভিটি দেখতে হবে।

আই এম ডি বি লিঙ্ক

টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক (720p)

আই ডি এম ডাউনলোড লিঙ্ক

অবশ্যই মতামত জানাতে ভুলবেন না। হতে পারে আমি কোন সূক্ষ্ম কিছু মিস করে যেতে পারি। আপনাদের মতামত থেকে হয়তো মুভিটির ভেতর থেকে নতুন কিছুও শিখতে অথবা জানতে সমর্থ হবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×