যুদ্ধ কতধরণের, জীবন যুদ্ধ, নিজের ভেতর বহুরূপী সত্তাদের যুদ্ধ, পরিবারের ভেতর চলে পারিবারিক যুদ্ধ, স্বাধীনতা নিয়ে চলে পরস্পর দুটি জাতির, দুটি দেশের যুদ্ধ, আবার কখনো কখনো সেই যুদ্ধ রুপ নেয় ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধে! যেখানে একাধিক জাতি এক হয়ে অন্য কোন একাধিক জাতির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এককথায় একটা মানুষ সৃষ্টি থেকে বিনাশ পর্যন্তই যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন যাপন করে। কেও কায়দাকানুন জেনে নিয়ে,শিখে নিয়ে খুব ভালো ভাবে পার করে এই যুদ্ধক্ষেত্র কেও বা পরাজিত সৈনিক হয়ে দৈহিক মৃত্যুর আগেই আত্মার মৃত্যু হয়ে গিয়ে জ্বালাময়ী অপেক্ষায় রয় দৈহিক মৃত্যুর।
এখন আসি মূল কথায়, কেন এই যুদ্ধ নিয়ে দার্শনিক কথাবার্তা লিখলাম এখন? কারণ এই মুভির মূল ঘটনা একটি যুদ্ধ কে কেন্দ্র করেই। যুদ্ধে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে, সবাই হয়তো ময়দানে নেমে যুদ্ধ করতে সমর্থ হয়না, বা সে সক্ষমতা অথবা দক্ষতা সবার থাকে না। কিন্তু তাদের যুদ্ধ চলে অন্যজায়গায়। মুভিটি মূলত তেমনি একজন ব্যক্তি কে কেন্দ্র করে তৈরি।
সেই ব্যক্তি যে একজন আড়ালের বাজিকর হিসেবে কাজ করেছিলেন সে সময়। একজন ব্রিটিশ। যার নাম এলান টারিং।
এলান টারিং ছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে একজন ম্যাথমেশিয়ান। যুদ্ধের সময় তার উপর দায়িত্ব বর্তায় এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজের। যার স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন মৃত্যুর পরে। কারণ সে কাজটি এতটাই গোপনীয় ছিল যে যুদ্ধের পরবর্তী ৫০ বছরের মধ্যে তা ব্রিটিশ সরকার সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে সংরক্ষিত রেখে ছিল। ৫০ বছর আগের সেই সৈনিক, সেই নায়কের গল্প সাধারণের সামনে আসে খুব বেশিদিনও হয়নি, এইতো ২০০০ সালের কিছু পরেই, এরপর রানী এলিযাবেথ দ্বিতীয় তাকে সরকারি ভাবে ক্ষমা প্রদান করেন। তার আগে ২০০৯ সালেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন পাব্লিক্যালি তার জীবদ্দশায় তাকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে বরংচ তার জীবন কে আরো বেশি দুর্দশাময় করার জন্য ক্ষমা চান। প্রশ্ন আসতে পারে, কেন? যুদ্ধের সময় তার অবদান অনস্বীকার্য ঠিক, কিন্তু সরকার অতি গোপনীয়তার কারণে তা পাব্লিক্যালি প্রদর্শণ করতে সমর্থ হয়নি কিন্তু তার জীবন কে আরো দুর্দশাময় কেন করেছিল?
এর জন্য তো আপনাকে মুভিটি দেখতে হবে।
আর কিই বা ছিল তার অবদান সেই সময়? যার কারণে ব্রিটিশ সরকার এত বছর পর এসেও পাব্লিকের সামনে ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছে? সেটাও নাহয় নাই বা বললাম? মুভিটি দেখলেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এবং জানতে পারবেন এই ব্যক্তি কেনই বা এত গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা ক্লু দেই, কি বলেন?
তিনি কম্পিউটার সাইন্সেও যুগান্তকারী অবাদান রেখে গিয়েছেন।
এই ব্যক্তির রহস্য সমাধান করতে ইচ্ছুকদের অথবা আগ্রহীদের মুভিটি দেখতে হবে।
আই এম ডি বি লিঙ্ক
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক (720p)
আই ডি এম ডাউনলোড লিঙ্ক
অবশ্যই মতামত জানাতে ভুলবেন না। হতে পারে আমি কোন সূক্ষ্ম কিছু মিস করে যেতে পারি। আপনাদের মতামত থেকে হয়তো মুভিটির ভেতর থেকে নতুন কিছুও শিখতে অথবা জানতে সমর্থ হবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬