সহস্র পসরা ব্যথার বৃষ্টি ছুঁয়ে গেল অরণ্যে যেন
অদম্য আহাজারিতে ডুকরে উঠেছিল আধারচেড়া কান্না
উদ্বাস্তু সব জলরাশি আর জাহাজের মাস্তুল !
অসহায় ছিল প্রকৃতি,আমার চেতনা নতজানু তোমার ঘুমন্ত শরীরে ।
বেহিসেবি ছিল মদের নেশা , আর নগ্ন অনুভূতি
অবচেতন প্রতিটা কামনা ছিল কেবল তোমাকে ছুঁয়ে দেখার
চাঁদকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি - আদরে তোমার ছিঁড়ে ফেলতাম সবটুকু লজ্জা ;
তীক্ষ্ণ ধনুতে ছেদ হয়ে যেত তোমার শুভ্রতা ,
ঝিরিঝিরি শীতের বাতাসও লজ্জায় বুনে যেত চাদর ;
অভয়ে কাঁপা কুয়াশারা
জমিয়ে ফেলত জলরঙা কিছু শিশির !
ধরিত্রীর সব দেবতারা হয়তো রাঙ্গাত চোখ
ঈর্ষায় কতবার মানব হতে চেয়েছে , বোকাদের দল !
শত বিনিদ্রযাপনেও এখানে নামে নি ভালোবাসা ,
সুখের আদ্রতা , সে যে চাঁদের জোয়ার !
আজ বহুদিন পরে উষ্ণতা ছোঁব শীতল নোংরা হাতে
শিশিরভেজা জোছনার আড়ালে করবো অনেক আদর ।
হঠাৎ আধোঘুম থেকে জেগে ওঠে ঈশ্বর
অঝোরে দেখি কেঁদে ফেলে সব ভয়ের মূর্ছনায়
লোনা স্রোত সরব নীল বেদনায়
কি ভয়াল ভয়ঙ্কর !
চোখজুড়ে প্রপাত ;
ব্যথিত গ্লানি অথবা শ্লেষ হতে সে নয়
কখনও কি আমি ছিলাম তোমার আদতে কোথাও ?
নাকি একাই চোখে সুখ বুনেছি ,
বেহিসেবি নেশার ঘরে
বধির মাদকতায় !
ছোঁব না আর অগোচরে কভু
ভাবনারা যাই ভাবুক ,
প্রত্যয় শুধু দুচোখে দেখার
নিভৃতে তমিশ্রায়
বিধাতাকে বলি নাও বাসনা, ছুড়ে ফেলে দাও দূরে
রুপালী চাঁদ শুধু আজ কাঁদুক
বেহিসেবি বধির মাদকতায়
আমার তোমার স্থূল যত ব্যথায় !