কত জগণ্যতম নিচে নেমে গেছেন আমাদের দেশের বড় বড় প্রাইভেট স্কুল কলেজগুলো ভাবতেও লজ্জা লাগে।
তবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল সহ শহরে অবস্থিত বড় বড় স্কুলগুলো গত কয়েক বছরের পর্যবেক্ষন করলে দেখা
যাবে এরা কেউই মূল শিক্ষ্যার লক্ষে কিছুই করেনি যা করেছেন বা যতটুকো করেছেন সবটুকোই যেন শুধু টাকার
হাতিয়ে নেয়ার জন্য টাকা কামানোর পেশা ।
যদি সত্যিকার অর্থে বড় স্কুল কলেজগুলো তারা আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় শিক্ষ্যায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে
থাকতেন তাহলে অরিত্রিদের মত স্কুল পড়ুয়া ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মেয়ে শিক্ষ্যাটিদের আত্মহননের কোনো সুযোগ
থাকতো না বা সেরকম কোনো পরিস্থিতিও তৈরি হতো না।
এখানে যে শুধু স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দোষ তাও না,সরকারও অনেকটা দায়ি কেননা সরকার থেকে
অনেক কিছুই পর্যবেক্ষন করা সম্ভব।আমাদের দেশে যে স্কুল কলেজগুলো আছে সেগুলো সবগুলো সরকারি
পর্যবেক্ষনের আওতায় আনা উচিত। শিক্ষ্যার মানের পাশাপাশি স্কুল কলেজগুলোতে ছেলে মেয়েগুলোর কতটা
নিরাপদ আছে বা তারা নিরাপদ পাচ্ছে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা উচিত।
এমন একটা যগণ্য ঘটনা প্রায় গত দুদিন হয়ে গেল দেশের মিডিয়া পত্রিকাগুলোতেও অরিত্রিকে নিয়ে তেমন কোনো
প্রকাশনা ছাপিয়েছে চোখে পড়লোনা।দেশের সবাই যদি ভয়েকাতরে সত্য বলতে ভুলে যাই তাহলে মরতে হবে এবং
মৃত্যুকেই হাত বাড়িয়ে কাছে টেণে নিতে হবে ।
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষ্যামন্ত্রালয়গুলোকে অনেক আগেই এই বিষয়গুলো নজরে আনা প্রয়োজনছিল ।
শুধু এখানেই শেষ নয় আমাদের দেশের শিক্ষ্যাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আরো কিছু নিয়ম যা বর্জন করা প্রয়োজন যেমন আমার মেয়ে
৬র্থ শ্রেণীতে পড়ছে ওদের স্কুল সহ কয়েকটি স্কুলের একটা নিয়ম চোখে পড়লো যেমন একজন ছাত্র বা ছাত্রী একদিন স্কুলে
না গেলে তাকে ৫০ থেকে ১০০টাকা জরিমানা দিতে হয়। আমার প্রশ্ন হলো কেন এই জরিমানা ?
এরকম ছোট বড় মিলিয়ে অনেক অনিয়মি চোখে পড়ে যা আসলে কোনো নিয়মের ভিতরে পরে না। তাই সরকার মহল সহ
শিক্ষ্যামন্ত্রনালয়ের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকলো বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার।এবং দ্রুত যেন অরিত্রি আত্মহত্যার জন্য যে
সকল শিক্ষক দায়ি তাদের বিচারের অধিনে আনার।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮