আমাদের দেশে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ মনেহয় ইউরেনিয়াম থেকেও দূর্লভ কোন বস্তু। অপরকে আমরা শ্রদ্ধা ত দূরে থাক, অপমান করে ও নিচে নামিয়েই বোধ করি চিত্ত বিনোদনের উপকরণ খুঁজে থাকি।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ৭.৫% ভ্যাট আরোপ করার পর চলমান আন্দোলন যেন সেই সত্যকেই আবার উস্কে দিচ্ছে। কোথায় সকল ছাত্ররা মিলে শিক্ষার উপর আরোপিত ভ্যাট কে না বলবে, তা না করে উল্টো পরস্পর কে গালাগালি করে তারা যে কি প্রমাণ করতে চায় তা তারাই একমাত্র জানে।সামাজিক মাধ্যম যেখানে তারা পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে অন্তঃশক্তি জাগিয়ে তুলবে, তা না করে কে কত ভাল করে গালি দিতে পারে তার সফল প্রতিযোগিতা যেন চলছে।
“প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা সব গাধা, বড়লোকের আদরের দুলাল, তারা i-phone চালায়, কেফসিতে খায়, থুতনির নিচে দাড়ি রাখে, ফার্মের মুরগি, What’s up dude, awesome ছাড়া আর কি জানে”: এগুলো বলা যেমন নিম্নমানের কাজ, তেমনি, “পাবলিক ইউনিভার্সিটি পোলাপান সব ক্ষেত-জঙ্গল, গরিবের ঘরের ছাওয়াল, কর্পোরেট দুনিয়াতে অচল” বলা আমার দৃষ্টিতে ছোটলোকি কাজ।
ব্রিটিশরা আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছিল মূলত Divide and Rule এর উপর ভিত্তি করে। মেকানিজম ছিলঃ “অন্তঃদ্বন্দ্ব সৃষ্টি কর। তাহলে তোমার আর কিছুই করতে হবে না। যা করার তারাই করবে। তুমি শুধু ফল ভোগ করবে আর রুটির মাখন টুকু খাবে”। জানিনা সেই থিওরি এখন কেও এপ্লাই করছে কিনা।
এই পাবলিক-প্রাইভেট দ্বন্দ্বে কেও জিতবে না।মাঝখান থেকে হাসবে স্বার্থান্বেষী মহল। শুধু একজন হারবে।
তার নাম বাংলাদেশ।
সবাইকে শুভরাত্রি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬