সময় কিভাবে যায়? দেখতে দেখতে এক বছর চলে গেল। এক বছর আগে এই দিনে জামাতের ছদ্মবেশে হেফাজত নামক সংঘটন ঢাকায় কি ভয়ানক তাণ্ডব ই চালায়। তারা পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ায়, ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে ফেলে অসংখ্য গাছ, হামলা করে ব্যাঙ্কে, আগুন দেয় গাড়ী তে। তাদের দাবি শাহবাগে গণজাগরণের সকল কর্মী নাকি নাস্তিক!
তাদের ফাঁসি দিতে হবে।
আরে ভণ্ডের দল: শাহবাগে লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছে। তারা সবাই কি করে নাস্তিক হয়?
এ উত্তর আমার জানা নেই।তবে খুব সম্ভবত জানোয়ার মাহমুদুর চোরের কাছে ছিল।
এ পাপী একটি গন-মানুষের আন্দোলনকে ফ্যাসিবাদীদের আন্দোলন বলে আখ্যায়িত করেন। আর আমাদের কুলাঙ্গার রাজনীতিবীদরা তাতে নির্লজ্জ ভাবে সমর্থন জোগায়।
যার ফলশ্রুতিতে ঢাকার মতিঝিল পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বাধ্য হয়ে রাতে অভিযান চালায়। হেফাজত কর্মীরা লেজ গুটিতে পালায়।
কিন্তু অপপ্রচার চলতেই থাকে।
সেখানে নাকি লক্ষ লক্ষ হেফাজতি কে হত্যা করা হয়েছে।তার পর লাশ গুম করা হয়েছে।
লক্ষ লক্ষ লাশ গুম করা কি এতই সহজ? লাশ নাকি ভারতে পাচার করে দেয়া হয়েছে!!!!!
হিটলার এক বিখ্যাত থিওরি দিয়েছিলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়। “একটি মিথ্যে একশত বার বললে তা এক সময় সত্যে পরিণত হয়। মানুষ সত্য ভুলে মিথ্যে কেই সত্য মনে করে।”
হেফাজতি আর জামাতি রা হিটলারের সেই কথা কে সত্য প্রমাণ করে দিয়েছেন।
তারা দেশব্যাপী প্রচার করে যে শাহবাগে লক্ষ লক্ষ আলেম কে হত্যা করা হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে তারা হাইতির ভূমিকম্পে নিহতদের ছবি ছড়িয়ে দেয় অনলাইনে। ডিজিটাল যুগ। মুহূর্তের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পরে দেশব্যাপী। নেট থেকে ডাউনলোড। সেখান থেকে সবাই মোবাইলে। দামি, কমদামী সব ধরণের ফোনে।
এক মাঝি আমাকে বলেছিল যে, “দেখেন ভাই, আলেম গড়ে যে মারছে তার ভিডু।” আমি দেখি সেখানে হাইতির ভূমিকম্পের ছবি।
একটি মিথ্যে কিভাবে সমাজের বুকে সত্য কে পদদলিত করে প্রতিষ্ঠিত হয় তার জ্বলজ্বলে প্রমাণ।
দিন শেষে মনেহয় আমরাই পরাজিত, মাহমুদুর রহমানরাই জয়ী।
পুড়ছে কোরাআন শরীফ
পুড়ছে মসজিদ
পুড়ছে ব্যাংক
পুড়ছে রাস্তার পাশে অসহায় গরীবের শেষ সম্বল
কেটে ফেলা হয়েছে হাজার হাজার গাছ।
তাতে কার কি????
আমরা বরং আল জাজিরা দেখি। সেখাতে আসল খবর পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৭