
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ঘটনা, মানুষ যখন যুদ্ধের খবর শোনার জন্য রেডিওর সামনে কান পেতে বসে আছে তখন ১২-১৩ বছরের এক কিশোরের জীবনের সবচেয়ে আকাঙ্খিত বস্তু, পুরনো একটি বাইসাইকেল তার বাবা তাকে কিনে দেয় । সে বাইসাইকেল তাকে সুযোগ করে দেয় টিনএজারদের দলে ঢোকার যেখানে সে পেয়ে যায় কিশোর বয়সের অমৃতের সন্ধান । সে পেয়ে যায় নারীর অন্যরূপের খোঁজ ।শহরের অনিন্দ্য সুন্দরী মেলেনার সাথে তার দেখা হয় । যার স্বামী ইতালির হয়ে যুদ্ধে গেছে, বাবা একটি স্কুলের শিক্ষক এবং পৈশাচিক দৃষ্টি দিয়ে তাকে পাবার ব্যকুলতা শহরের গন্য-মান্য ব্যাক্তিদের । এমন পরিস্থিতিতে এক কিশোর তাকে ভালোবেসে ফেলে , এ শারীরিক ভালবাসা নয়; ঐ নীল আকাশে ছুটে চলা পাখির মত যে আকাশকে আপন করে পেতে চায় - পায়না । কিশোর মনের কল্পনার তুলিতে বিভিন্ন রূপে ধরা দেয় এ নারী, সে অপরের মাঝে খুঁজে পেতে চায় মেলেনাকে ।

সমাজের চোখে নারী যে ভোগের বস্তু ছবিটি দেখলে তাই মনে হয় । এর মাঝে একটি কিশোরের নিরব ভালবাসা মনের চোরাকুঠরিতে বন্দী হয়ে নিরবে চোখের জল ফেলে । এ কিশোর প্রেমিক কিইবা করতে পারত সেসব মানুষরূপী পিশাচের হাত থেকে মেলেনাকে বাঁচাতে ? তবে সে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে মেলেনাকে স্বামীর সোহাগ ফিরিয়ে দিতে, অসম ভালবাসার নৌকার সে মাঝির সাথে মেলেনার কথা হয় শেষ দৃশ্যে । এরপর সে সরে যায় মেলেনার জীবন থেকে , নিজেকে খুঁজে বেড়ায় অন্য নারীর বাহুডোরে । কিন্তু কখনো ভুলতে পারেনা তার জীবনের প্রথম ভালবাসা মেলেনাকে ।

হ্যাঁ, ছবির নাম মেলেনা । নাম ভূমিকায় অভিনয় করে অসংখ্য কিশোর-যুবকের অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছেন মনিকা বেলুচ্চি । অসম প্রেমের ছবির অন্যতম মাস্টারপিস এ ইতালিয়ান ছবিটি । দুটি অস্কার নমিনেশন সহ তিনটি পুরস্কার জিতে নিয়েছিল এ ছবি ।
আজই দেখে নিতে পারেন আমার প্রিয় ছবির তালিকার শীর্ষে থাকা Malena , ভালো লাগবে আশা করি । ছবিটি কিন্তু Rated R , যদিও বাজারে পাওয়া ডিভিডি সেন্সর করা । আমি দুটোই দেখেছি , আনকাট ভার্শন দেখে মুগ্ধ হবেন মনিকা বেলুচ্চির ভক্তরা একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় । আর দেরী কেন, দেখে ফেলুন Malena আর ফিরে যান সেই দুষ্ট শৈশবে ….................