প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বাঙালী জাতি আজ যুদ্ধে অবতীর্ণ। এ ভাইরাসটি এখন কমিনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন আগামী ৮ ই মার্চ থেকে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই এই ভাইরাসের ব্যাপ্তির আসল চিত্র পাওয়া যাবে। টেস্ট কম হওয়ার কারণে রোগী কম ধরা পড়ছে এটাই বাস্তবতা, এ নিয়ে তর্ক বিতর্কে যাওয়ার কোন মানে হয় না। এখানে তথ্যগোপন করা হচ্ছে এমনটা ভাবাও ঠিক হবে না, এটা যেহেতু বৈশ্বিক সমস্যা তাই তথ্যগোপন করে কোন ফয়দা হাসিলের ব্যাপার নেই। দুই একদিনের মধ্যেই টেষ্টের সংখ্যা বাড়বে তখনই প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। পক্ষান্তরে এই একটা ইস্যুতেই গোটা দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। যে যার অবস্থান থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
করোনা ইস্যুতে কোন কাদা ছুড়াছুড়ির রাজনীতি নেই যতটুকু হয়েছে সেটা খুবই সামান্য।কিছুদিন আগেও ফেসবুকে প্রচুর পোস্ট পাওয়া যেতো দেশের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে বলা হচ্ছিল ইনারা কোথায়? এখন কিন্তু আর সেটা বলার সুযোগ নেই,সবাই এগিয়ে এসেছেন যার যার অবস্থান থেকে। আমাদের চিকিৎসক সমাজ, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীসহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। সকলকে স্যালুট।
আসলে দেশ না বাচলে টাকা পয়সা দিয়ে কি করবেন? যদি করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যায় তখন আপনার টাকা পয়সা কোন কাজে আসবেন না। বড় একটা শ্রেণীর মানুষ যখন ক্ষুধার্ত থাকবে ওরা তখন আপনার থেকে অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে চাইবে, তাই এখনই প্রকৃত সময় মানুষের পাশে দাড়নো।মানুষ করোনায় মরতে পারে তবে দয়াকরে কাউকে ক্ষুধায় মরতে দেবেন না প্লিজ। দেশ আক্রান্ত হলে শুধু সরকার বিপদের মধ্যে পড়বে না নয় আপনি আমি কেউই বাচতে পারবো না। একাওরের পর এটাই সবচেয়ে বড় যুদ্ধ, এখনই সময় দলমত নির্বিশেষে একসাথে কাজ করার।
তবে আশার কথা বাঙালী এখন পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা জয়ী হবোই ইনশাল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫৬