কোটা মানেই মেধাকে অস্বীকার করা। মেধাকে অস্বীকার বা অবহেলা করার পরিণতি জাতির জন্য ভয়াবহ হতে পারে। সচেতন নাগরিক যখন জাতিকে বাচাঁতে চায়, তখন কিছু ম্যাওপ্যাও স্বার্থান্বেষী মহল রাষ্ট্র প্রধানের ব্রেন ওয়াস করে জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মোটেও কাম্য নয়।
নিঃশন্দেহে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির গৌরব। তাদের সম্মান সবার উপরে। আজীবন তারা রাষ্ট্রীয় সম্মান, গৌরবময় জীবন যাপনের বিশেষ সুবিধা পেয়ে যাবে। তাতে কারোর দ্বীমত থাকার কথা নয়। বরং প্রজাতন্ত্রের সকল জনগণ তাদেরকে নিয়ে গৌরব বোধ করবে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে মনে করি, এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত বোধ করবেন এবং করেন। আমার মরহুম মুক্তিযোদ্ধা পিতা বলতেন- যুদ্ধে গেছি দেশ স্বাধীনের জন্য, অন্য কিছু পাওয়ার আশায় নয়।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মেধাতালিকায় অগ্রাধিকার দেয়া যুক্তি সংগত, কোটা কখনোই নয়। আর নাতি পুতিদের কোটা, বিশেষ সুবিধা, কোন কিছুর প্রশ্নই উঠতে পারে না। সচেতন নাগরিক এগুলো বুঝে। বলতে পারে না। এ দেশে সব কিছু বলা নিষেধ।
কোন কিছুরই কোটা থাকা উচিৎ নয়। এমনকি নারীরও কোটা থাকা উচিৎ নয়। সব কিছুই থাকবে উন্মুক্ত। নারীর কি মেধা নেই? সব মেধা কি পুরুষের? উপজাতিদের কি মেধা নেই? সব মেধা বাংগালীর? মেধা খাটিয়ে যে উপরে উঠতে পারবে, সেই সেরা। তাহলেই মেধার বিকাশ ঘটবে, মেধার মূল্যায়ন হবে। জাতি এগিয়ে যাবে। আল্লাহ সহায় হোন। আল্লাহ ম্যাওপ্যাওদের বলয় থেকে বেরিয়ে সরকার প্রধানকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার তাওফিক দিক।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫