নিরপরাধ কলেজ ছাত্র লিমনকে গুলি করে পঙ্গু করেছিল র্যাব।বাংলাদেশের সকল সংবাদপত্র, মিডিয়া এটাকে হেডলাইন করে প্রচার করেছিল।এমনকি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়াও এটাকে ফলাও করে প্রকাশ করে।স্বয়ং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হাসপাতালে যেয়ে তার পাশে দাড়িয়েছিল।আন্তর্জতিক বিভিন্ন মাধবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিশ্ববাসীকে অতি উচ্চ নীতিব্যাক্য শোনাতে দেখা গেছে।বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। এমনকি র্যাব বিলুপ্তির যৌক্তিক দাবী তখনও উঠেছিল।অপরদিকে গত 16 ডিসেঃ নিরপরাধ মাদ্রাসা ছাত্র সিদ্দিককে গুলি করে পঙ্গু করে পুলিশ।এ খবরটা বাংলাদেশে বিদ্যমান কোন পত্রিকার হেডলাইন হয়নি,ভিতরের পৃষ্ঠায় নিচের দিকে এক কোনায়, যেখানে সাধারণত মানুষের দৃষ্টি যায় না, কিছু পত্রিকায় সেখানে স্থান পেয়েছে।কোন কোন পত্রিকায় স্থানও পায় নি।আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে প্রচারের প্রশ্নই ওঠে না।তার পাশে যায় নি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় নি কোন রাজনৈতিক,সামাজিক সংগঠন।কিন্তু কেন ??
কেন এই বৈষম্য?
সে মাদ্রাসার ছাত্র বলে?
সে মোল্লা-মৌলভী বলে?
সে ইস্কুল-কলেজের ছাত্র না বলে?
সে মাদ্রাসার ছাত্র বলে কি তার মানবাধিকার নেই?
সে মোল্লা-মৌলভী বলে কি তার খবর মিডিয়াতে প্রচারযোগ্য নয়?
সে ইস্কুল-কলেজের ছাত্র না বলে কি তার রাজনৈতিক,সামাজিক অধিকার নেয়?
সে যদি মাদ্রাসার ছাত্র,মোল্ল-মৌলভী না হয়ে ইস্কুল কলেজের ছাত্র হত!
তাহলে কি তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা তার স্বপক্ষে অবস্থান নিত?
এটাই কি গণতান্ত্রিক রাষ্টের সংঙ্গা?
গণতান্ত্রিক রাষ্টে এটাই কি আমাদের প্রাপ্তি?
সচেতন জনতার কাছে প্রশ্ন।
By Alamgeer Hussain
ফেসবুক থেকে সংগৃহিত
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০১