সীমানা প্রাচীর বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি আমাকে বাঁচাতে,
তবে সুরক্ষা প্রাচীরের মত শকুনের নিরাপত্তা দিয়েছে।
শয়ে শয়ে গোলায় সাজানো উদ্যত কামান ছিল,
বারুদের গন্ধ মিশেছিল বাতাসে,
তবে তা কিসের নিরাপত্তায় জানা ছিলনা!
কাটাতারের বেড়ায় আটকেছিল আমার শৈশব
রাইফেল,বুটের শব্দে ঘুম ভেঙেছে বহুবার,
কে জানতো একই সীমানায় ঘুমিয়ে পড়ব আবার।
লাশকাটা ঘরে আরও অনেকের সাথে আমিও অপেক্ষায় ছিলাম,
যেমন অপেক্ষায় ছিল দুই যুগ আগে ইয়াসমিন,
ডোমের ভোতা কাচিতে দুভাগ হয়েছে আবারও হৃদয়।
জঙ্গলে সুনসান নিরবতায় শুয়োর আমাকে কামড়িয়েছিল,
মাথার পিছে রক্ত জমাট বেঁধে উচু হয়েছিল পাহাড়ের মত।
চোখ দুটো ছিল সোহরওয়ার্দীর শিখা চিরন্তনীর মতই খোলা,
অক্ষিগোলক ছিল স্থীর,নিস্পলক অমাবস্যার অন্ধকারের মত।
আগামী বসন্তে ফোটা মধ্যবিত্ত ভালবাসার সেরা ফুল গোলাপ,
হয়তো গভীর প্রণয়ে খোপায় গুজে দিতো আমার জীবন সঙ্গী।
অথচ নিথর রক্তাক্ত শরীরে পড়েছিলাম প্রাণহীন একা,
তোমাদের বিবেক ছিল কাটাতারের সীমানা প্রাচীরে বন্দী।
দূর্ভেদ্য প্রাচীর একটুও বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি আমাকে বাঁচাতে,
তবে আজ চীনের প্রাচীরের মত শুয়োরের সুরক্ষা দিচ্ছে।
ছবিঃ জাহেদুর রহমান রবিন
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪