>ফ্লুরাইড দাতে জমে থাকা জীবানুর মেটাবলিসম (শরীরের ভিতর ঘটে যাওয়া রাসায়নিক প্রকৃয়া) কে ব্যহত করে জীবানুকে মেরে ফেলতে সম্পূর্ণ ভাবে সক্ষম। ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট দাতকে সম্পূর্ণ জীবানুমুক্ত করে এবং দাতের ক্ষয়রোধ করে। কিন্তু জীবানু কে মারতে হলে আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে এক মিনিট দাত ব্রাশ করতে হবে। সুতরাং দাত যখন ব্রাশ করছেন-ই, ফল পাওয়ার মত করেই করার অভ্যাস করুন।
>ফ্লুরাইড জীবানুর শারিরীক যে প্রকৃয়া ("গ্লাইকোলাইসিস") কে ব্যাহত করে, সেই এক-ই প্রকৃয়া আমাদের শরীরেও চললেও টুথপেস্ট এ পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষতি করার মত যথেষ্ট পরিমাণে ফ্লুরাইড থাকেনা।
>কিন্তু ফ্লুরাইড শিশুদের জন্য ক্ষতিকর কিনা এই বিষয়ে অজস্র বিতর্ক আছে। পক্ষে অসংখ্য গবেষনা ও বিপক্ষে অসংখ্য ভয়াবহ সব আশংকা আছে। আমেরিকান ফুড এন্ড ড্রাগ ইন্সটিটিউট (কস্মেটিক্স ও ড্রাগ টেস্টিং এর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান) ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট নিষিদ্ধ ঘোষনা না করলেও ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য দুটো জিনিস ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট এর গায়ে লিখে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
১) আপনার বাচ্চাকে দাত ব্রাশের সময়, একটি মটরশুটির দানার সমান পরিমাণের টুথপেস্ট দিন
২) ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট যদি আপনার বাচ্চা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে, তাহলে অবশ্যি তাকে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যান।
বাংলাদেশে সব টুথপেস্টের গায়ে এটা লেখা নাও থাকতে পারে অথবা লেখা থাকলেও আপনি মনযোগ দিয়ে নাও পরতে পারেন।