আগের পর্বের লিঙ্কঃ Click This Link
আবিরের আজকে গায়ে হলুদ, ওর বাসায় ছোট করে আয়োজন করা হয়েছিলো। বার বার ওর খালি আজকে নিসাতের কথা মনে পড়ছিলো। যদি বিয়েটা নিসাতের সাথে হইতো তাইলে আজকে কি না খুশিতে থাকতো। একটু আগে তার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা কোনমতে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের পরবর্তি রাউন্ডে উথছে। রাফিয়ার সাথে ওর ২৬ দিনের পরিচয়। ৩০শে মে ওর সাথে প্রথম দেখা, কালকে ২৬শে জুন ওদের বিয়ে। বিয়েটা পুরাপুরি এর্যাঞ্জ, আবিরের মার কলিগের ভাগ্নি। কনে দেখাদেখি করেই বিয়ে ঠিক হইছে ওদের। রাফিয়াকে প্রথম যেইদিন দেখে ওর এতো ভালো লাগছিলো যে, চোখ বন্ধ করে হ্যা বলে ফেলছিলো। নিসাতের সাথে রাফিয়ার কোন মিল নাই। রাফিয়া যেইখানে বিবিএর ৯ সেমিস্টারে পড়তো, সেইখানে রাফিয়া এইবার ইন্টারমেডিয়েট পরিক্ষা দিচ্ছে। আরো দুইটা পরিক্ষাও বাকি আছে। প্রশ্ন আউট হয়ে যাবার জন্য ইংরেজি পরিক্ষা আবার নিচ্ছে। রাফিয়া হিজাব করে, দেখতেও অনেক সুন্দর। তারপরও ওর কাছে নিসাত সবসময় নিসাতই থাকবে।
গত দুইদিন ধরে আবির ওর মা-বাবার সাথেই ঘুমায়। এখন ও ড্রয়িংরুমে বসে আছে। ওর একটা বাজে অভ্যাস হচ্ছে পুরান কথা চিন্তা করে মাঝেমাঝে ও অনেক কান্নাকাটি করে। ঠিক আজকে কেনো জানি পুরান সব কথা চিন্তা করে বসে বসে চোখের পানি ফেলাচ্ছিলো। এইটার সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে নিজেকে এরপর অনেক হালকা লাগে। এইসব যখন হচ্ছিলো, ঠিক ১২টার দিকে নিসাত ওর মোবাইলে হঠাৎ করে কল দেয়। অভ্যাসবশত আবিরও ওর কলটা কেটে কল ব্যাক করে।
- আবির, কেমন আছো?
- হ্যা ভালো, তোমার কি খবর?
আবির মনে করে যে ওর বিয়ের কথা শুনে মনে হয় নিসাত কল দিছে।
নিসাত বলে
- তুমি আবিরই তো, আমার গলা শুনেও তোমার দেখি কোন রিয়েকসন নাই, নাকি অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করো। তাই আমার সাথে কথা বলবা নাকি চিন্তা করতেছো। হইতেই পারে তোমরা ছেলেরা যেই বাল, সবই তোমাদের পক্ষে সম্ভব। বাট আমি জানি আমার আবির এমন না।
- এমন না, মানে।
- এমন না মানে তুমি অনেক লয়েল ছিলা, লয়েল থাকবা আর আমাকে সারাজীবন ভালোবাসবা।
- তোমার জামাই কেমন আছে? বাচ্ছা নিছো। আজকে কি মনে করে ফোন দিলা?
- আস্তে আস্তে, এতো তাড়াহুড়া করলে কিভাবে হবে। সব বলবো, ওয়েট করো।
- আমি আসলে কিছু বুঝতেছিনা, ক্লিয়ারলি বলো।
- আমি বিয়েটা করি নাই।
- মানে?(উত্তেজিতো হয়ে)
- মানে কিছুনা, আমি বিয়ে করি নাই। বিয়ের দিন আমি গিয়ে ছেলেকে সব বলে দিছি। আমি আসলেই পারতাম না ওর সাথে সংসার করতে।
- তাইলে এই ২ আড়াই বছর কই ছিলা? আমাকে বলো নাই কেনো? (আবির এসির মধ্যেও ঘাম আসছিলো)
- তুমি বোধ হয় জানোনা, আমি আমার ক্রেডিট ট্রান্সফার করে মালয়শিয়ার একটা অস্ট্রেলিয়ান বেস একাডেমী থেকে আমার ৩ বছরের ডিপ্লোমা কম্পলিট করছি। কিছু ক্রেডিট ওরা কাউন্ট করছিলো বলে আমার ২ বছরে শেষ করতে পারছি। এখন আর ১ বছর কুইন্সল্যান্ডের একটা ইউনিভার্সিটিতে বাকিটা শেষ করবো। সেপ্টেম্বর থেকে আমার ক্লাস।
- তো কি মনে করে আমাকে আজকে কল দিলা?
- মানে কি, তোমাকে কি আমি এমনে কল দিতে পারি না।
- পারো বাট আজকে কেন?
- আজকে দিছি, কারণ তোমার ফেসবুকের কি হইছে। জুন এর ৩ তারিখ থেকে তোমার ফেসবুক বন্ধ কেনো?
- বাহ, তুমি দেখি, আমার ফেসবুক ভালোই ফলো করতা।
- হ্যা, করতাম বৈকি। দেখতাম তুমি কি সুন্দর সুন্দর ছ্যাকা খাওয়া স্ট্যাটাস দিতা আমাকে নিয়ে। ভালো লাগতো দেখে।
- তোমারতো অ্যাকাউন্ট অফ ছিলো, তাইলে দেখতা কিভাবে। আচ্ছা শুনো, আমার কালকে বিয়ে। হ্যা সত্যি আমি বিয়ে করতেছি।
- মানে কি, বিয়ে মানে?
- হ্যা, আমি মনে করছি যে আমার বিয়ের কথা শুনে তুমি আমাকে ফোন দিছো।
- তা হবে কেনো, আমি কিছু বুঝতেছি না।
- আমিও আসলে কিছু বুঝতেছি না।
- আমার বিয়ে বলেই আমি আমার ফেসবুক ডিএক্টিভ করে দিছিলাম। মা-বাবা বলছিলো ফেসবুকের জন্য যদি তোমার বিয়ে ভেঙ্গে যায়, তাইলে আমরা আর তোমার জন্য মেয়ে দেখবো না।
- দুই বছরের মধ্যেই তুমি তোমার রুপ বদল করে ফেললা?
- আমিতো জানি তুমি বিয়ে করে ফেলছো। আর আড়াই বছরে একটা বারও আমার কথা মনে করছিলা?
- আমি এই সামনের মাসে ২ তারিখে তোমার অফিসে যাবো চিন্তা করছিলাম, আমি ওয়েব পেজ দেখে তোমার প্রথম আলো জবস এর ঠিকানাও বের করছিলাম। তুমি আমার জন্য ওয়েট করতে পারলা না। আমিতো এর মাঝে কারোর সাথে কোন প্রকার সম্পর্কে জড়ায় নাই। আমি জানতাম, তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো যে অন্য কাওকে কোন দিন চিন্তা করতে পারো না। আমি তোমার জন্য আমি আমার বিয়ে ভাঙছি, এরপর পুরা ক্যারিয়ার সেক্রিফাইস করছি। আর এখন শুনি তুমি আরেকজনকে বিয়ে করতেছো। আমি এই কয়দিন সময় নিছিলাম যে আমি কি আসলেই তোমাকে ভালোবাসি কিনা এইটা বুঝার জন্য। তুমি না, তুমি একটা মাদা# চো#।
আবির একটু উত্তেজিতো হয়ে এইবার বলে " সারাজীবন তো তুমিই বলছো, আমি কোন সময় কোনকিছু বলার সুযোগই পাই নাই। এখন আমি বলবো তুমি শুধু শুনবা। কোন কিছু বলবা না।
"ভার্সিটিতে হঠাৎ একদিন বললা, তোমার সাথে প্রেম করতে হবে। আমি গোবেচারা না বুঝে তোমার সাথে প্রেম করতে বাধ্য হইলাম।
তিন বছর পর বললা আমার ফ্যামেলিকে তোমার বাসায় যাইতে তোমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, আমি বাল তখনও বাপের হোটেলে খাই। তারপরও বাপ মার গালি শুনে উনাদেরকে রাজি করায় নিয়ে গেলাম তোমার বাসায়। গিয়ে তারা অপমান হইলো। মেয়েতো দিলোই না উলটা হুমকি দিলো।
এরপর এতো বুঝায়লাম যে চলো পালায় বিয়ে করে ফেলি, দেখবা পরে এরা মেনে নিবে। না সেইখানেও তোমার মনে হইলো তোমার বাপ-মার জন্য আমাকে স্যাক্রিফাইস করা উচিৎ।
এইটাও না হয় মানলাম, এই আড়াই বছর যে প্রত্যেক সেকেন্ড আমি কষ্ট পাইছি এইটা তুমি দেখেও কি একবার মনে হয় নাই যে আমাকে একবার ফোন দিয়ে বলি যে আমি বিয়ে করি নাই আমি এখনো তোমাকে ভালোবাসি।
তুমিই সব ঠিক করো, কখন কি করবা। কখন কি করবা না?
আরে ভাই একবার বলতা, আড়াই বছর কেন, বাল ১০ বছর তোমার জন্য ওয়েট করতে পারতাম। সেই লাস্ট দিনের পর ১ সেকেন্ডের জন্য নাই তোমাকে মিস করি নাই। জানতেছি যে তুমি আরেকজনের সাথে সেক্স করতেছো তারপরও তোমাকে মিস করছি।
তারপরও চাইতাম যে তুমি আমার কাছে ব্যাক করো। ব্যাক করলে একবারও তোমার পিছনের কথা চিন্তা না করে মেনে নিতাম।
তোমার কাছে আমি ছিলাম একজন গিনিপ্যাক, সমস্ত এক্সপিরিমেন্ট তুমি আমার উপর দিয়ে করে নিছো।
এরপরও তুমি বলবা আমি তোমাকে ভালবাসতাম না।
শুনো নিসাত আমি বিয়ের পরও তোমাকে ভুলতে পারবো না। সারাদিন তোমাকে মিস করবো। বোধহয় সময় লাগবে অনেক তোমাকে ভুলতে।
নিসাত একটা কথা বলি, আমার বিয়ে ২৪শে জুন হবার কথা ছিলো কিন্তু মেয়ের বাবা সিঙ্গাপুর থেকে আসতে দেরি করছে বলে বিয়ে ২ দিন পিছায়ছে। কালকে যদি আমার বিয়ে না হয় আমি একটুও কষ্ট পাবো না। সত্যি চাই তুমি আমার লাইফে ব্যাক করো।
নিসাত বললো " সত্যি আমিও চাই, শুধু একটাবারের জন্য তোমাকে পেতে চাই আর এইবার পেলে তোমাকে আর কোনদিন হারাতে দিবো না।"
আবিরের আজকে গায়ে হলুদ, ওর বাসায় ছোট করে আয়োজন করা হয়েছিলো। বার বার ওর খালি আজকে নিসাতের কথা মনে পড়ছিলো। যদি বিয়েটা নিসাতের সাথে হইতো তাইলে আজকে কি না খুশিতে থাকতো। একটু আগে তার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা কোনমতে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের পরবর্তি রাউন্ডে উথছে। রাফিয়ার সাথে ওর ২৬ দিনের পরিচয়। ৩০শে মে ওর সাথে প্রথম দেখা, কালকে ২৬শে জুন ওদের বিয়ে। বিয়েটা পুরাপুরি এর্যাঞ্জ, আবিরের মার কলিগের ভাগ্নি। কনে দেখাদেখি করেই বিয়ে ঠিক হইছে ওদের। রাফিয়াকে প্রথম যেইদিন দেখে ওর এতো ভালো লাগছিলো যে, চোখ বন্ধ করে হ্যা বলে ফেলছিলো। নিসাতের সাথে রাফিয়ার কোন মিল নাই। রাফিয়া যেইখানে বিবিএর ৯ সেমিস্টারে পড়তো, সেইখানে রাফিয়া এইবার ইন্টারমেডিয়েট পরিক্ষা দিচ্ছে। আরো দুইটা পরিক্ষাও বাকি আছে। প্রশ্ন আউট হয়ে যাবার জন্য ইংরেজি পরিক্ষা আবার নিচ্ছে। রাফিয়া হিজাব করে, দেখতেও অনেক সুন্দর। তারপরও ওর কাছে নিসাত সবসময় নিসাতই থাকবে।
গত দুইদিন ধরে আবির ওর মা-বাবার সাথেই ঘুমায়। এখন ও ড্রয়িংরুমে বসে আছে। ওর একটা বাজে অভ্যাস হচ্ছে পুরান কথা চিন্তা করে মাঝেমাঝে ও অনেক কান্নাকাটি করে। ঠিক আজকে কেনো জানি পুরান সব কথা চিন্তা করে বসে বসে চোখের পানি ফেলাচ্ছিলো। এইটার সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে নিজেকে এরপর অনেক হালকা লাগে। এইসব যখন হচ্ছিলো, ঠিক ১২টার দিকে নিসাত ওর মোবাইলে হঠাৎ করে কল দেয়। অভ্যাসবশত আবিরও ওর কলটা কেটে কল ব্যাক করে।
- আবির, কেমন আছো?
- হ্যা ভালো, তোমার কি খবর?
আবির মনে করে যে ওর বিয়ের কথা শুনে মনে হয় নিসাত কল দিছে।
নিসাত বলে
- তুমি আবিরই তো, আমার গলা শুনেও তোমার দেখি কোন রিয়েকসন নাই, নাকি অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করো। তাই আমার সাথে কথা বলবা নাকি চিন্তা করতেছো। হইতেই পারে তোমরা ছেলেরা যেই বাল, সবই তোমাদের পক্ষে সম্ভব। বাট আমি জানি আমার আবির এমন না।
- এমন না, মানে।
- এমন না মানে তুমি অনেক লয়েল ছিলা, লয়েল থাকবা আর আমাকে সারাজীবন ভালোবাসবা।
- তোমার জামাই কেমন আছে? বাচ্ছা নিছো। আজকে কি মনে করে ফোন দিলা?
- আস্তে আস্তে, এতো তাড়াহুড়া করলে কিভাবে হবে। সব বলবো, ওয়েট করো।
- আমি আসলে কিছু বুঝতেছিনা, ক্লিয়ারলি বলো।
- আমি বিয়েটা করি নাই।
- মানে?(উত্তেজিতো হয়ে)
- মানে কিছুনা, আমি বিয়ে করি নাই। বিয়ের দিন আমি গিয়ে ছেলেকে সব বলে দিছি। আমি আসলেই পারতাম না ওর সাথে সংসার করতে।
- তাইলে এই ২ আড়াই বছর কই ছিলা? আমাকে বলো নাই কেনো? (আবির এসির মধ্যেও ঘাম আসছিলো)
- তুমি বোধ হয় জানোনা, আমি আমার ক্রেডিট ট্রান্সফার করে মালয়শিয়ার একটা অস্ট্রেলিয়ান বেস একাডেমী থেকে আমার ৩ বছরের ডিপ্লোমা কম্পলিট করছি। কিছু ক্রেডিট ওরা কাউন্ট করছিলো বলে আমার ২ বছরে শেষ করতে পারছি। এখন আর ১ বছর কুইন্সল্যান্ডের একটা ইউনিভার্সিটিতে বাকিটা শেষ করবো। সেপ্টেম্বর থেকে আমার ক্লাস।
- তো কি মনে করে আমাকে আজকে কল দিলা?
- মানে কি, তোমাকে কি আমি এমনে কল দিতে পারি না।
- পারো বাট আজকে কেন?
- আজকে দিছি, কারণ তোমার ফেসবুকের কি হইছে। জুন এর ৩ তারিখ থেকে তোমার ফেসবুক বন্ধ কেনো?
- বাহ, তুমি দেখি, আমার ফেসবুক ভালোই ফলো করতা।
- হ্যা, করতাম বৈকি। দেখতাম তুমি কি সুন্দর সুন্দর ছ্যাকা খাওয়া স্ট্যাটাস দিতা আমাকে নিয়ে। ভালো লাগতো দেখে।
- তোমারতো অ্যাকাউন্ট অফ ছিলো, তাইলে দেখতা কিভাবে। আচ্ছা শুনো, আমার কালকে বিয়ে। হ্যা সত্যি আমি বিয়ে করতেছি।
- মানে কি, বিয়ে মানে?
- হ্যা, আমি মনে করছি যে আমার বিয়ের কথা শুনে তুমি আমাকে ফোন দিছো।
- তা হবে কেনো, আমি কিছু বুঝতেছি না।
- আমিও আসলে কিছু বুঝতেছি না।
- আমার বিয়ে বলেই আমি আমার ফেসবুক ডিএক্টিভ করে দিছিলাম। মা-বাবা বলছিলো ফেসবুকের জন্য যদি তোমার বিয়ে ভেঙ্গে যায়, তাইলে আমরা আর তোমার জন্য মেয়ে দেখবো না।
- দুই বছরের মধ্যেই তুমি তোমার রুপ বদল করে ফেললা?
- আমিতো জানি তুমি বিয়ে করে ফেলছো। আর আড়াই বছরে একটা বারও আমার কথা মনে করছিলা?
- আমি এই সামনের মাসে ২ তারিখে তোমার অফিসে যাবো চিন্তা করছিলাম, আমি ওয়েব পেজ দেখে তোমার প্রথম আলো জবস এর ঠিকানাও বের করছিলাম। তুমি আমার জন্য ওয়েট করতে পারলা না। আমিতো এর মাঝে কারোর সাথে কোন প্রকার সম্পর্কে জড়ায় নাই। আমি জানতাম, তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো যে অন্য কাওকে কোন দিন চিন্তা করতে পারো না। আমি তোমার জন্য আমি আমার বিয়ে ভাঙছি, এরপর পুরা ক্যারিয়ার সেক্রিফাইস করছি। আর এখন শুনি তুমি আরেকজনকে বিয়ে করতেছো। আমি এই কয়দিন সময় নিছিলাম যে আমি কি আসলেই তোমাকে ভালোবাসি কিনা এইটা বুঝার জন্য। তুমি না, তুমি একটা মাদা# চো#।
আবির একটু উত্তেজিতো হয়ে এইবার বলে " সারাজীবন তো তুমিই বলছো, আমি কোন সময় কোনকিছু বলার সুযোগই পাই নাই। এখন আমি বলবো তুমি শুধু শুনবা। কোন কিছু বলবা না।
"ভার্সিটিতে হঠাৎ একদিন বললা, তোমার সাথে প্রেম করতে হবে। আমি গোবেচারা না বুঝে তোমার সাথে প্রেম করতে বাধ্য হইলাম।
তিন বছর পর বললা আমার ফ্যামেলিকে তোমার বাসায় যাইতে তোমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, আমি বাল তখনও বাপের হোটেলে খাই। তারপরও বাপ মার গালি শুনে উনাদেরকে রাজি করায় নিয়ে গেলাম তোমার বাসায়। গিয়ে তারা অপমান হইলো। মেয়েতো দিলোই না উলটা হুমকি দিলো।
এরপর এতো বুঝায়লাম যে চলো পালায় বিয়ে করে ফেলি, দেখবা পরে এরা মেনে নিবে। না সেইখানেও তোমার মনে হইলো তোমার বাপ-মার জন্য আমাকে স্যাক্রিফাইস করা উচিৎ।
এইটাও না হয় মানলাম, এই আড়াই বছর যে প্রত্যেক সেকেন্ড আমি কষ্ট পাইছি এইটা তুমি দেখেও কি একবার মনে হয় নাই যে আমাকে একবার ফোন দিয়ে বলি যে আমি বিয়ে করি নাই আমি এখনো তোমাকে ভালোবাসি।
তুমিই সব ঠিক করো, কখন কি করবা। কখন কি করবা না?
আরে ভাই একবার বলতা, আড়াই বছর কেন, বাল ১০ বছর তোমার জন্য ওয়েট করতে পারতাম। সেই লাস্ট দিনের পর ১ সেকেন্ডের জন্য নাই তোমাকে মিস করি নাই। জানতেছি যে তুমি আরেকজনের সাথে সেক্স করতেছো তারপরও তোমাকে মিস করছি।
তারপরও চাইতাম যে তুমি আমার কাছে ব্যাক করো। ব্যাক করলে একবারও তোমার পিছনের কথা চিন্তা না করে মেনে নিতাম।
তোমার কাছে আমি ছিলাম একজন গিনিপ্যাক, সমস্ত এক্সপিরিমেন্ট তুমি আমার উপর দিয়ে করে নিছো।
এরপরও তুমি বলবা আমি তোমাকে ভালবাসতাম না।
শুনো নিসাত আমি বিয়ের পরও তোমাকে ভুলতে পারবো না। সারাদিন তোমাকে মিস করবো। বোধহয় সময় লাগবে অনেক তোমাকে ভুলতে।
নিসাত একটা কথা বলি, আমার বিয়ে ২৪শে জুন হবার কথা ছিলো কিন্তু মেয়ের বাবা সিঙ্গাপুর থেকে আসতে দেরি করছে বলে বিয়ে ২ দিন পিছায়ছে। কালকে যদি আমার বিয়ে না হয় আমি একটুও কষ্ট পাবো না। সত্যি চাই তুমি আমার লাইফে ব্যাক করো।
নিসাত বললো " সত্যি আমিও চাই, শুধু একটাবারের জন্য তোমাকে পেতে চাই আর এইবার পেলে তোমাকে আর কোনদিন হারাতে দিবো না।"
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬