২০১৪ এর ৩০শে মে সকাল সকাল যখন এক ফ্রেন্ড এর সাথে পুরান ঢাকায় খাইতে যাবার প্লান চলছে তখন বাপ্পি(আমার বাবা) এসে বললো যে বিকালে ফ্রি থাইকো, একটা মেয়েকে দেখায়তে নিয়ে যাবো। আমি একটু অবাক হইলাম এইটা কি বলে আবার। তো কি আর করা তাই খাওয়ার প্লান বাদ দিয়ে উলটা না খেয়ে থাকলাম যাতে আমাকে একটু শুকনা লাগে। যথারীতি সন্ধ্যাবেলায় মেয়ের সাথে দেখা হইলো। মেয়ে পর্দা করে, নামাজ পড়ে, দেখতেও সুন্দর আবার মেয়ের বাড়ী নড়াইলে, নড়াইলের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা আছে কারন এই নড়াইল থেকেই শরীফ, মাসরাফি, রাসেলের মতো পেসার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে খেলছে আবার আমার নানা বাড়ীও। তাই আর দেরি না করে হ্যাঁ বলে দিলাম। এখন অপেক্ষা মেয়ের হ্যাঁ শুনার। মেয়েও প্রায় সাথে সাথেই হ্যাঁ বলে দিলো। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দেখা করছিলাম বলেই মনে হ্যাঁ বলছে। আলোতে দেখলে হ্যাঁ বলার কোন সম্ভাবনা ছিলোনা, আমার বিশ্বাস।
তারপর বিয়ের ঠিক একদিন আগে বাবা যখন ফোনে দাওয়াত দিচ্ছিলো তখন কান পেতে শুনি সিলেটের ভাষায় বলতেছে "পুরীর বাড়ী গোপালগঞ্জ। আর পুরীর বাবা সিঙ্গাপুর থাকোইন" এর মানে হচ্ছে "মেয়ের বাড়ী গোপালগঞ্জ আর মেয়ের বাবা সিঙ্গাপুর থাকে"। আমি সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করি "এইটা তোমরা কি বললা? মানে কি?" কারন আমার ১টা শর্ত ছিলো যে বিয়ে করলে গোপালগঞ্জ আর বিক্রমপুর এর মেয়েকে বিয়ে করবো না। আমার বাবা-মা তখন বলে "আমরা তোমাকে জানাই নাই, কারন ভালো মেয়ে পাইছি এরপরও গোপালগঞ্জ শুনলে তুমি না করে দিবা। এর আগে বিক্রমপুরের একটা ভালো মেয়েকে তুমি না করে দিছো।" কি আর করা তাই ভূল করে গোপালগঞ্জের মেয়েকে বিয়ে করে ফেলতে হইলো।
পরে আল্লাহর রহমতে প্রমানিত হইলো যে "সেইদিনের ভুলটাই আমার জীবনের সবচেয়ে সঠিক কাজ ছিলো" বাকি সবকিছু আল্লাহ জানে। আপনারা দোয়া করেন যাতে সারাজীবন যাতে একসাথে সংসার করে যেতে পারি"
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০১