আমার এক অফিসের অ্যামেরিকা ফেরত নোয়াখালির এক ডাইরেক্টর ছিলেন। স্যারের কথাবার্তা শুনলে উপায় নেই তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার, দোষের মধ্যে দোষ বলতে “প” উচ্চারন করতে গিয়ে উনি “ফ” উচ্চারন করতেন।
পাখি উনার কাছে হতো ফাখি; প্রশ্ন হতো ফ্রশ্ন; পরশুকে বলতেন ফরশু।
এতোটুকু পর্যন্ত ঠিক ছিলো। সমস্যা হলো যেদিন অফিসের এক ছেলে দেরী করে অফিসে ঢুকলো।
“এই ফাজিল ছেলে, তুমি ফ্রতিদিন দেরী করে অফিসে আসো কেনো?”
“স্যার, আমি মেসে থাকি, নিজের রান্না নিজেই পাক করে খাই”।
“নিজেই রান্না নিজেই ফাক করো? ফ্রতিদিন ফাক করতে হয়? প্রতিদিন ফাক করলে কাজ কখন করবা?”
ছেলে চুপ, অফিসের মেয়ে কলিগরা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে, ছেলেরা চোখ মুখ কুচকে হাসি বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
“বলো, জবাব দাও, ফ্রতিদিন ফাক করলে অফিসের কাজ করবা কখন?”
“এইতো স্যার”।
“এইতো স্যার মানে? আমার ফ্রশ্ন ক্লিয়ার; আমি আশা করি উত্তর ও ক্লিয়ার করে দিবা, আজকে কি ফাক করছো বলো?”
ছেলে কোনো মতে উত্তর দিলো “স্যার মুরগী রান্না করছি, মাছ ও রান্না করতে হইছে রাতের জন্য”।
“সকাল সকাল মুরগী ফাক করছো? মাছ ও ফাক করছো? কাজকর্মের চেয়ে ফাক করা ইম্পরটেন্ট তোমার কাছে। আর একদিন দেরী করলে অফিসে ঢূকতে দিবো না বলে দিলাম”।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫