*আমার ইচ্ছার চেয়ে ভারী কোনো আভূষণ যদি আমাকে পরানো হয়..
তা সবসময় অন্যায়ই হবে।
*প্রকৃত সে নিজেই সমালোচনাতে বাঁচে,
যে সমালোচনা করে।
*পানিটা ওপর থেকে পড়ছে
বাড়ছে নিচ থেকে
ঠিক কোন মাঝ বরাবর, জানিনা, সে গভীর হয়ে যায়...
নিচে তল,
ওপরেও ঠিকানা
মাঝে কেবলই ভয় (অজানা)।
*জানা ভয় আর অজানা ভয়ের পার্থক্যেই কারো এক কদম বাড়ে,
কেউ এক কদম হারে।
*তোমার চিন্তা কিনে নেয়া হচ্ছে
পৃথিবীটার ভুঁড়ি ঢুলছে।
*আবরণ একটা আইডিয়া, একটা চিন্তা। কোনো অস্তিত্ব নয়।
আবরণে মোড়াতে গিয়ে মানুষ নিজেকেই একটা চিন্তায় পরিণত করে নিয়েছে।
হয়তো এই চিন্তা থেকে আবার অস্তিত্বে ফেরত আসতে আরও একটি ইচ্ছার-বিস্ফোরণ দূরত্ব।
*বাকি চরিত্রের কথা বলতে গিয়েই গল্প বড়ো হয়,
প্রকৃত তোমার আমার গল্পটা ছোট।
*বাকি সব কষ্টকেই তুমি চিঠি লিখে নিয়তা দাও তোমার ঠিকানায় আসতে,
শুধু কিছুটা বেনামী, কিছুটা হঠাৎ।
*যেন পৃথিবী একটা বন,
এবং আলো আর অন্ধকার দুটি বাঘ;
প্রবাদ- এক বনে দুই বাঘ থাকে না।
*আশ্রয়কে যদি প্রশ্রয় মনে করে বসো....
*আঘাতটা অন্য কারো, ফাটলটা তোমার।
*মগজের ভাঁজে ঢুকেছো, তাইই ভুলেছি।
রক্তের মতো চলাচল করো।
*মানুষ কেবল দুই প্রকার মানুষ থেকে শেখে-
এক, যে এখন শিখছে।
দুই, যে অভিজ্ঞ।
*বাহারি নান্দনিক গাছ সদৃশ্য কিছু মানুষ আছে-
উপরের পাতাগুলো ছাঁটার মতো করে যারা নিজেদের বাহিরটাকে ছেঁটে-মেপে রাখে,
আর গভীরে শেকড়ের মতো কোথায় কীরূপে বিস্তৃতি নিচ্ছে তার সত্য (ভিত্তি/মতলব/ধারণা-পোষণ), জানা যায় না। যদিও...
*মনের অসুস্থতা মুখের ঔষধ দিয়ে সারে না।
(মনের অসুস্থতা মুখের সুবচনে ঢাকে না)
*পাপ হলো প্রকৃতি সদৃশ্য, আছেই বা, শুরু থেকেই আছে,
আর পুণ্য হলো সেই প্রকৃতিকে খেয়াল করা, পুণ্য হলো সেই প্রকৃতিতে দৃষ্টিপাত করা।
*ইন্দ্রিয়ের ব্যবহারই কর্ম,
কর্ম মানেই নিয়ন্ত্রণ।
*জীবনসঙ্গী,
যে তোমার আগেও নেই, পিছেও নেই;
পাশাপাশি।
তুমিও কি তোমার জীবনসঙ্গী?
*চেষ্টার পর দুশ্চিন্তা আসে,
আগে যা আসে, তা ভাবনা-শঙ্কা-সন্দেহ।
*এলোমেলোর পরিধি-পরিসর অনেক বেশি, বরাদ্দ/বাজেটহীন।
গোছানোর পরিসর কম, কেন্দ্রীভূত। ফোকাসড।
*অনুভূতির সাথেই সংস্করণ আছে,
অনুভূতি নেই, তো মানুষের সংস্কারও নেই।
*সন্দেহ যেকোনো দরজাকে বন্ধ করে দিতে পারে,
এরপরে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, শুধুমাত্র সেই প্রশ্নটিই তবে বন্ধ দরজার চাবি হতে পারে।
*মানুষ কীসে মুক্ত হয়?
বন্ধনের মাঝে থাকা স্বাধীনতায়ই মানুষের প্রকৃত মুক্তি।
*সিন্দুকে কয়লা রাখে কেউ? না।
তাহলে, কটু কথাও মনে রেখো না।
*নিজেকে যথা করতে গিয়ে নষ্ট হয় নিজের 'কর্ম'। কর্ম করতে গিয়ে মানুষের মধ্যে কখনো কখনো ভর করে 'আমিত্ব'। আমিত্ব নিয়ন্ত্রণ নেয়এবং প্রকট হয় 'অহং' (ego)। 'কর্মই মূল', কবে যেন পড়েছিলাম? কর্মই মূল হলে মানুষের মধ্যে অহং আসতো না।
*ওর হাত ধরে আজ অনেকক্ষণ হাঁটলাম। স্মৃতিপটে সেখানেই তো ও বসা।
*নির্ণয় করো সময় দেখে,
আদর্শ দেখে নয়। কারণ, আদর্শ চিরন্তন হলেও ঐ সময়ের ওপরেই শেষতক নির্ভরশীল।
*তুমি আমার আবরণ
আমিও কি তোমার?
কাছে বা দূরে
ছায়ায় বা রৌদ্রে
সামনে বা পেছনে
শব্দে বা চুপ করে;
কোনো বেদী,
সমুদ্রসমান বিশালতায়।
একটি বুক,
খুব শূন্যতায়।
কোনো দেয়াল,
ঠেকে যাওয়া পিঠে।
একটি হাত,
প্রতীক্ষার হাতে।
*রক্তের ছদ্মনাম, স্বীকৃতি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৬