পরিবর্তন কি মানুষের মতোই কোনো জিনিস যাকে অবয়বে দেখা যায়, ধরা যায়? নাকি এমনকিছু, যাকে শুধু অনুভবে রাঙানো যায়, ফোটানো যায়? এমনকিছু, যার নিজের কোনো আকার তো নেই (অথবা কেবল গতি, অথবা একটা অস্পষ্ট রূপ), কিন্তু শুধুমাত্র মানুষের ধারণের মধ্য দিয়েই আস্তে আস্তে স্পষ্ট রূপে নিজের আকার এঁকে নেয়?
জীবনপ্রাপ্তি বা ভূমিকাপ্রাপ্তি থেকেই কোনোকিছুর যাত্রা শুরু হয় পরিবর্তনে অথবা পরিবর্তনের দিকে। কোথায় কার পরিবর্তনের শেষ তা কেউ জানে না। হয়তো শেষ না হয়েও পরিবর্তনের মাঝেই ত্যাগ দিতে হয় সে-সবকিছু, যা-কিছু প্রাপ্ত হয়েছিলো। কিন্তু কিছুই ব্যর্থ নয়। অপ্রয়োজনীয় নয়, আধা নয়। সবই কিছু মাত্রা পর্যন্ত সফল, এবং অপেক্ষায়...মূল উদ্দেশ্য সাধনের।
অতীতে যা সত্য ছিলো, যা ছিলো অনুভবতায়, তা সত্য, চির। আবার আজ যা সত্য না, যা নেই অনুভবতায়, নেই চৈতন্যে, তাও সত্য, চির। সময় সবার জন্যই জায়গা তৈরি করে দেয় (অথবা বরাদ্দ)। বলা যায় সময় উদার। সময়কে সায় দেওয়াটা মূল নয়, বরং যে সায় দিচ্ছে প্রকৃত সে-ই মূল, ফোকাসে।
যেন বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হচ্ছে, যে গান যে সুর হৃদয়ের দরদকে না স্পষ্ট করে, আবার না জাগায়, কেবলই শোনায় তার কৃতিত্ব কোথায়?
যে কবিতা পড়তে পড়তে অর্থ অনর্থ হয়ে যায়, বোঝা যায় না তার কোনো উদ্দেশ্য বা জীবনরূপ ভূমিকা, তার আত্ম অথবা আত্মিক শুশ্রূষা- যা অনুভবতাকে শীতল করে, গভীর করে, কেবলই লেখ্য রূপে কয়েকটা সংবর্ধনায় তার কৃতিত্ব কোথায়? সব কর্মের বিপরীতেই জড়ো হয়ে থাকে তার উদাসীন ব্যর্থতা- সেই ব্যর্থতা পেতে কোনোরকম প্রতিজ্ঞা নিতে হয় না।
এই পৃথিবীতে ভালো কিছুর প্রকৃতই কোনো নির্দিষ্ট দেশ, জাতি বা কাল নেই- যা আমরা বলেছি, শুনি, শুধু বিশ্বাসটাই করিনি। বিশ্বাস মানেই তো চর্চা! নয় কি? আর যার কোনো কিছু নির্দিষ্ট নয়, সে কখনো অপ্রকাশ্যও থাকে না। সমস্ত পৃথিবীই তার- তার আয়োজনে, প্রয়োজনে, ইচ্ছায়। কেউ না কেউ খুঁজে নেবে বারবার, বুঝে নেবে, মনে রাখবে, অনুসরণ করে যাবে।
**A Scholar says, when you get that feeling, ''this is time to change''...that is THE CALLING and you should turn to change. The action of change itself will split the seconds from your old You to your new You.
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫০