পৃথিবীর সবচেয়ে দুষ্টু মুখটা শান্ত হয়ে আসে
ঘুমে...
অনুভব করি।
অনুভব করা, মানে, তার সাথে বন্ধুত্ব করা। সে হতে পারে নদীও,
বা কোনো এক সকালের স্নিগ্ধতা।
হতে পারে একগুচ্ছ শূন্যতাও, (তাও শূন্যতার ধারেকাছে যেতে পারে না এমনকিছু)
প্রকাশ্য শব্দে তাদের জড়ানো যায় না, জড়িয়ে উষ্ণতাও দেয়া যায় না। কিছু কবিতাকথা মৌন মনের স্বীকৃতি খোঁজে।
বা কেবলই নীরবতা। তারা তেমনই। তারা তেমনই অনুভব।
তবু লিখছি। লিখছি এমনভাবে, যেন সমুদ্রে ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলে চলছি অনুভূতির পাতা! পিছুটান নেই। কোথায় গিয়ে ডুবছে, ভাসছে, হারিয়ে যাচ্ছে- সে খেয়ালও নেই!
খুব মুগ্ধতা নিয়ে পড়ি পড়ি করে পাঠক হয়ে উঠিনি নিজে নিজের। নির্ভুল করে ভুল করেছি বিপরীতের পাতে ছিলো যতো অজুহাতের আমলনামা। এরাও শূন্যতা।
শূন্যতা, বহুবচনে।
একের শূন্যতা মানে তো পুরো শূন্যতা নয়। কেবল শূন্যের একটি অবস্থা। আর যদি ধরি লীনের বাইরে, যা একাকার, সেটাও শূন্য নয়। কখনোই শূন্য নয়।
যা বিলীন, তা কখনোই শূন্য নয়।
এমনকি যদি ধরিও
মানুষ, এবং মানুষের মাঝেই থাকা একটা বোধ
যা একাকার হয়ে যাচ্ছে, বা বিলীন হয়ে যাচ্ছে একটা জায়গায়- তবে সেখানে শূন্যতা নয়, অনন্ত ভরপুরতাই সত্য।
শূন্য দিয়ে শুরু। কিছু একটা দিয়ে যখন শুরু হয়, তখন সেই কিছু একটার আগে থাকে সেই কিছু একটার সৃষ্টি। শূন্যের আগে রয়েছে শূন্যের সৃষ্টি। যাকে আমরা অসঙ্গায়িত বলি।
ছবি যেমন সেটাই বলে, যা তাকে বলতে বলা হয়। তার আপন কোনো বোল বা শব্দ নেই। কথা নেই। ছবির বাইরে ভেতরে যে জীবন, সে জীবন বরাবরই স্বচ্ছ আয়না। দেখতে চাইলেই কেবল দেখা যায়।
নতুবা যাপনেই সমাধি নেয় সব প্রতিচ্ছবিরা। প্রতিফলন।
বেঁচে থাকে কেবল, গতানুগতিকতা।
বেঁচে থাকে কেবল ধারণা।
বেঁচে থাকে কেবল ধারণা, যাকে সংজ্ঞায়িত আর অসংজ্ঞায়িতের মাঝে মনে হয় কোনো উৎকৃষ্ট উচ্ছিষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৩