- কিরে রকিব, নতুন সানগ্লাস কিনেছিস মনে হচ্ছে। ব্রান্ডের নাকি?
- আরেহ নাহ। ব্রান্ডের কেন হবে। শালায় মনে হয় ফার্মগেটের ফুটপাথ থেকে কিনসে ৮৫ টাকা দিয়া , পাশ থেকে বলল শহিদ।
- ধুর ব্যাটা। তোরা ৮৫টাকার সানগ্লাস পড়িস তো। তাই এমনই বলবি। এতদিন আমার সাথে হেটেও জানিস না যে , আমি ব্রান্ড ছাড়া কিছু ইউজ করিনা।
বলল গ্রুপের সেরা চাপাবাজ রকিব।
- বুঝছি তোর ব্রান্ড। গ্যালাক্সি এস৫ এর কপি ইউজ কইরা গ্যালাক্সি কইয়া ভাব নিতে গিয়া ধরা খাওয়া রকিব না তুই?
পাশ থেকে আবারও খোচা দেয় শহিদ। খোচা দেয়া স্বভাব টা গেলো না তার এখনো।
- বাদ দে তো আজাইরা প্যাচাল। আজ সানগ্লাস কিনতে গিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটছে বসুন্ধরা সিটিতে। শুনবি?
- কি ঘটনা শুনি তো। কোন মাইয়া অফার টফার দিসে নাকি?
অনেকক্ষন পর মুখ খুলল আরিফ।
- আরেহ না। ঘটনাটা হল, আজ যখন বসুন্ধরা সিটিতে গেলাম। ভাবলাম একটা সানগ্লাস কিনতে হয়। আমার আগের সানগ্লাসটার কাহিনী তো জানিস। ওই যে লিমা আমাকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছিল।
যাহোক, চশমার একটা দোকানে ঢুকলাম। ঢুকে দেখলাম দোকানদার একা বসে আছে। আমি ডিসপ্লে থেকে কয়েকটা চশমা পছন্দ করে বের করতে বললাম। চশমা গুলো বের করার পর পরে দেখলাম। একদমই পছন্দ হচ্ছিল না। যদিও সব আসল র্যা ব্যান, ওকলের চশমা।
- কেম্নে বুঝলি আসল?
মাঝখান দিয়ে বাধা দেয় শহিদ।
- আরে ডিস্টার্ব করিস না তো। ওরে গল্প বলতে দে না।
বলল আরিফ।
শহিদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আবারও বলা শুরু করে রকিব।
- সবশেষে একটা চশমাও পছন্দ হয়নি। বিরক্ত হয়ে দোকান থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলাম। হঠাত করে দোকানদার পিছন থেকে ডাক দিল। বলল, ভাই একটা হলেও চশমা চয়েজ করেন প্লিজ। যেটা চয়েজ করবেন সেটাই আপনার।
আমি অবাক হয়ে বললাম, ফ্রী দিবেন নাকি?
জ্বি ভাই। আপনার জন্য ফ্রী। যেকোন একটা।
ফ্রী দিবেন কেন? আমি কি আপনার সম্পর্কের কেউ হই নাকি?
না ভাই। এই চশমার বদলে আমি আপনার একটা ছবি তুলে রাখবো। সানগ্লাস পড়া অবস্থায়। আমার দোকানের বিলবোর্ডে দেয়ার জন্য।
আমারে বিলবোর্ডে ব্যবহার করবেন কেন! দেশে কি মডেলের অভাব নাকি?
না ভাই। আপনাকে সানগ্লাস লাগালে সেই মাপের স্মার্ট লাগে। শাহরুখ তো দূরের কথা ব্রাড পিট,টম ক্রুজ ফেইল আপনার কাছে।
একটানে গল্পটি বলা শেষ করে রকিব। ওর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে শহিদ আর আরিফ।
হঠাত করে শহিদ বলে, কিরে গাঞ্জা খায়া আসছস নাকি?