The Wolverine:
২০১৩ সালের একটি ব্যাবসা সফল মুভি। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন জাপানী সৈনিকের জীবন রক্ষা করে ওলভারিন। সৈনিকটি তার মৃত্যুসয্যায় ওলভারিন কে জাপানে ডেকে পাঠায়। সেখানে সে সংঘাতে জড়িয়ে পরে।
পুরো মুভিটা একটা গাঁজাখুরি প্লটের উপর তৈরি। কোইন্সিডেন্স এর উপর ভিত্তি করে মুভির কাহিনী সামনে এগিয়েছে। ওলভারিন (হিউ জ্যাকম্যান) ব্যতিত বাকি সবার অভিনয় ছিল যান্ত্রিক। মুভিতে অনেক গুলো প্লট হোল ছিল। এসব প্লট হোল দিয়ে ট্রেন ঢুকানো যাবে বলে আমার বিশ্বাস। অনেক কারেক্টার ছিল ইম্যাচিউর। ওলভারিন এর সাথে মারিকোর কেমিস্ট্রি বিল্ড আপ হওয়ার আগেই তাদের কে বিছানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ভাইপার নামক মিউট্যান্ট এর মোটিভ সত্যিকারে কি ছিল সেটা দেখানো হয় নি।
Turbo:
এই এনিমেশন মুভিটি অনেকের কাছে ভালো লেগেছে। মুভির কাহিনী হচ্ছে, টার্বো একটি শামুক। যার রেসিং করার স্বপ্ন অনেক। একদিন হঠাত করে সে সুপার পাওয়ার পেয়ে যায়। সে হয়ে যায় রেসিং এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
কাহিনী সাদামাটা। কোন টুইস্ট অথবা গভীরতা নেই। খুবই সাধারন রম্য দিয়ে মানূষকে হাসানোর চেষ্টা। মুভির এন্ডিং প্রেডিক্টেবল। ড্রিমওয়ার্ক্স এর কাছে এর থেকে ভালো কিছু আশা করেছিলাম। পুরোই টাইম নষ্ট। আজাইরা সময় থাকলে দেখতে পারেন। একটাই পজিটিভ দিক, এনিমেশন কোয়ালিটি ভালো।
Percy Jackson: Sea of Monsters:
ভালো মানের গ্রাফিক্সে তৈরি বেশ এনজয়েবল একটা মুভি। হাফ ব্লাড (ডেমি গড বা গডদের মনুষ্য সন্তান) দের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান কে রক্ষা করতে সমুদ্রের দেবতা পোসাইডনের পুত্র পার্সি জ্যাকসন এবং তার বন্ধুদের অভিযান। মিথিক্যাল গোল্ডেন ফ্লিস কে উদ্ধার করার মাধ্যমে এক বহু পুরাতন অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে অলিম্ফিয়াস এবং পৃথিবী কে।
এ মুভির সিক্যুয়েল পার্সি জ্যাকসন অ্যান্ড দ্যা অলিম্ফিয়ান্সঃ দ্যা লাইটনিং থিফ ছিল বেশ এনজয়েবল মুভি। কাস্টিং ও ছিল অসাধারন। পিয়ার্স ব্রসনান ছিল এবং জিউস এর চরিত্রে ছিল Sean Bean তারা এ মুভিতে নেই। সিক্যুয়েলে পার্সি জ্যাকসন এবং এনাবেথ এর যে কেমিস্ট্রি দেখানো হয়েছিল সেটি এবার পুরোই অপজিট। এমনকি এনাবেথের ব্যাডএস ভাবটা মূলত আমাকে আকর্ষন করেছিল সেটা এ মুভিতে এসে টিপিক্যাল নায়িকাতে রূপ নিয়েছে। এ মুভিতেও বেশ কিছু প্লট হোল আছে। মেগাবাইট এবং সময় থাকলে মুভিটা দেখার যোগ্য।
Monster University:
পিক্সারের মনস্টার ইঙ্ক এর প্রিক্যুএল মনস্টার ইউনিভার্সিটির জন্য গত বছর থেকে অপেক্ষা করছিলাম। মনস্টার ইউনিভার্সিটিতেই সালি এবং মাইকের পরিচয় এবং বন্ধুত্ব। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মজার ঘটনার উপর ভিত্তি করেই মনস্টার ইউনিভার্সিটি মুভিটি।
পিক্সারের অন্য মুভির তুলনায় ভালো লাগেনি (Better than Brave and cars 2, Brave is Worst) । কাহিনীর ডিপনেস কম। মুভির বেসিক প্লটের উপর বিশ্বজুড়ে শখানেক মুভি তৈরি হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। সালি এবং মাইকের কেমিস্ট্রি ভালো দেখালেও কারেক্টার ডেভেলোপমেন্ট নিম্নমানের। প্রেডিক্টেবল মুভি। মুভিটি মূলত ব্যবসা করেছে মন্সটার ইঙ্ক এর জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে।
Hangover Part 3:
Wolf pack এর একজন সদস্য কে কিডন্যাপ করা হয়। এখন Wolf প্যাক এর দায়িত্ব হলো জেল পলাতক চাও কে খুজে বের করা এবং হস্তান্তর করা।
সাম্প্রতিক দেখা মুভি গুলোর মধ্যে অন্যতম বাজে কমেডি মুভি হলো হ্যাংওভার থ্রি। এটাকে কমেডি মুভি বলা যাবে কিনা সন্দেহ আছে আমার। আপনি যদি মনে করেন হ্যাংওভার টু’র থেকে এটি ভালো হবে তাহলে ভুল করেছেন। একই সিরিজের পর পর দুইটা ফাউল মুভি বের হবে আমি ভাবতেও পারি নাই। এই মুভিতে হাসির উপকরন খুবই কম। Imdb তে একজন লিখেছেনঃ “This film should have been put in a recycle bin to make some plastic Dixie cups from. 4 or 5 plastic cups would have been a much better use of the material”
আপাতত এগুলোই দিলাম। ভবিষ্যতে আরো বাজে মুভি নিয়ে হাজির হবো :p
Iron Man 3 এবং Oblivion নিয়ে লিখে সময় নষ্ট করলাম না। এগুলো ফাউলের চেয়েও ফাউল।