ড. ইউনূসের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার একটি দীর্ঘ জবাব দিয়েছে ইউনূস সেন্টার। ইউনূস সেন্টার ড. ইউনূসের পক্ষে বা তাঁর কর্মকা- সম্পর্কে পজিটিভ প্রচার চালানো ও তাঁকে ডিফেন্ড করার জন্যই একটি প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি অনেকের কাছেই খটকা লাগে। অবশ্য, এটা রুচির বিষয়। যার যেমন রুচি তিনি তেমন কাজ করবেন। সমাজে এ স্বাধীনতা একটা পর্যায় পর্যন্ত থাকতে পারে। কিন্তু কেউ সীমা লঙ্ঘন করলে, সংবিধান নির্দেশিত প্রচারের বা কথা বলার স্বাধীনতার বাইরে গেলে তখন অবশ্য ভিন্ন প্রশ্ন। কারণ, সাংবাদিক হিসেবে আমরা জানি, সংবিধান আমাদের বলে দিয়েছে, আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আইনের দ্বারা বিধিবদ্ধ। যা হোক, ইউনূস সেন্টার ২৮ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শুরুতেই বলেছে, ...‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বেশকিছু ভুল ও অসত্য মন্তব্য করেছেন।’ ভুল যে কেউ করতে পারেন। অসত্য কিন্তু ভুলের মতো কোন এক্সিডেন্টাল কিছু নয়, অসত্য সব সময়ে ব্যবহার হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে। মানুষ কোন একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই একটি অসত্য বলে থাকে। যেমন হেফাজতীরা বলেছিল সরকার মতিঝিলে তাদের সমাবেশে গুলি চালিয়ে কয়েক হাজার মানুষ হত্যা করেছে। মানবাধিকার কর্মীর নামে আদিলুর রহমান একটি অসত্য লিস্ট হাজির করেছিলেন। কিন্তু কেউই মৃতদের প্রকৃত নামের তালিকা ও ঠিকানা দিতে পারেনি। এগুলোই অসত্য। তাই কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কোন তথ্য দেন তাকে অসত্য বলা যথেষ্ট ঔদ্ধত্য প্রকাশ। এই ঔদ্ধত্য ইউনূস সেন্টার দেখিয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি মিথ্যাবাদী বলেছে। এই একই ধরনের ঔদ্ধত্য আমরা সংবাদপত্রেও দেখেছিলাম। প্রথম আলো পত্রিকা তাদের প্রথম পাতায় একই শব্দ ব্যবহার করে মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিল, তাদের শিরোনাম ছিল- ‘শেখ হাসিনা অসত্য বলেছেন’। প্রথম আলো এ কথা লিখেছিল ১/১১-এর সামরিক সহায়তার সুশীলদের শাসন আসার মাত্র তিন মাস আগে এবং ওই ১/১১ এর অন্যতম এক কুশীলব ড. ইউনূসও। তিনি ১/১১ এর কুশীলবদের সহায়তায় রাজনৈতিক দলও গঠন করেছিলেন। তাই বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটা একটি অশনি সঙ্কেত। কারণ, এ মুহূর্তে নানা স্থানে ১/১১ এর লোকদের শক্তিশালী দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে সুপ্রীম কোর্টে ১/১১ এ শেখ হাসিনার জামিন বিরোধিতাকারী আইনজীবীরাও নাকি এই আমলে বিচারপতি হতে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিশিষ্ট নাগরিকের নামে ১/১১ এর অনেককে এখন নানা স্থানে সামনে দেখা যাচ্ছে। তাদের মতামত নেয়া হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য। তাই স্বাভাবিকই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে, গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষের কাছে ইউনূস সেন্টারের এই ঔদ্ধত্য কিন্তু অনেক বড় বার্তা। সরকারের এবং দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষদের এখনই কিন্তু এই ১/১১ এর কুশীলবদের মাথাচাড়া দেয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
ড. ইউনূস যে ঠিকমতো কর দেন না, বরং উল্টো কর্তৃপক্ষের নামে মামলা করেন- প্রধানমন্ত্রী সংসদে এ কথা বলেছিলেন। এক্ষেত্রে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য, ড. ইউনূস পুরোপুরি ট্যাক্স দিয়ে আসছেন। বরং হঠাৎ করে এনবিআরের কিছু আইনী পরিবর্তনের ফলে তাকে মামলা করতে হয়েছে। ড. ইউনূস অত্যন্ত প্রতিভাবান ব্যবসায়ী। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে যেমন তাঁর প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তেমনি কর না দেয়ার ক্ষেত্রেও তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। যেমন একটি ঘটনা উল্লেখ করলে বোঝা যায় তিনি কীভাবে অর্থকে হাওয়া করে ফেলেন। যেমন ১৯৯৭-৯৮ সালে নরওয়ে তাদের একটি অনুদান দেয় বন্যার্তদের হাউজিংয়ের জন্য। দুই বছর পরে নরওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই টাকার আর কোন হদিস পাচ্ছিল না। কারণ, দুই বছর অডিট রিপোর্টে দেখানোর পরে আর ওই টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে ছিল না। নরওয়ে কর্তৃপক্ষ অনেক খোঁজাখুঁজির পরে দেখতে পায়, ড. ইউনূস তাঁর গ্রামীণ ব্যাংকের সিস্টার অর্গানাইজেশন গ্রামীণ হাউজিং সোসাইটিকে ওই টাকা দিয়েছেন এবং সেখানে নরওয়ের শর্ত পালন করা হচ্ছে। অর্থাৎ নরওয়ে কর্তৃপক্ষের শর্ত ছিল, ওই টাকায় কোন সুদ নেয়া যাবে না। গ্রামীণ ব্যাংক তাই তাদের হাউজিং সোসাইটিকে দেয়া অর্থের ক্ষেত্রে সেটা সুদ ছাড়া দেখিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে হাউজিং সোসাইটি যাদের ওই টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে সেখান থেকে সুদ নিচ্ছে। নরওয়ের টাকাটা ছিল অনুদান। ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের হিসাবে ওটাকে অনুদান হিসেবে দেখিয়ে গেছেন অর্থাৎ সুদমুক্ত; কিন্তু সিস্টার অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে ঠিকই সুদ নিয়েছিলেন। নরওয়ে কর্তৃপক্ষ এটা শেষ অবধি জানতে পেরেও ড. ইউনূসের নাম ও খ্যাতির কারণে চুপচাপ মেনে নেয়। এই একটি ঘটনা থেকেই তো প্রধানমন্ত্রীর দুটি তথ্য সত্য প্রমাণিত হয়। এক. তিনি সুদখোর, দুই. তিনি ট্যাক্স দেন না। কারণ, যে টাকা দিয়ে তিনি আয় করছেন, অনুদান দিচ্ছেন না ওই টাকার জন্য তো তাকে কর দিতে হবে। তবে, তাঁকে ওই টাকা অনুদান হিসেবে দেয়া হলেও তিনি বুদ্ধি খাটিয়ে একজন পারফেক্ট সুদ ব্যবসায়ীর মতো ওই টাকা তাঁর অন্য কোম্পানিতে ব্যবহার করে সুদ উপার্জন করেছেন। সুদ ব্যবসা দোষের কিছু নয়। তবে অন্যের কাছ থেকে সুদ নেব না এই শর্তে অনুদান এনে চালাকি করে ওই টাকা নিজের অন্য কোম্পানিতে দিয়ে তার মাধ্যমে সুদ নেয়া এক ধরনের ক্রাইম। অপরদিকে ওই অর্থের বিপরীতে ট্যাক্স না দেয়াও ক্রাইম। ঠিক এমনি আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল দেশের বৃহত্তম নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ ২৪ডটকম। তাদের নিউজে দেখা যায়, গ্রামীণ ব্যাংকের মূল শর্ত ভেঙ্গে ড. ইউনূসের বাবার প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার চুক্তি হয়। চুক্তির এক পক্ষ ড. ইউনূস অপর পক্ষ তার বাবা ও অপর তিন ভাই। সেখানে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত ঋণ হিসাবে দেয়া হয় দুই কোটি ৯৯ লাখ, ১০ হাজার ৮৬ টাকা। গ্রামীণ ব্যাংকের নীতি ও চরিত্রের সঙ্গে এই চুক্তি যায় না। তবে গ্রামীণ ব্যাংক সে সময়ে কোন মতে একটি প্রতিবাদ দাঁড় করিয়েছিল। তার থেকেও বড় ওই প্রতিষ্ঠান কিন্তু লাভ করেনি। তাদের পুঁজি কয়েক লাখ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু চুক্তিটি এমন ছিল যে লোকসান কাউকে বহন করতে হবে না। অর্থাৎ এখান থেকে নিশ্চয়ই সকলের যা বোঝার দরকার সেটা বুঝতে কোন কষ্ট হওয়ার নয়। দরিদ্রের টাকা কত পরিশীলিতভাবে যে পরিবারে ব্যয় হতে পারে এ উদাহরণ কিন্তু এখান থেকে শিক্ষণীয়। বিএনপি এখন ড. ইউনূসের খুব ভক্ত (জানি না হিলারির পরাজয়ের পরে আর তার ভক্ত কিনা); তবে তারেক ও বেগম জিয়া যদি এতিমের টাকার বিষয়ে ড. ইউনূসের পরামর্শ নিতেন মনে হয় তাদের আজ এই মামলায় পড়তে হতো না। যা হোক, ইউনূস সেন্টার বলেছে, এনবিআরের আইন পরিবর্তনের ফলে ড. ইউনূসকে করের প্রশ্নে মামলা করতে হয়েছে। ড. ইউনূসের করের বিষয় নিয়ে এখন তদন্ত শুরু করেছে এনবিআর কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রতি অনুরোধ রইল, ১/১১ এর সুযোগ নিয়ে ড. ইউনূস এনবিআরকে কোন আইন করাতে বাধ্য করেছিলেন কিনা, সেই আইন পরবর্তীতে পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা- এ বিষয়গুলো যেন ওই তদন্তে বেরিয়ে আসে। তা হলে জাতি ড. ইউনূস সম্পর্কে আরও অনেক সত্য জানতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ইউনূস সেন্টার একটি হাস্যকর যুক্তি উপস্থাপন করেছে। তাদের বক্তব্য হলো, গ্রামীণ ব্যাংক আইনে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অবসরের কোন বয়সসীমা নেই। তাদের এই যুক্তি আদালতে টেকেনি। আদালত ড. ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী অবসর দিয়েছে। তাই এ নিয়ে আবার যুক্তি উপস্থাপন আদালতের প্রতিই অনাস্থা। যা হোক, তবে দিনকে দিন ও রাতকে রাত বলতে হলে- সত্য বলতে হয়; সে সত্য হলো, দেশের সব ব্যাংকই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধিমালা অনুযায়ী চলবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের যে বয়সসীমা নির্ধারিত করেছে সেটাই সবাইকে মানতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য কেন আলাদা হবে? এ তো সংবিধানসম্মতও নয়। সংবিধানে কারও জন্য বিশেষ অধিকার রাখার কোন সুযোগ নেই। সংবিধানের মৌল চরিত্র অনুযায়ী, দেশের সবার জন্য আইন সমান হবে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, গ্রামীণ ফোনের লাইসেন্সটি তিনি ড. ইউনূসকে দিয়েছিলেন এ কারণে যে, এর মূল মালিক হবে গ্রামীণ ব্যাংকের নারী সদস্যরা। কিন্তু তিনি তাদের সে মালিকানা দেননি। ইউনূস সেন্টার এর উত্তর দিতে গিয়ে বলেছে, গ্রামীণ ফোনের ৪৫ ভাগ শেয়ারের মালিক বাংলাদেশীরা। তার দশ শতাংশ হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এর থেকে বেশি কিছু পরিষ্কার করেনি ইউনূস সেন্টার। বাস্তবে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাব দেয়ার কিছুই তাদের হাতে নেই। মূলত প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংককে এই ফোন কোম্পানির লাইসেন্স দিয়েছিলেন এ জন্য যে, বাংলাদেশের ৪৫ ভাগ শেয়ারের মালিক হবে গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৬ লাখ নারী সদস্য। প্রতি বছর যে কয়েক হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ ফোন থেকে লাভ হয় ওই লভ্যাংশ এই ৮৬ লাখ নারীকে ভাগ করে দেয়া হবে। শেয়ার বাজারে এর শেয়ার গেলেও তার লভ্যাংশ ৮৬ লাখই পাবে। কিন্তু তা না করে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের সিস্টার অর্গানাইজেশন করে সোশ্যাল বিজনেসের নামে এই দরিদ্র নারীদের টাকা সেখানে নিয়ে যাচ্ছেন। দরিদ্র ৮৬ লাখ নারী এটা পাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের এ অংশের সারাংশ এই। এর উত্তর কিন্তু ইউনূস সেন্টার দিতে পারেনি। বর্তমান সরকার জঙ্গী অর্থায়ন বন্ধের জন্য ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনেছে। গ্রামীণ ফোনেও প্রধানমন্ত্রীর ওই সময়ের দেয়া শর্তে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত বর্তমান সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে নাম না নিয়ে বলেন, তিনি ও আরেকজন সম্পাদক বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করান। ইউনূস সেন্টার এর উত্তরে বলেছে, তারা বরাবরের মতো এবারও বিষয়টি অস্বীকার করছে। এখানে কয়েকটি সহায়ক তথ্য উল্লেখ করা যেতে পারে। এক. বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন যখন বন্ধ করে ওই সময়ে আমাদের অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রামে যোগ দিতে ওয়াশিংটন ছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন থেকে নিউইয়র্কে এলে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মোডি কেন তাকে প্রশ্ন করে, ‘আপনি কী মনে করেন এই অর্থায়ন বন্ধের পেছনে ড. ইউনূসের কোন হাত আছে? এর আগে তো আমাদের অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এমনকি মিডিয়াও এ প্রশ্ন ওঠায়নি যে, এ অর্থ বন্ধের পেছনে ড. ইউনূসের হাত আছে। তা হলে মোডির মতো একটি সংস্থার প্রধান কেন এ প্রশ্ন আমাদের অর্থমন্ত্রীকে করতে গেল? মোডির মতো সংস্থার প্রধান কি কোন তথ্য উপাত্ত তাঁর কাছে না থাকলে এমন একটি প্রশ্ন একটি দেশের অর্থমন্ত্রীকে করতে পারে? দুই. ওই সময়ে বাংলাদেশের কোন সম্পাদক ওয়াশিংটন ছিলেন। সেটা বের করা নিশ্চয়ই কোন কঠিন কাজ নয়। আর তা বেরিয়ে গেলে তাঁর সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক এবং তিনি শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে কীভাবে দেখেন, তাদের অতীত কর্মকা- সবটুকু মিলিয়ে নিলেই তো জনগণ শেখ হাসিনার কথার সত্যতা পাবে। আর তিনি যখন তাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ রাখার জন্য হিলারিকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করিয়েছিলেন তখন হিলারিকে দিয়ে যে অন্য কোন লবি তিনি করাতে পারেন না বা কোন লবি করেননি- এটা মানুষ কেন বিশ্বাস করবে? পাশাপাশি ওই ঘটনার পরে পানি বহুদূর গড়িয়ে গেছে। হিলারি ও ইউনূসের অনেক ইমেল ফাঁস হয়েছে। আমেরিকার বর্তমান প্রশাসন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে দেয়া ড. ইউনূসের অর্থের তদন্ত করবে। তাই ভবিষ্যত আরও সত্য বলে দেবে। সর্বোপরি বলা যায়, কেউ একজন সত্য বললে তাকে মিথ্যাবাদী বলে ক্ষেপে গিয়ে কখনই নিজের দোষ আড়াল করা যায় না। সত্য প্রকাশ হয়, এটাই সত্য।
সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৫