ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সেই ৭১ সাল থেকেই, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা তাদের কর্মকা- শুরু করেছিল। বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকাতার সঙ্গে কুচক্রীরা তখন পেরে ওঠেনি। এদেশের সিংহভাগ মানুষের শৌর্ষবীর্য, সাহসিকতা, স্বাধীনতার অবিনাশী চেতনা মুক্তিযুদ্ধকে বাস্তবে রূপায়িত করেছে। ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর খন্দকার মোশতাক ও জিয়া, তাদের লাঠিয়াল বাহিনীরা তখন পরাজয় বরণ করে। কিন্তু তাদের নীল নকশা, তাদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। স্বাধীনতার পর সাময়িকের জন্য থমকে দাঁড়িয়েছিল। ভেতরে ভেতরে তারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। কিলার ফারুখ, রশিদ, হুদা, ডালিম, শাহরিয়ার, মোসলেহউদ্দিন, নুর, মাজেদরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। পাকিস্তানি দালাল জামায়াত মুসলিমলীগার রাজাকার, আলবদর, আলশামস এইসব স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি গুলি ঘাপটি মেরেছিল, পালাতক ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। অত্যন্ত গোপনে তারা তাদের কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। পাকিস্তান ও বিভিন্ন দেশে তারা পলাতক ছিল। এইসব রাজাকার আলবদর, দালালরা কিন্তু অস্ত্র জমা দেয়নি। মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের অস্ত্র এখনো তাদের হাতেই রয়ে গেছে। মোশতাক জিয়ার গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালোরাতে জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হন। ফজরের আযানের ধ্বনি শেষ হতে না হতেই জাতির পিতাকে অত্যন্ত নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ইতিহাসের গতি থমকে দাঁড়াল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত হলো। আমরা নিক্ষিপ্ত হলাম অন্ধকারে। পর্দায় আবির্ভূত হলো পাকিস্তানি চিন্তা চেতনার নতুন সরকার। রাতারাতি সব চিন্তা চেতনা পরিবর্তীত হলো। পেয়ারে পাকিস্তানের ধ্বজাধারীরা পর্দায় সদর্পে সমাসীন হলো।
দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রাম শেষে ১৯৯৬ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যাত্রা শুরু হলো। ১৯৯৬-২০০১ সময়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ। কিন্তু দেশি বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের সর্বশক্তি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে স্তব্ধ করে দেয়। ২০০১ এ সালসা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এই শক্তিকে হটিয়ে দেয়া হয়। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় খালেদা-নিজামীর লুটেরা সরকার। ক্ষমতা গ্রহণের পর ১০০ দিনের প্রগ্রাম হাতে নিয়ে দেশবাসীর ওপর শুরু হয় অত্যাচার, অবিচার, জবর দখল, হত্যা, সন্ত্রাস, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের মহোৎসব। দেশের কোনো স্থান বাকি ছিল না যেখানে ছাত্রদল, যুবদল, শিবির ও বিএনপি জামায়াতের এহেন অত্যাচার হতে এদেশের জনগণ রেহাই পায়। অনেক সংখ্যালঘু পরিবার এ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। তাদের সহায় সম্পদ লুণ্ঠিত হয়। বিএনপি জামায়াতের হাতে অগনিত মানুষ প্রাণ দেয়। ২০০১-০৬ পর্যন্ত এদেশের মানুষের ওপর একাত্তরের মতো ভয়াবহ বর্বরতম অত্যাচার সংঘটিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ওপর তারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে। সে সময় হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন নামে দুটি লুটপাট ভবন ও প্রমোদ ভবনের সৃষ্টি হয়। হাওয়া ভবনের কর্ণধার খালেদা জিয়ার সন্তানরা এই ভবনের মাধ্যমে সারাদেশে সন্ত্রাস ও লুটপাটের নেতৃত্ব দেয়। এ দেশ হতে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে। এই টাকায়ই তারা এখন বিদেশে সপরিবারে রাজার হালে আছে। তাদের অন্যায় ও দুর্নীতির ইতিহাস বলে শেষ করা যাবে না। খালেদা জিয়া নিজেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের জন্য জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত আয়ের কর দিতে বাধ্য হয়। তার মন্ত্রিসভার অনেকেই এহেন কর্মকা- করে। কয়েকটি জন্মদিনের অধিকারী খালেদা জিয়ার সর্বশেষ জন্মদিন ১৫ আগস্ট-জাতির পিতার হত্যা দিবস। তিনি ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর বাড়িসহ গুলশানে আরো একটি বাড়ি নিয়েছেন। সরকারি আইনে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বা সরকারি কর্মকর্তা কেউই একসঙ্গে দুটি বাড়ি নিতে পারেন না। জিয়ার মৃত্যুর পর সরকার হতে এত সুবিধা আর কেউ নিয়েছে বলে জানা নেই। এটি একটি বিশ্বরেকর্ড। অবশ্য আদালতের রায়ে ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনীর বাড়ি তাকে ছাড়তে হয়েছে। এই বাড়ির জন্য তিনি কেঁদেছেন এবং সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, 'আমি এখন বাস্তুহারা' অথচ গুলশানে সরকার প্রদত্ত আরও একটি বাড়ি বিদ্যমান আছে। সেখান হতে লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি ভাড়া পাচ্ছেন। টকশোতে বিএনপির লোকেরা বলে তাকে নাকি তার বাড়ি হতে বের করে দেয়া হয়েছে। এক সঙ্গে দুই বাড়ি নেয়া যে অন্যায় ও বেআইনি এ কথা কেউ বলে না। আদালতের আদেশে তিনি সরকারি অর্থাৎ সেনাবাহিনীর এই সম্পত্তি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। অন্যটি এখনো বহাল আছে।
খালেদা জিয়ার কারসাজিতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ দখল করলেন। কয়েকটি ধাপ থাকতেও তিনি সাংবিধানিক ধারা রক্ষা করলেন না। দেশের এই চরম বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার কারণে ১/১১ এর সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। মঈনউদ্দিন, ফখরুদ্দীন ও ইয়াজউদ্দীনের সেই সরকার দেশে প্রায় ২ বছর আর এক রাজত্ব কায়েম করে। এই সরকার প্রথমেই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেন, পরবর্তীতে খালেদা জিয়াও গ্রেফতার হন। ক্রমে ক্রমে ১/১১ এর সরকারের নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকান্ডে দেশবাসী ফুঁসে উঠল। অবশেষে এই সরকার ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ এর নির্বাচন দিতে বাধ্য হলেন। ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত হলো নতুন নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন বিএনপি জামাতের দেড় কোটি ভূয়া ভোটার বাতিল করলেন। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথকে সুগম করলেন।
বিগত ৫ জানুয়ারি ২০১৫ হতে খালেদা জিয়া আবারও হরতাল অবরোধ দিয়ে, হত্যা সন্ত্রাস পেট্রোল বোমা দিয়ে দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। বিএনপি জামাতের এই তান্ডব ও অরাজকতা গত নির্বাচনের আগের তান্ডবেরই ধারাবাহিকতা। দেশী বিদেশী চক্রান্ত, একাত্তুরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের মদদ, লন্ডনে বসে পলাতক ফেরারী আসামী খালেদাপুত্র তারেকের ষড়যন্ত্র। জামাত হেফাজতের তান্ডবসহ শত অরাজকতা সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে নর্স্যাত হয়েছে। এদেশের মানুষ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়, চায় একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধে উজ্জীবীত হয়ে মানুষ একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। বিএনপি জামাতের ধ্বংস ও অরাজকতা চায়না। স্বাধীনতার পর সিংহভাগ সময় এসব অপশক্তিই ক্ষমতায় ছিল। দেশ ও জাতি তাদের কাছে উন্নয়ন পায়নি। এরা লুটপাট, হত্যা, সন্ত্রাস করে দেশের সম্পদ সাবার করে নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। পক্ষান্তরে বিগত ২০০৯ হতে আজতক বর্তমান সরকার উন্নয়নের জোয়ার বইয়েছেন। এই উন্নয়নের গতিধারাকে ধরে রাখতে হবে। কৃষিতে, শিক্ষায়, যোগাযোগে, বিদ্যুতে, তথ্য প্রযুক্তিতে সামগ্রীক ক্ষেত্রে সরকারের এই সাফল্য বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। নেতৃত্বে সততা, নিষ্ঠা ও দেশ প্রেম ছাড়া সাফল্য সম্ভব নয়। রাজনীতিবিদদের হতে হবে সৎ, নিষ্ঠাবান ও আদর্শবান। সামগ্রিক কর্মকা- চালাতে হবে বিচক্ষণতার সঙ্গে। অতিকথন, অপ্রয়োজনীয় কথন পরিহার করতে হবে। রাজনীতির সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে। বর্তমান সরকার বিশ্বে আজ উন্নয়নের নতুন মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কা-ারী তার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত ষড়যন্ত্র ও অরাজকতাকে শক্ত হাতে দখল করতে হবে। ভেঙে দিতে হবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও ঘষেটি বেগমদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা। প্রশাসনকে গতিশীল করতে হবে। প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের দিয়ে। বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১-০৬ সালে এহেন কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করেছে, পদোন্নতিবঞ্চিত করেছে। তাদের উপযুক্ত মর্যাদায় পুনর্বাসন করা হয়নি। সৎ ও যোগ্য আমলা ছাড়া সুশাসন সম্ভব নয়। সুশাসন ও আইনের শাসন কায়েম না হলে শত উন্নয়ন, শত অর্জনও পদ্মায় যাবে বিসর্জন। তাই সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। বিতর্কিত মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও আমলাদের এই মুহূর্তে বর্জন করতে হবে। রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণের জন্য সুশাসন ও আইনের শাসনের জন্য। যেসব চরিত্র নিজের স্বার্থের জন্য, দুর্নীতির জন্য কাজ করে সেসব রাজনীতিবিদ হোক, আমলা হোক তাদের ছাটাই না করলে সুশাসন সম্ভব হবে না। সেদিন একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব বলছিলেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে জানেন যিনি ২০০৪ এর ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় আক্রান্ত, এখনো তার শরীরে স্পিস্নন্টার আছে থাকে তার জুনিয়র একজন আমলার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই আমলা অবসরের পর বর্তমানে একজন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বোর্ড চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান সব শুনে সেই মুক্তিযোদ্ধার কাজটি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে দেখা গেল সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার কাজটি হয়নি। সেই মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান অনেক চেষ্টা করে বোর্ড মিটিংয়ের আগে দেখা করে তার কষ্টের কথা বলেছিলেন। জবাবে চেয়ারম্যান তাকে নাকি বলেছেন কারও মাধ্যমে আসেন কেন, একা আসতে পারেন না? তাইলে বুঝুন এই চরিত্র কি কঠিন চরিত্র। সাবেক সেই সচিব হতবাক হলেন তার জুনিয়র এই চেয়ারম্যানের কর্মকা-ে। এহেন কর্মকা- অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে। রাজনীতিতে, প্রশাসনে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পুলিশে, বিচার বিভাগে, রাষ্ট্রযন্ত্রের অনেক ক্ষেত্রেই '৭১-এর পরাজিত শক্তির ভাবশিষ্যরা ঘাপটি মেরে আছে সরকারের সর্বনাশের জন্য। সরকারের এসব তলিয়ে দেখতে হবে এবং অচিরেই এহেন চরিত্রদের বাদ না দিলেই আরো সর্বনাশ হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ বার বার বঞ্চিত হবে। এরা কৌশলে স্যাবোটাজ করে যাচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে একটি সৎ, দক্ষ, মেধাবী, দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত আমলাগোষ্ঠী দরকার। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কুচক্রীরা এখন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি-জামায়াত জোটনেত্রী পবিত্র রমজান মাসে ইফতার পার্টির সঙ্গে অভিসম্পাৎ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আল্লাহর কাছে বর্তমান সরকারের চরম শাস্তির জন্য দোয়া করেন। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। প্রার্থনা করে তিনি বলেন এই জালেম সরকারের পরিণতি হবে করুণ ও ভয়াবহ। সরকারের ওপর আল্লাহর গজব নাজেলের জন্য তিনি দু'হাত তুলে প্রার্থনা করেন। ইফতার পার্টিতে এমন জঘন্য দোয়া কোনো মুসলমান করতে পারেন জানা ছিল না। শত শত অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে তিনি এতিমদের টাকাও মেরে খেয়েছেন। এই পাপের শাস্তি যদি আল্লাহ তাকে প্রদান করেন উহার পরিণতি কত ভয়াবহ ও করুণ হবে তা কি তিনি ভেবে দেখেছেন? তার শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই প্রার্থনা।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ বলতেন একটি উন্নত দেশ গড়তে দরকার সৎ, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান আমলা। আমাদের তার বড় অভাব। তাই একটি বলিষ্ঠ আমলাগোষ্ঠী এ মুহূর্তে বড় প্রয়োজন। দেশের পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সামগ্রিক ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি সঠিকভাবে তুলে ধরতে সেই দক্ষতা আমাদের অর্জন করতে হবে। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা যাতে ধরে রাখতে পারি তাই প্রত্যাশা। আসুন আমরা সবাই জ্বলে উঠি সততা ও ন্যায় বিচারের শক্তিতে। অসততাকে ঘৃণা জানাই ও বর্জন করি। সকলে শুদ্ধ হই, দক্ষ হই ও দেশপ্রেমিক হই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হই।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৭১-এ আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার স্বাদকে ঘরে ঘরে পেঁৗছে দিতে হবে। অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। এই লক্ষ্য ও চিন্তা-চেতনায় বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। একে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আরও বহুদূর। জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। দেশি বিদেশি চক্রান্ত তাকে হত্যা করে সে স্বপ্নকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরেছেন। তার নেতৃত্বে আমাদের সবার কাজ করতে হবে অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে। গড়ে তুলতে হবে একটি আধুনিক, উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ। জাতির পিতার রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আসুন আমরা সবাই কাজ করে যাই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার জন্য। আমরা অবশ্যই ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করে অচিরেই মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বে একটি আধুনিক উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিতাকে ধরে রাখতে হবে আর কাজ করে যেতে হবে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেশ ও দক্ষতার সঙ্গে। গ্রামে গ্রামে সস্নোগান শুনি শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার। তোমার দেশ আমার দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার আশ্বাস, ডিজিটাল বাংলাদেশ। কবির ভাষায় বলতে চাই, উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই। তাই আমাদের কাজ করে যেতে হবে মানুষের কল্যাণে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সস্নোগানে। যত দিন আছে শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৪২