বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৷ তিনি বাংলাদেশের শোয়া দুই বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ৷ রাজনীতিতে তার আগমন নাটকীয় হলেও,অনেক দুর্গম পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি তার অবস্থান শক্ত করেছেন ৷ দেশের বড় একটি অংশ বুঝে না বুঝে অথবা আওয়ামী বিরোধী অবস্থানের কারণে তার সমর্থক ৷
তার জাতীয়তাবাদী দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি প্রধান অথিতির ভাষণে বেশ কিছু দিক তুলে ধরেছেন ৷ বর্তমানে ছাত্রদলের অবস্থান যাইহোক ৷ আশির দশক নব্বই দশকে ছাত্রদলের জনপ্রিয়তা বা প্রভাব ঈর্ষান্বিও
ছিল ৷ বর্তমানে এই ছাত্র সংগঠনটির নাজুক অবস্থা !
ছাত্রদলের নাজুক অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এই দলের
নেতা-কর্মীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ৷ তবে এই ক্ষোবের মাঝে তিনি কিছু সত্য উচ্চারণ করেছেন ৷ তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছাত্ররা নেই তা দখল করেছেন পাড়া মহল্লা ও বস্তির মাস্তানরা ! তিনি ছাত্রদলের নেতাদের পড়াশুনা করতে বলেছেন ৷ এমনকি বর্তমান আন্দোলনের অংশ হিসাবে তার প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন সম্পর্কে ছাত্রদলের কোনো ধারণা নেই,সেটা তিনি নিশ্চিত ! তিনি সাংসদ লিটনের হত্যা প্রসঙ্গ টেনে খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ৷ যেটা অবশ্যই রাজনীতির একটি ইতিবাচক দিক ৷ তিনি জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ৷ তার ইঙ্গিত আমাদের মনে আশা জাগায় ৷
আত্মসমালোচনার পাশাপাশি তিনি তার মিথ্যা চর্চা থেকে পুরোপুরি সরে আসতে পারেনি ! আগুন সন্ত্রাসের দায় তিনি র্যাব পুলিশের উপর দিয়েছেন ৷ সেটা তার ধারাবাহিক মিথ্যা চর্চার একটি অংশ ৷
তিনি ভুলে গেছেন হাওয়া ভবনের ইতিহাস ! তিনি ভুলে গেছেন তার ছেলের আলোচিত হওয়া ভবনে নিয়মিত আড্ডা দিত কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কালা জাহাঙ্গীর টোকাই সাগর সহ তৎকালীন আলোচিত সন্ত্রাসীরা ৷ তিনি ভুলে গেছেন আহসানুল্লাহ মাস্টার,এস এম কিবরিয়া এমপি সুজন প্রফেসর আফতাবউদ্দিন হত্যার নেপথ্যে কারা ছিল ৷ তিনি ভুলে গেছে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় কারা জড়িত !
তবুও হত্যার রাজনীতি এবং খুনিদের প্রশ্রয়দান থেকে বিরত থাকার তার ঘোষণায় আমি আশান্বিত ৷ আরেকটি বিষয় তাকে শিকার করে নিতে হবে," বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা"৷ তিনি ছিলেন আমাদের স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ ৷
ড্রামতত্ব নিয়ে প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা থেকে তাকে বিরত থাকতে হবে ৷ তবেই তিনি তার প্রয়াত স্বামী মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের মূল্যায়ন পাবেন ৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অথবা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার অগ্রণী ভূমিকা প্রতিষ্ঠার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া বন্দ করলে প্রজন্ম তার ইতিবাচক রাজনীতিকে স্বাগত জানাবে ৷
সর্বশেষে রাজনীতিতে তার ইতিবাচক ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখতে চাই ৷ চাই পূর্বের অপরাধের ক্ষমা প্রার্থনা এবং তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুন ও লুটপাটের যে অভিযোগ আছে তা আইনগত ভাবে মোকাবেলা করা ৷ তিনি যদি তার
স্বামীকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গর্ববোধ করেন,তাহলে অবশ্যই তাকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে রাজনীতি করতে হবে ৷ মৌলবাদী গোষ্ঠীর সহযোগিতায় বাংলাস্থান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে তার পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে ৷
[ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ]
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৩