“প্রথম আলো” তাদের পত্রিকায় ছেপেছিলোঃ-
//‘১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর মোদি আরএসএসের প্রচারক হিসেবে যোগ দেন’//
এবং পরের দিন সংশোধনী হিসেবে লেখে,
//চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির তথ্যসূত্র ছিল বার্তা সংস্থা আইএএনএস৷ প্রতিবেদনের সূত্রের তথ্য হুবহু রাখা হয়৷ বার্তা সংস্থার তথ্যসূত্র ধরেই বলা হয়, ‘আরএসএসের প্রচারক হিসেবে মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর৷’
আসুন দেখি মোদীর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে কি লেখা আছেঃ-
//In 1972 he became a Pracharak, giving his full time to the RSS.//
দেখা যাচ্ছে মোদীর নিজস্ব ওয়েবসাইটেই বলা আছে সে আর এস এস এর প্রচারক যোগ দেন ১৯৭২ সালে এবং আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তার নিজস্ব বায়োগ্রাফিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে কিছু লেখা নাই।
মোদীর বায়োগ্রাফি
তার মানে প্রথম আলোর মতে তারা যেই বার্তাসংস্থার হুবুহু কপি পেস্ট করছে তা ভূল তথ্য দিছে। এবং যেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা প্রথম আলো বলছে তাও ছিলো ভূল। এখন এইখানে প্রশ্ন তিনটাঃ-
১) আসলেই কি প্রথম আলো বার্তা সংস্থা আইএএনএস এর কাছ থেকে তথ্যসূত্র পাইছে??
২) (যদি পায়)প্রথম আলো দেশের দায়িত্বশীল পত্রিকা হিসেবে কেনো তথ্য যাচাই করলো না ??
৩) প্রতিবেদনটি যে লিখছে সে কি বাংলাদেশী ছিলো? বাংলাদেশী হলে তার //‘১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ// এই কথাটা লেখার সময় কেনো একবারও মনে হলো না তথ্যটা যাচাই করা দরকার।
সমকালও একই দোষে দুষ্ট এবং তাদের এই কাজের নিন্দা জানাই। কিন্তু ঘৃণাটা আমার থাকবে প্রথম আলোর প্রতি কারন তাদের অতীত কর্মকাণ্ড।
আসুন এইবার একটা হিসাব মেলাইঃ-
প্রথমে , তারেক জিয়া ইতিহাস বিকৃত করলো।
তারপর, তাজউদ্দীন কণ্যা ইতিহাস বিকৃত করলো।
আজকে , প্রথম আলো ইতিহাস বিকৃত করলো।
আমি মনে করি এইটা খুবই সুপরিকল্পিত ভাবে করা হচ্ছে। এবং এই প্রজেক্টের টার্গেট মূলত আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য দলের সমর্থক এবং একেবারে নতুন প্রজন্ম। যারা এই কাজটি করাচ্ছে তারা প্রথমে তারেক জিয়াকে যারা অন্ধভাবে অনুসরন করে তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে, তারপর শারমিনকে দিয়ে মডারেট বিএনপি ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের বিভ্রান্ত করেছে। তারপর প্রথম আলোকে দিয়ে নতুন প্রজন্মকে নিভ্রান্ত করছে কারন তারা জানে ছুটির দিন, রস-আলো ইত্যাদী ক্রোড় পত্রের কারনে নতুন প্রজন্মের কাছে পেপারটি আস্থার পেপার।
আজকে যারা ব্যাক্তিগত সুবিধার জন্য প্রথম আলোর পক্ষে কথা বলছেন কিংবা cp গ্যাং এর বিরোধীতা করার প্রথম আলোর পক্ষে কথা বলছেন তারা কল্পনাও করতে পারছেন না যে নতুন প্রজন্মের কি ক্ষতিটাই করছেন।
সবাই বিবেক ফিরে পেয়ে স্লোগান ধরুক,
//প্রথম আলো নিষিদ্ধ করো,
মতি চুরাকে ফ্রেফতার করো।//