পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নারীগণ পর্দায় থাকবে; যখন তারা বেপর্দা হয়, শয়তান তাদের দিকে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে কিভাবে তাদের মাধ্যমে একটি হারাম কাজ সংঘটন করা যায়।” কিন্তু বর্তমান সময়ের জন্য সমস্ত ফিতনার মূল কারণ- নারীর বেপর্দার! আর শয়তান সবসময় চেষ্টায় থাকে একজন নারীকে কিভাবে বেপর্দা বানিয়ে গুনাহের কাজে লিপ্ত করা যায়।
পর্দা না করার ফলাফল:
নূরানীগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ফারহানা ইসলাম রিমি (১৮) নামের কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলার চরগোয়ালদী গ্রামে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চরগোয়ালদী গ্রামের নূর মুহম্মদের ছেলে বখাটে শামীম প্রায় সময়ই কলেজে আসা-যাওয়ার সময় রাস্তায় উত্ত্যক্ত করত। প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৭ নভেম্বর ইয়াওমুস সাবতি বা শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে মোগরাপাড়া দমদমা এলাকায় আসলে বখাটে শামীম রিমিকে জড়িয়ে ধরে দু’গালে চুমু ও হাত থেকে মোবাইলফোন এবং শরীর থেকে ওড়না ছিনিয়ে নেয়। সহপাঠীদের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় অপমান সইতে না পেরে বাড়ি গিয়ে কীটনাশক পান করে কাতরাতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ফারহানা ইসলাম রিমি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চরগোয়ালদী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সোনারগাঁও থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানায়, মৃত্যুর আগে লিখা চিরকুটে রিমির আত্মহত্যার জন্য বখাটে শামীম দায়ী বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ রিমাকে উত্ত্যক্ত করার প্রমাণ পেয়েছে। তাকে ধরার জন্য সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। অচিরেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মূলত, নারীদের এই বেপর্দার কারণেই তাদের এত লাঞ্ছিত ও অপমানিত হতে হচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রকার বিপদ-আপদে জর্জরিত হতে হচ্ছে।