প্রতিদিনের মত আজো সকালে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম।যদিও এতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করেনা তারপর ও মায়ের মোহনীয় ডাকে বাধ্য হয়ে সকালে উঠতে হই।
কিছুক্ষন পর মা সকালের নাস্তা নিয়ে এল।নাস্তা তেমন কিছুই না।রুটির সাথে তরকারির ঝোল।
কিন্তু খেতে যে এতো মজার তা হয়ত কেউ না খেয়ে বুঝতেই পারবে না।
আজ মায়ের দিকে বিশেষ ভাবে তাকালাম।মধ্যবয়সী শ্যামলা রঙ্গের আমার মা যেন মমতাময়ীর উজ্বল ভাস্কর।
চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারনে নাকি আমাদের চিন্তায় সেটা অবশ্য আমার বোধগম্য নয়।
এমনকি মায়ের কয়েকটা চুল পেকে গেছে।
:কিরে অমনভাবে কি দেখচিস ?
:না মা কিছুনা।মা আমি চুলগুলা একটু নেড়ে দিবা ?
:কোন কথা না বলে আলতো করে চুলে বিলি কেটে দিচ্ছেন মা।আমি চোখ বন্ধ করে মায়ের শরীরের ঘ্রান নিচ্ছি।অদ্ভুত মিষ্টি সে ঘ্রান।যেন স্বর্গীয় কোন অনুভূতি আচ্ছন্য করছে আমায়।
:মা আমি তোমাকে একটা গিফ্ট দিতে চাই।
:ধুর বোকা।আমাকে তুই কিসের গিফ্ট দিবি।টাকা কই পাবি।ওই টাকা তোর ফোনে ফ্লেক্সি করে নিস।
:আজকে "মা" দিবস।তোমাকে কিছু দিয়ে দিনটা স্বরনীয় করে রাখতে চাই।
:মায়ের জন্য আবার দিবস হয় নাকি ।মা তো মা ই ।
:প্লিজ মা।বল তোমার জন্য কি আনব ?
:খুব টাকাওয়ালা হইছিস তাইনা।এক কাজ কর।আমি তোকে কিছু টাকা দিতেছি।সেই টাকা দিয়ে তোর জন্য একটা সুন্দর শার্ট কিনবি।এটাই হবে আমার সবথেকে ভাল গিফ্ট।
মাকে কিছুই দিতে পারলাম না ।উল্টো আমাকেই তিনি গিফ্ট দিলেন।
হয়ত তিনি আমাদের এভাবে আজীবন দিয়েই যাবেন।প্রতিদানের আশা না করে নীরবে সয়ে যাবেন কষ্ট।
মা দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর সকল মায়েদের আমার পক্ষ থেকে বিশেষ শুভেচ্ছা।আর মায়ের জন্য কোন দিবস নয় বরং প্রতিটা সময় জুড়ে ঠাকুক সশ্রদ্ধ ভালবাসা এই কামনা সবার কাছে।