৫০৩৫ সাল।
পৃথিবীতে তখন রোবটদের দখলে।পৃথিবীর মানুষ বাধ্য হয়ে অন্য গ্রহে আশ্রয় নিয়েছে।
মানুষদের গ্রহ থেকে বিতাড়িত করে রোবটদের দিনকাল বেশ ভালই কাটছিল।হটাৎ তারা পড়ে এক ভিষন
বিপদে।প্রতিদিন অনেক রোবট আত্বহত্যা করছিল।বিশেষ করে
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুন রোবটরা বেশি পরিমানে আত্বহত্বা করছিল।
কারন যে কি সেটা কারো বোধগম্য হচ্ছিল না।অথচ এভাবে পুরুষ রোবটরা আত্বহত্যার করার কারনে পুরুষ রোবটদের সংখ্যা কমে যাচ্ছিল।
শেষে রোবটরা ঘটনার কারন অনুসন্ধানের জন্য ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
প্রায় তিনমাস তদন্তের পর বেরিয়ে আসে এক অবিশ্বাস্ব তত্ব।
কমিটির রিপোর্টে প্রায় সারা পৃথিবী তোলপাড় হয়ে যায়।রিপোর্ট টা ছিল এরকম
প্রায় ২০০০ বছর আগে
বাংলাদেশ নামক একটা দেশ ছিল।সে দেশের মেয়েরা ছিল দারুন সুন্দরী।
তবে সুন্দরী হয়েও তাদের ছিল এক বিরাট সমস্যা।তারা ছেলেদের সাথে প্রেমের অভিনয় করত।
কিছুদিন তারা ছেলেদের সাথে প্রেম করার পর ছেলেদের স্যাকা নামক একটা আজব জিনিষ দিয়ে দিত।
ছেলেরা স্যাকা খাওয়ার কারনে মানসিক বিষন্নতায় অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখত।তবে স্যাকার পরিনাম বেশি হলে অনেক ছেলে সুইসাইড করত।
অতীব দুঃখের বিষয় হচ্ছে বর্তমানে এই স্যাকা_ভাইরাস টি আমাদের মেয়ে রোবটদের ব্যাপক ভাবে অ্যাটাক করেছে।ফলে তারা তরুন রোবটদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে শেষে স্যাকা দিয়ে দিচ্ছে।
তরুন রোবটরা স্যাকা খাওয়ার কারনে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।তার নিজেদের উপর আস্তা হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বেঁচে নিচ্ছে আত্বহত্ব্যার মত কঠিন পরিনতি ।।।
রিপোর্ট টা প্রকাশিত হওয়ার পর স্যাকা নামক ভাইরাস নির্মুলের জন্য সে সময়ের বাঘা বাঘা রোবট বিঙ্গানীরা অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষা করে।তবে তারা শেষ পর্যন্ত এর কোন প্রতিসেধক আবিস্কারে সম্পুর্নরুপে ব্যার্থ হয়।
এর প্রায় ৩০০ বছর পর হারানো পৃথিবীটা মানুষ আবার ফিরে পায়।কারন ততোদিনে আত্বহত্ব্যার কারনে গোটা পুথিবীটা রোবট শুন্য হয়ে গিয়েছিল।
তবে হারানো পৃথিবীটা ফিরে পাওয়ায় সবথেকে বেশি কৃতিত্ব দেওয়া হয় মেয়েদের।কারন তাদের উদ্বাবিত স্যাকার কারনেই যে পৃথিবীটা মানুষরা আবার ফিরে পেয়েছিল।