বন্দুকহাতে নিয়ে প্রায় দু ঘন্টা ধরে টহল দিচ্ছে আবেদিন।
ওর উপর বিশেষ অর্ডার আছে।
এই এলাকাটা যেন কেউ দখল নিতে না পারে।গুলি চালানোর অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া আছে ওকে।
আজ হরতাল।
তাই বিরোধী দল এই এলাকাটা দখল নিতে খুবই তৎপর হবে এটাই স্বাভাবিক।
কারন জায়গাটা ওদের জন্য গুরুত্বপুর্ন।
অথচ এই সামান্য এলাকাটা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে মানুষ খুন করার অনুমতি ও দেওয়া আছে আবেদিনকে।
কিন্তু আবেদিন তো এইজন্যে পুলিশের চাকরি নেয়নি।ও খাকি পোশাকটা গায়ে চড়িয়েছে অন্যায়কারিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য কোন নিরপরাধ মানুষকে মারার জন্য নয়।অথচ উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে আজ তাকে প্রয়োজনে অস্ত্রব্যাবহার করার অনুমতি দিয়েছে।
আবেদিন জানে এ যায়গাটায় সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি।
হয়ত আজ ওর বুলেটের আঘাতে কয়েকজন আহত হবে।মারাও যেতে পারে কেউ কেউ।
কিন্তু কি করবে আবেদিন।
আবেদিনেরহটাৎ বাসার ছোট্ট মেয়েটার কথা মনে হল।ওর মুখের দিকে তাকিয়েই ও পুলিশের চাকরি টা ছাড়তে পারেনি।
কারন চাকরি টা ছেড়ে দিলে ওর পরিবার আর্থিক সংকটে পড়ত।
হটাৎ ককটেলবিস্ফোরনের শব্দে চকিত বন্দুক হাতে তুলে নিল আবেদিন।সামনে মানুষের বিশাল ঢল।কি করবে ও ।প্রায় কিংকর্তব্যবিমুঢ়হয়ে পড়লো।
কানে বাজছে কমকর্তার নির্দেশ।
এই জায়গাটার যে কোন উপায়ে নিরাপত্তা চাই ....... . . . . .....
ট্রিগারে আঙ্গুল পড়ল আবেদিনের।একটা বুলেট শা করে বের হয়ে সামনে একটা ছেলের কপালে আঘাত করল।
ছেলেটা ওখানেই লুটিয়ে পড়ল।
ওর থেকে বয়স কিছুটা কম হবে ছেলেটার।
এসব আর দেখার সময় নেই আবেদিন এর।
মানুষ পালাতে ব্যাস্ত।
প্রানের ভয়ে মানুষ দ্বিগবিদ্বিক ছুটছে।
আর এরই মাঝে কিছু পুলিশ বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়ছে।আবেদিন ও গুলি ছুড়ছে।
কারন তার দায়িত্ব যে তাকে পালন করতেই হবে ।যে কোন কোন উপায়ে রক্ষা করতে হবে জায়গাটার নিরাপত্তা............