বাইরে অঝোরে বুষ্টি হচ্ছে।
বারান্দায়একটা চেয়ারে সীমা একা বসে অনেক কিছুই ভাবছে।
নিজের অজান্তেই কয়েক ফোটা অশ্রু হয়ত গাল বেয়ে বেয়ে নিচে নামছে।
হটাৎ করেই অতীতের কিছু স্মৃতি মনে হয়েছে।
সবকিছু ভুলে গেলেও ক্যান জানি স্মৃতি কখনো ভোলা যায়না।
তাইত অনেক দিনপর আজ আবার সেই বেদনায়ক দিনগুলার কথা মনে পড়ছে।
অনার্স প্রথম বর্ষের কথা।তখন পর্যন্ত সীমা কাউকে মন দেয়নি।
আসলে সীমা ছিল একটু অহংকারী।
হ্যা সে জন্যেই সবাই ওকে এড়িয়ে চলত।
হটাৎ একদিন সীমা খেয়াল করল একটা ছেলে ওকে সমসময় ফলো করে।
ছেলেটা দেখতে ভীতু ভীতু ।একটা মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া থাকে সমসময়।
এবং এই ছেলেটার জন্যই আজ এতোদিন পরও সীমা কাদছে।
ছেলেটা অনেক ভালবাসত সীমাকে।
সীমা বুঝেও এড়িয়ে যেত।একসময় ছেলেটা সীমাকে প্রপোজ করে।
সীমা ওকে সরাসরি না বলে দেয় ।তারপরেও ছেলেটা ওর পিছনে ঘোরে।এমনকি ছেলেটা একদিন সীমার বাসায় পর্যন্ত যায়।
একসময় সীমা ছেলেটাকে ভালবেসে ফেলে।এবং আজকের এই বাদলা দিনে দুজন দুজনকে মনের সব কথা খুলে বলে।
ছেলেটার কোন দোষ ছিলনা।সেতো ভালবাসত সীমাকে।অথচ এই আহংকারী সীমার একসময় ছেলেটাকে অসহ্য মনে হয়।ছেলেটার ভালবাসাকে তুচ্ছ মনে হয়।
এবং আর কয়েকটা মেয়ের মত সেও দ্বিতীয় ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ে।
ছেলেটাকে বলে ওকে ভুলে যেতে ।কিন্তু ছেলেটি কখনই ওকে ভুলতে পারেনি।অনেক ভালবাসত বলেই ছেলেটা সহজেই ওর পথ থেকে সরে যায়।
না ছেলেটা আত্বহত্যা করেনি।কারন আত্বহত্যা করার মত এত সাহস ওর ছিলনা।
সীমার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় সে বলেছিল একটা সারপ্রাইজ দিবে।যদিও সে সারপ্রাইজ দিতে পারেনি।সারপ্রাইজ দিয়েছে সৃষ্টিকর্তা।সীমার চোখের সামনে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় ছেলেটা।
সীমার সেদিন আনেক কেদেছিল ।কেন কেদেছিল জানেন ! সীমার দেওয়া একমাত্র উপহার বাদলা দিনের সেই লাল গোলাপটির শুকনা পাপড়ি গুলে তখনো ছেলেটার পকেটে ছিল।রক্ত আর পাপড়ি মিলে একাকার হয়েছিল ছেলেটার ভালবাসা ।।।