মু’তাজিলা দর্শন এবং স্বাধীন দার্শনিকদের উদ্ভব
দর্শন(Philosophy) আর ধর্মতত্ত্ব(Theology)- এক ব্যাপার নয় এটি যেমনি সত্য, তেমনি এরা মোটামুটিভাবে একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে-এটাও সত্য। প্রত্যাদেশ(Revelation) এবং আচার(Custom)নির্ভর ধর্ম যে সব ব্যাপারে সিদ্ধান্তকারী বক্তব্য দেয়, দর্শন সে সব সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে নিজের মত করে পথ(যুক্তি, বুদ্ধি, তথ্য ইত্যাদি) বেছে নেয়। এদিক থেকে দর্শন আর ধর্মতত্ত্ব সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। আমরা যে সময়ের কথা আলোচনা করছি, সে সময়ে এটি আরো বেশী সম্পর্কযুক্ত ছিল।
আগের পর্বগুলোতে আমরা দেখেছি, খারেজী-শী'আর চরম কট্টর ও একপেশে দর্শন এবং মুর্জিয়াদের শৈথিল্যমূলক আলোচনার ভেতর দিয়েই মু'তাজিলাদের উদ্ভব। সন্দেহ নেই, তাঁরা ধর্মতাত্ত্বিক আলোচনাতেই মূলত ব্যস্ত থেকেছেন। কিন্তু, এটাও ঠিক যে, তাঁরা তাঁদের মতাদর্শের স্বরূপ উদ্ঘাটনে কম-বেশী যুক্তি-বুদ্ধির আশ্রয়ও নিয়েছিলেন এবং কালপরিক্রমায় এর চর্চা বৃদ্ধি পেয়ে একটি সুনির্দিষ্ট অবস্থানে পৌঁছানোর পরেই কিন্দি-ফারাবী-রুশদদের আবির্ভাবের পথ সুগম হয়। সুতরাং, মুসলমানদের মাঝে বড় মাপের দার্শনিকদের আবির্ভাবের পেছনে এই সম্প্রদায়গুলোর কাজের সুস্পষ্ট প্রভাব ছিল। সেইসাথে, এটিও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মুসলমান দার্শনিকেরা জীবনের কোন না কোন সময়ে কম-বেশী ধর্মতত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।
এ পর্যায়ে আমরা মু’তাজিলা দর্শন নিয়ে আলোচনা করব। মু’তাজিলারাই মোটামুটি আজকের সময়ের বিবেচনায় প্রথম পূর্ণ দার্শনিক গোষ্ঠী/সম্প্রদায়। পাঁচটি মূল বিষয়ের উপরে এই দর্শনের ভিত্তি স্থাপিতঃ
১. তাওহীদঃ(التوحيد)আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় এবং চিরন্তন। এই সত্ত্বাটুকু ছাড়া তাঁর আলাদা কোন গুনাবলী নেই, এগুলো তাঁর পবিত্র সত্ত্বার সাথেই মিশে আছে। এই সব গুনাবলী আলাদা করে আরোপ করা তাঁর একেশ্বরবাদী ধারনাবিরুদ্ধ। তাঁরা যুক্তির সাহায্যে ঐশী সত্ত্বায় কোন প্রকার নরাত্বারোপের বিরোধীতা করেন এবং চর্মচক্ষুতে আল্লাহকে দেখা অসম্ভব। একইভাবে, আল্লাহর চোখ, মুখ প্রভৃতি ইন্দ্রিয় থাকাও সম্ভব নয়।
২. আল-আ’দলঃ(العدل) আল্লাহ ন্যায়পরায়ন। পুণ্যাত্মারা তাঁর কাছ থেকে পুরষ্কার পাবেন আর পাপাত্মা-দুরাচারী পাবে শাস্তি। এ ব্যাপারে তিনি কোন অন্যথা করতে পারেন না। মানুষের ক্ষমতা বহির্ভূত কোনকিছুই তিনি চাপিয়ে দেন না। ইহলোকে এবং পরলোকে তিনি এমন কিছু করতে পারেন না যা, অকল্যানকর।
৩. কোরআনের নিত্যতাঃ(الخلود من القرآن الكريم) কুরআন আল্লাহর বাণী। কিন্তু, এটি অনাদি নয়। একমাত্র আল্লাহর সত্ত্বাই অনাদি এবং নিত্য(Eternal) এবং তাঁর সাথে আর কোন কিছুই সহ-নিত্য(Co-etaernal) হতে পারে না। অতএব, এটি কোন এক বিশেষ সময়ে সৃষ্ট। মু’তাজিলাদের এই মতটি সবচেয়ে বিতর্কিত এবং এর জন্যই তাঁরা সবচেয়ে বেশী সমালোচনার স্বীকার হয়েছেন।
৪. স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিঃ(الإرادة الحرة) মানুষ স্বাধীন প্রানী। তার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, ভাল-মন্দ পথ বেছে নেবার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে এবং তার কাজের জন্য সে নিজেই দায়ী। এই জায়গায় তাঁরা কাদরিয়া মতাদর্শের সরাসরি অনুসারী। একজন মুসলমান যখন বড়মাপের পাপ(কবীরা গুনাহ) করে তখন তাঁকে মুসলমান বলা যায় না, তবে সে অমুসলমানও হয়ে যায় না বরং মাঝামাঝি(Al-Manzilah bayna al-Manzilatayn- المنزلة بين المنزلتين - The Intermediate Position) অবস্থান করে। এক্ষেত্রে, খারেজী ও মুর্জিয়া উভয় সম্প্রদায়ই চরম একপেশে মত গ্রহন করেছিল।
৫. সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধঃ(الأمر بالمعروف و النهي عن المنكر) সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ সমাজের স্থিতিশীলতার জন্য খুবই জরুরী এবং এই কাজে সহযোগিতা করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক(ফরযে আইন)। এজন্য একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির(খলিফা) প্রয়োজন। তবে, তাঁকে আরব বংশোদ্ভূত হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
সংক্ষেপে এই হচ্ছে, মু’তাজিলা দর্শনের স্বরূপ। ওয়াসিল ইবন আ’তা এবং আমর ইবন ওবায়েদের পরে এই দর্শনে যাঁরা বড়মাপের অবদান রাখেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, আবু হুদায়েল আল-আল্লাফ(أبي هذيل العلاف; ৭৫০-৮৪৯), ইব্রাহিম আন-নায্যাম(أبو إسحاق إبراهيم بن سيار بن هانئ; ৭৭৫-৮৪৫), চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘কিতাবুল হাইওয়ানের’ অমর লেখক আল-জাহিয(الجاحظ; ৭৮১-৮৬৯), বিশার ইবন আল-মু’তামীর(بشر بن المعتمر; ?-৮২৫), মুয়াম্মার ইবন আব্বাদ ইবন সোলাইমান(معمر بن عباد بن سليمان; ?-৮৪৪), থুমামাহ ইবন আল-আশরাস(الثمامة; ৮২৮), দুই পিতা-পুত্র, যথাক্রমে আবু আলী আল-জুবাঈ(أبو علي الزوبعي; ?-৯১৫), আবু হাশিম ইবন জুবাঈ(أبو هاشم بن الزوبعي; ?-৯৩৩) এবং রাই অঞ্চলের কাযী আবদুল জব্বার(৯৩৫-১০২৫) উল্লেখযোগ্য । আল-কুরআনের বিখ্যাত তাফসীরকারক আবু আল-ক্বাসিম মুহাম্মাদ ইবন উমর আল-জমখ্শরী(أبو القاسم محمود بن عمر الزمخشري;১০৭৪-১১৪৪)কে এ ধারার শেষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে ধরা হয়।
এখানে একটি ব্যাপার লক্ষ্যনীয় যে, পূর্ববর্তী খারেজী-শী’আ সম্প্রদায়ের দর্শনে নেতৃত্ব সংক্রান্ত প্রশ্নসমূহ মূখ্য ছিল। মু’তাজিলা সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি ধীরে ধীরে গৌণ হয়ে উঠেছে, সেইসাথে সামষ্টিক আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা ব্যক্তিসত্ত্বার আলোচনায় ব্যাপৃত হয়েছেন। আরো লক্ষ্যনীয় যে, মু’তাজিলাদের মাঝে কেউ কেউ সুন্নী আর কেউ কেউ শী’আ সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং তাঁদের মাঝে ধর্মতাত্ত্বিক মতাদর্শের এই মতদ্বৈত্বতা তাঁদের দর্শনগত মতাদশের সাথে সাংঘর্ষিক ছিল না। ফলে, অর্ধশতকের রাজনৈতিক টানাপোড়নের বাইরে বেরিয়ে এসে তাঁরা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্প্রদায় গড়ে তুলতে সক্ষম হন। শেষদিকের উমাইয়া খলিফা ইয়াজিদ ইবন আল-ওয়ালিদ(يزيد ابن الوليد ابن عبد الملك;৭৪৪) মুতাজিলাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন বলে জানা যায়।৭৫০ খৃষ্টাব্দে উমাইয়া শাসনের অবসানে পর মুসলমানদের নেতৃত্বে আসে আব্বাসীয়া(মুহাম্মাদের(স) চাচা আব্বাসের(রা) বংশধরেরা)। বাগদাদকেন্দ্রিক এই শাসকগোষ্ঠীর দ্বিতীয়জন আল-মনসুর(ابو جعفر عبدالله بن محمد المنصور; ৭৫৪-৭৭৫) আমর ইবন ওবায়েদের বন্ধু ছিলেন। সেই সুবাদে মু’তাজিলারা আব্বাসীয়দের সাহচর্য লাভ করেন। পূর্বোক্ত আল-আল্লাফ এবং আন-নায্যাম খলিফা আল-মা’মুনের(ابوجعفر عبدالله المأمون; ৮১৩-৮৩৩) শিক্ষক ছিলেন। ফলে, তাঁর শাসনকালে মু’তাজিলারা খ্যাতি এবং সম্মানের চূড়ায় উঠে যান। উত্তর আফ্রিকা থেকে পারস্য পর্যন্ত বিশাল এলাকা জুড়ে এ মতাদর্শের চর্চা শুরু হয়। পরবর্তী দুই খলিফা আল-মু’তাসিম(أبو إسحاق عباس المعتصم بن هارون; ৮৩৩-৮৪২) এবং আল-ওয়াছিক(لواثق; ৮৪২-৮৪৭) পর্যন্ত এই সমর্থন অব্যাহত থাকে। এ রকম পরিস্থিতিতেই সম্প্রদায়গত দার্শনিক ধ্যান-ধারনার বাইরে প্রথম একক চিন্তা ভাবনা নিয়ে হাজির হন ‘আরবের দার্শনিক’(Philosopher of Arabs- فيلسوف العرب) আল-কিন্দি।
আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবন্ ইস্হাক আল-কিন্দি(أبو يوسف يعقوب إبن إسحاق الكندي; ৮০১-৮৭৩) এক অনন্য দার্শনিক। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর অবদান নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি। কিন্তু, দর্শনেই তিনি সবচেয়ে বেশী অবদান রেখেছেন। তাঁর প্রথম অবদান, তিনি মুসলমানদের সাথে অ্যারিস্টটলের দর্শনের পরিচয় করিয়ে দেন। আব্বাসীয় শাসনামলে কুফার শাসনকর্তা পরিবারের এই সন্তান পরিণত বয়সে আব্বাসীয় রাজদরবারের জ্যোতির্বিদ এবং চিকিৎসকের ভূমিকা গ্রহনের পাশাপাশি গ্রীক দর্শন অনুবাদের দায়িত্ব নেন। ফলে, তাঁর হাত দিয়ে অ্যারিস্টটলের মেটাফিজিক্স(Metaphysics) এবং প্লোটিনাসের(Plotinus;২০৪-২৭০) এন্নিয়াডস্(The Enneads) সহ প্রাচীন বিজ্ঞানের বড় বড় গ্রন্থের অনুবাদ সম্পন্ন হয়। মু’তাজিলা সম্প্রদায়ের সমসাময়িক হওয়ায় তিনি শুরুর দিকে তাঁদের মতাদর্শের অনুরক্ত ছিলেন। তবে, কালক্রমে তিনি সে প্রভাব কাটিয়ে ওঠেন এবং মুসলমানদের মাঝে প্রথম স্বাধীন দার্শনিক(‘ফালাসিফা’- فيلسوف) হিসেবে পরিচিতি পান। তিনিই প্রথম কার্যকর ভাবে দর্শন(Philosophy) এবং ধর্মতত্ত্বের(Theology) পার্থক্যকে সুস্পষ্ট করে তোলেন। তবে, তিনি ধর্মতত্ত্বকে দর্শনের চেয়ে অগ্রধিকার দেন। কুরআনের সাহিত্যিক মানের উচ্চতাকে তিনি স্বীকার করতেন এবং এতে বর্ণিত যুক্তিমালাকে তিনি অপরাপর দার্শনিকদের যুক্তির চাইতে অধিকতর ফলপ্রসূ এবং মূর্ত বলে মত প্রকাশ করেন। ঐশী বা প্রত্যাদিষ্ট জ্ঞানকে তিনি মানবিক জ্ঞানের চাইতে উৎকৃষ্ট ভাবতেন। অ্যারিস্টটলের দর্শনের সাহায্যে তিনি কুরআনের দার্শনিক ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেন। সোজা কথায়, তিনি গ্রীক দর্শনের সাথে ইসলামের সামঞ্জস্য বিধানে প্রচেষ্ট হন। দূর্ভাগ্যের বিষয়, তাঁর রচিত প্রায় ২৭০টি গ্রন্থের বেশীরভাগই এখন পাওয়া যায় না। তবে, তাঁর লেখা দ্বারাই পরবর্তী মুসলমান দার্শনিকেরা(ফারাবী-ইবন সীনা) সরাসরি প্রভাবিত হন। এমনকি, ‘আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক’ রেনে দেকার্তে(René Descartes;১৫৯৬-১৬৫০)ও কিন্দির দর্শন দ্বারা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত ছিলেন বলে বলা হয়ে থাকে।
মধ্যযুগের আরবী গ্রন্থে অ্যা্রিস্টটলের কাল্পনিক প্রতিকৃতি
কিন্দির পরে দর্শনের জগতে যিনি মহীরুহ হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি হচ্ছেন, আবু বকর মুহাম্মাদ ইবন যাকারিয়া আল রাজী(محمد زکریای رازی; ৮৬৫-৯২৫)। প্লেটোর দর্শনের প্রতি অনুরক্ত এই দার্শনিক মুসলমানদের মাঝে প্লেটো এবং তাঁর দর্শনকে পরিচিত করে তোলেন। প্লেটো যেমনি ভাবতেন ‘Ruler must be a philosopher’ তেমনি তিনিও বিশ্বাস করতেন, ‘Physician must also be a philosopher’। ‘আল-তিব্ব আল-রুহানী’ এবং ‘আল-সিরাত আল-ফালাসিফা’ –দরশন বিষয়ে তাঁর দুইটি বিখ্যাত গ্রন্থ। দার্শনিক হিসেবে তিনি ছিলেন পুরোমাপের যুক্তিবাদী। যুক্তির ক্ষমতা এবং ফলপ্রসূতায় তাঁর ছিল অগাধ আস্থা। গতানুগতিক ধর্মবিশ্বাসের সাথে তিনি তাল মিলিয়ে চলতে চাইতেন না। মানুষের অস্তিত্ব, অধিকার, স্বাধীনতা এবং প্রগতিতে তিনি আস্থাবান হলেও এক পরমবিজ্ঞ বিধাতার অস্তিত্বে গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন।
ষোড়শ শতকের ল্যাটিন গ্রন্থে আল-রাজীর কাল্পনিক প্রতিকৃতি
চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর অমর অবদান যেমনি করে ইবন সীনার কাজের নিচে চাপা পড়ার উপক্রম হয়, তেমনি তাঁর দার্শনিক অবদানও আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্রের কাজের নিচে চাপা পড়ে যায় আর তিনি হচ্ছেন আবু নাসর মুহাম্মাদ আল-ফারাবী(أبو نصر محمد الفارابي; ৮৭২-৯৫০)।
কাজাখস্থানের মূদ্রায় আল-ফারাবীর কাল্পনিক প্রতিকৃতি
আল-কিন্দির তিরোধান হতে আল-ফারাবীর উত্থানের মধ্যবর্তী সময়কালে দুইটি বিশেষ ঘটনা ঘটে যা বিজ্ঞান ও দর্শনে মুসলমানদের পরবর্তী সময়ের অবদানকে সরাসরি প্রভাবিত করে। এর একটি হচ্ছে, হুনায়ন ইবন্ ইসহাক(৮০৯-৮৭৩)- এর অনুবাদকর্ম এবং অপরটি হচ্ছে আশ’আরীদের আবির্ভাবে মুতাজিলাদের তড়িৎ পতন। এসব নিয়ে আলোচনা থাকছে পরের পর্বে।
চলবে.....
আগের পর্বগুলোঃ
১. ভূমিকা পর্ব
২. বিজ্ঞানের দর্শন
৩. প্রাচীন বিজ্ঞানের ইতিহাস
৪. মৌলিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদান
৫. ব্যবহারিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদান
৬. রসায়নবিজ্ঞানে অবদান
৭. আলোকবিজ্ঞানে অবদান
৮. জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদান- প্রথম পর্ব
৯. জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদান- দ্বিতীয় পর্ব
১০. গণিতে অবদান
১১. ইসলামে বিভিন্ন দর্শনের উদ্ভব ও বিকাশ
১২. ইসলামে বিভিন্ন সম্প্রদায়গত দর্শনের সারসংক্ষেপ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৪