আহ্বায়কের ঘোষনা : পিএইচসির স্থায়ী কমিটির ২১ জন সদস্য ও প্রস্তাবিত সম্প্রসারিত কমিটির সদস্যগণ যাহাদেরকে সবাইকে আগামী ১ লা জুলই ভয়েস অব বাংলাদেশ অফিসে পিএইচসি কমিটি পুনর্গঠন ও রেজুলেশান তৈরী এবং রেজিষ্ট্রেশানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। উক্ত সভার পূর্বেও এজেন্ডা তৈরীর জন্য ইমেইলে বা চিঠিতে আপনাদের মতামত আমার নিকট পাঠাতে পারেন।
পিএইচসি কমিটির সদস্যগণ নিম্নরূপ
১. আজমান আন্দালিব (আক্তারুজ্জান ভূঁইয়া, লেখক ও গবেষক)
২. জিল্লুর রহমান (উপন্যাসিক)
৩. কবি মনিরা চৌধুরী (২০১০ ইং সালে গঠিত ২য় কমিটির সভানেত্রী)
৪. কবি বাবুল হোসেইন (কবি ও প্রাবন্ধিক)
৫. তারেক হাসান (লেখক) (প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি)
৬. অধ্যাপক আশিকুর রহমান (প্রাবন্ধিক)
৭. আমিনুল ইসলাম মামুন (২০১১ সালে গঠিত ৩য় কমিটির সভাপতি)
৮. মো: সারোয়ার সোহেন (২০১১ সালে গঠিত ৩য় কমিটির সহ সভাপতি, ছদ্মনাম মরুভূমির জলদস্যু)
৯. নিজাম কুতুবী (কবি ও সাহিত্যিক, সাধারণ সম্পাদক)
১০. মোঃ কবীর হোসেন (সহ সাধারণ সম্পাদক, ছদ্মনাম পথহারা পথিক)
১১. জহির রহমান (সাংগঠনিক সম্পাদক)
১২. তাজুল ইসলাম (সহ সাধারণ সম্পাদক )
১৩. মিন্টু হোসাইন (সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, ছন্দনাম বাদশামিন্টু)
১৪. জামাল উদ্দিন (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ছদ্মনাম সিটিজি৪বিডি)
১৫. হাবিব (সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক)
১৬. এ. রহমান (প্রচার সম্পাদক)
১৭. শারমিন সুলতানা (নির্বাহী সদস্য)
১৮. শাহাদাত হুসাইন (নির্বাহী সদস্য)
১৯. এম জহিরুল ইসলাম (নির্বাহী সদস্য)
২০. নিজামুল হক
২১. আজাদ আল্-আমীন
২২. জাকারীয়া আহাম্মেদ খালিদ (সিঙ্গাপুর প্রবাসী)
২৩. নাইয়্যাদ জাহান
২৪. মঈনুল হোসেন
২৫. সাইফ মাহদী (সম্পাদক দশদিক ম্যাগাজিন)
২৬. আনোয়ারুল মোমেনিন ব্যালট (প্রবন্ধ)
২৭. আজম মাহমুদ (প্রবন্ধ)
২৮. মোঃ মাহবুবুল করিম (প্রবন্ধ)
২৯. কবি খন্দকার আলমগীর হোসেন (কানাডা প্রবাসী)
৩০. খান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সুমন
৩১. আবু বকর সিদ্দিক রচিত
৩২. সাঈদ বিন হাবিব
৩৩. আমান উল্লাহ আমান
৩৪. সাইরাস চৌধুরী
৩৫. মারুফ হোসেন জিতু
৩৬. সজীব
৩৭. লুনা শর্মা
৩৮. কবি শুভ্রা বিশ্বাস
৩৯. মিনহাজ আল হেলাল (ফিনল্যান্ড)
পিএইচসি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ : পিএইসসি হচ্ছে প্রোগ্রাম ফর হিউম্যান কেয়ার এর সংক্ষিপ্ত রূপ। পি এইচ সি অরাজনৈতিক, অলাভজনক একটি কর্মসূচী। যাহা শুধু মাত্র কবি, সাহিত্যিক, লেখকদেরকে নিয়ে গঠিত। ২১ জন স্থায়ী সদস্য নিয়ে গঠিত। অরাজনৈতিক, অলাভজনক একটি সংগঠন। যাহা শুধু মাত্র কবি, সাহিত্যিক, লেখকদেরকে নিয়ে মানবিক কার্যক্রমের লক্ষ্যে।গঠিত। যাহা কোন ফান্ড সংগ্রহ করে না। শুধু মাত্র সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
পিএইচসির নিয়ম : কেউ পদত্যাগ করার সুযোগ নেই। স্থায়ী কমিটির যে কেউ যে কোন ১ জনকে স্থায়ী কমিটিতে আন্তর্ভক্ত করতে পারবেন। কারো কোন নিয়ম কানুন নিয়ম বিরোধী হলে তাকে সংশোধন করতে হবে। স্থায়ী কমিটি হতে বাদ দেওয়া যাবে না। কোন ফান্ড অফিস বা স্টাফ হবে না। সভাপতিা বা আহ্বায়ক পরবর্তী আহ্বায়ক নির্বাচন করতে হবে, যদি সবাই মিলে নির্বাচিত না করে। সভাপতিরা স্থায়ী সদস্য হয়ে যাবে।
এ পর্যন্ত পিএইচসিতে যারা দায়িত্ব পালন করেছে : ২০০৯ সালে গঠিত ১ম কমিটির সভাপতি তারেক হাসান, ২০১০ সালে গঠিত ২য় কমিটির সভাপতি মনিরা চৌধুরী, ২০১১-২০১২ সালে গঠিত কমিটির সভাপিত আমিনুল ইসলাম মানুম এবং উপদেষ্টা কমিটির প্রধান আক্তারুজ্জামান ভূইয়া, ২০১৩-২০১৪ সালে পিএইচসির আহ্বায়ক হন পিকেএস এর ইদ্রিস আলী (তারেক হাসান কর্তৃক মনোনীত) ২০১৫-২০১৬ সালের জন্য আহ্বান মমোনীত হন মোহাম্মদ বাচ্চু হোসেন। (ইদ্রিস আলী কর্তৃক মনোনীত)। পিএইচসি সর্বপ্রথম ওপেস্টে পরে বাংলাদশে নেটওয়ার্ক সহ আরো কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে এওয়ারনেচ প্রোগ্রাম করেছে। উপরোক্ত মিডিয়া সমূহ বন্ধ হয়ে গেলে তার কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী ইহার কোন রেজিষ্ট্রেশান থাকার কথা নয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা রেজিষ্ট্রেশান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং প্রতি ৩ মাসে একটি সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি রেজিষ্ট্রেশান করা না হয় তবে ১১ টি রেজিষ্ট্রার্ড সংগঠনের মাধ্যমে ভয়েচ অব বাংলাদেশ দ্বারা ইহা পরিচালিত হবে।
পিএইচসির ১০ টি প্রধান কার্যক্রম :
১. পিএইসির ১ম আর্টিকেল যাতে বলা হয়েছে পৃথিবীতে রয়েছে সাতশত কোটি মানুষ। খাদ্যের মওজুদ রয়েছে ২৮ শত কোটি মানুষের জন্য। একজন মানুষের জন্য রয়েছে ৪ গুন খাবার। তবুও পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০২ কোটি মানুষ খাবার না খেয়ে ঘুমাতে যা। অথচ আমরা যদি আন্তরিকভাবে সবাই মিলে চেষ্টা করি কেউ অভুক্ত থাকবেনা । পিএইচসি ফ্যামিলি সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থার যাতে যে গ্রামে ৭০ টি স্বচ্ছল পরিবার আছে তারা সাপোর্ট দিবে ১০ জনকে যারা অক্ষম ও অভুক্ত ও আশ্রয়হীন। ৫ মিনিটে ১ টি শিশু খাবারের জন্য মারা যায়। অথচ খাবার নষ্ট করা হয় এবং অপচয় করা হয়। খাবার পানির জন্য ১ ঘন্টায় মারা যায় প্রায় ১০০ টি শিশু। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এ কার্যক্রম শুরু করতে হবে বাংলাদেশ থেকে।
২. শুধু খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান নয়, কর্মক্ষম, প্রতিবন্ধী ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অপর সকল মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে যারা সরকারী বা বেসরকারী চাকুরীজীবি তাদের ১% করে স্যালারি জমা করা হবে। জাতীয় ভাবে বাধ্যতামূলক বীমা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. মানবিক কার্যক্রমে সবেচেয়ে প্রায়োরিটি প্রদান করা হবে শিশুদের জন্য। কারণ শিশুরা সবচেয়ে অবহেলার শিকার, যা তারা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। তারপর ক্রমান্বয়ে গুরুত্ব পাবে নারী, বৃদ্ধ, অসুস্থ, প্রতিবন্ধি সহ অন্য সবার বিষয়। যে ব্যক্তি অর্থের বা ট্রেনিং এর অভাবে চাকুরী বা ব্যবসা করতে পারছেনা সে পরোক্ষভাবে ডিজেবল, তাকেও সহায়তা দিতে হবে।
৪. ডিপিও সংস্থাগুলোর অধীনে ডিপি কমিউনিটিকে একত্র করে রিহ্যাবিলিটেশান করতে হবে। অনাথ ও পথে পড়ে থাকা শিশু তাদেরকেও নিয়ে আসতে হবে ডিপিওদের অধীনে। ডিপিও এবং এনজিওদের ফান্ড যেন ইফেক্টিভলি বিপন্ন ও অনাথ শিশুদের জন্য ব্যয় হয় তার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে এবং লবিং করতে হবে।
৫. বিশেষভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে নারীর প্রতি সহিংসতা অবসান করতে। ব্যবস্থা নিতে হবে স্কুল ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য।
৬. সকল ডিপিও সংগঠন, ডিজেবল ব্যক্তি এবং মানবিক কাজে যারা ব্যক্তিগত ভাবে অবদান রাখছে যেমন যারা রক্ত দান করছে, যারা গাছ রোপন করছে, গ্রামে হেঁটে বই বিতরন করছে, তাদের সবাইকে লিংকেজ করে কাজ করতে হবে, তাদের সকলের পরামর্শ নিতে হবে, তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরন করে যেন অন্যরা উৎসাহিত হয় সেজন্য প্রচার প্রচারণা ও পুরস্কার প্রদান ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. মানবতাবাদ হবে পৃথিবী ব্যাপী। মানবতাবাদ পৃথিবীর দাবী। সকল ধর্মের দাবী। মানুষের বিবেকের দাবী। এ সম্পর্কে লেখা হয়েছে হার্টস অব দা আর্থ।
৮. পিএইচসি ব্যাজ ধারী লোকাল গ্রুপ বা টিম থাকবে যাতে ইভ টিজিং না হয়, যাতে অন্ধ একজন ব্যক্তিকে গাড়ীতে উঠিয়ে দেওয়া হয়, যাতে বৃদ্ধিদেরকে গাড়ীতে সিট দেওয়া হয়, শিশু আছে যাদের সাথে আছে তাদেরকেও। যাতে রোড থেকে কাটা বা দুর্গন্ধজাতীয় জিনিস সরিয়ে দেওয়া হয়, যাতে প্রয়োজন হলে গ্রামে তারা একতাবদ্ধ হয়ে একটি ব্রীজ বানাতে পারে।
৯. উইকিপিডিয়ার মত ওপেন সোর্স ফান্ড সংগ্রহ করতে হবে। অনলাইন ব্যবস্থাপনায় যে আয় হয় তার জন্য বিপন্ন ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ফান্ড থাকবে হবে। গায়ক ও পারফরমারগণ কনসার্ট করে আয় করবে, ক্রিকেট থেকে আয় হবে তাতেও একটা অংশ থাকবে। ক্রেস্ট বা পুরস্কার দেওয়া হবে লেখকদের, যারা ফেসবুক টুইটারে কাজ করছে। তাদের বাছাইকৃত গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধ সংগ্রহ করা হবে, যা মানবতাবাদ সংক্রান্ত। লাইব্ররী করা হবে যাতে মানুষ আরো মানবিক বোধ সম্পন্ন হতে পারে।
১০. দৃষ্টি ভঙ্গি হবে মানুষ ভিত্তিক, সবার উপরে মানুষ, ইহাতে কোন বৈষম্য নাই। কোন জাতীয় বর্ডার নাই, কোন সাদা কালো নাই, কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ভেদাভেদ নাই, কোন ধর্মীয় পার্থক্য নাই। ধর্ম দরিদ্র নারী পুরুষ কারো জন্য আইন ও অধিকারে কোন পার্থক্য নাই। কোন ভাষা গত ভিন্নতায় কোন অগ্রাধিকার নাই। একের জন্য সবাই। সবার জন্য প্রত্যেকে। এ ধরনের মানবিক বোধ নিয়ে অগ্রসহ হবে পিএইচসি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩২