সোসিও ইকোনোমিক এসোসিয়েশান ফর ডিজএবল (সেডাড)
হাঙ্গার ক্রাইসিস ইন আন্ডার ডেভেলাপড কান্টিজ
১ যদি পৃথিবীর ভূমি হত শক্ত পাথরের মত, যদি নির্জীব বীজকে সে আশ্রয় না দিত তার ভূমি গর্ভে, যদি তাতে ভূমি রস সরবরাহ না করতো তাহলে এই সবুজ বিস্তুীর্ণ বনানী কখনোই হত না। জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন প্রবাহ কোথাও থাকত না। হতনা মানব সভ্যতা, হতনা গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে ছড়ানো ফসলের মাঠ। যদি পৃথিবী দয়াহীন মায়াহীন কঠিন পাথরের মত হয়ে থাকত, তবে ক্ষুদ্র অবলা বীজগুলো নষ্ট হয়ে হারিয়ে যেত কালের আবর্তে। একটি ক্ষুদ্র বীজের মতই একটি অবুঝ মানব শিশু, একটি বিপন্ন বালক, একটি বিপন্ন বালিকিা, প্রত্যেকের মধ্যে রয়েছে অমিত সম্ভাবনা, যদি তাদের যতœ নেওযা না হয়, এই সম্ভাবনার সমাপ্তি এখানেই। উপরন্তু তারা হয়ে উঠবে সভ্যতার জন্য বোঝা। যদি যতœ নেওয়া হয় তারা হবে চিকিৎসক, কৃষক, কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী। অযতœ অবহেলায় পড়ে থেকে তারা হযে উঠবে চোর ডাকাত, অমানুষ, সন্ত্রাসী, সমাজের শান্তি বিনষ্টকারী রাজনীতিক কর্মী বা নেতা, আবর্জনাময় বস্তির বাসিন্দা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা শিক্ষাহীন চিকিৎসাহীন মানবেতর জীবন ধারন কারী, ক্ষুধার তাড়নায় বেপরোয়া ছিনতাইকারী এক বালক, দারিদ্রের কষাঘাতে সন্ত্রাসী হওয়া যুবক, এর সমাজর চোখে অমানুষ, এরা অনমানুষ হয়েছে কারণ সমাজ তাদের যতœ নেযনি। সমাজ এর অবহেলায় তারা হয়েছে জীবন হরনকারী খুনী, অথচ তাদের হওয়া উচিত ছিল- ২ জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসক। পৃথিবী যেমন উদার, সমাজটাও যদি তেমন উদার হত, যদি সমাজ তাদের নার্সিং করতো তবে তারা সভ্যতার বোঝা হত না। আশীর্বাদ হত। চুড়ান্তভাবে আমাদেরকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে- পৃথিবীর বাসিন্দাদেরকে, পৃথিবীতে আর নতুন কিছু হোক বা না হোক কিন্তু এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে, কেউ অনাহারে থাকবে না, কেউ ক্ষুধার যন্ত্রনা নিয়ে জীবন কাটাবেনা, কোন শিশু ক্ষুধার যন্ত্রনায় চিৎকার করবে না, কোন অনাথ বালক সারাদিনের ক্লান্তি শেষে অভুক্ত থেকে পথের ধারে ঘুমিয়ে পড়বে না। সাধারন হিসেবে পৃথিবীতে যতজন মানুষ প্রত্যেকের প্রয়োজনের তুলতায় চারগুন খাবার রয়েছে। খাদ্যের পরিমাণ পর্যাপ্ত প্রয়োজেনর চেয়ে বেশী, মানুষ ও মানব সমাজের জটিলতার কারণ হাজার হাজার মানুষ খাদ্য পানীয়র অভাবে দুঃসহ মানবেতর জীবন যাপন করছে। যখন একজন মানুষের জন্য ১ প্লেট খাবার প্রয়োজন তখন পৃথিবী তার জন্য ৪ প্লেট খাবার রাখে, যখন ২ প্লেট খাবার প্রয়োজন তখন ৮ প্লেট খাবারের ব্যবস্থা রাখে যখন ১ গ্লাস পানি প্রয়োজন তখন ৪ গ্লাস পানির ব্যস্থা রেখেছে। এই বিশাল মানব গোষ্টির জন্য বিপুল পরিমান বিশুদ্ধ সুপেয় পানরি পরও নোনা অশোদিথ পানির মওজুদ আরো অনেক বেশি। ১লিটার বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি রয়েছে ৯৯ লিটার অশোধিত পানি। এই পানিও রাখা হয়েছে মানুষের অন্যান্য প্রয়োজনে, একটি বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য যে ইকোসিস্টেম প্রয়োজন সেখানে থাকবে জীব জগত প্রাণীজগত ও ভৌগলিক এলাকার প্রয়োজনীয় উপাদান গাছ, লাত, পাতা, বনাঞ্চল, পাহাড়, সাগর পশু, পাখি মরুভুমি সবকিছ্।ু এই ইকোসিস্টেম যথাযথ ভাবে না থাকলে মানুষ পৃথিবিতে টিকতে পারতনা মানুষ এবং এই সিস্টেমের সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য পৃথিবী প্রতি মুহুর্তে পনি বাতাস ও খাবার সরবরাহ করছে। ৩ পৃথিবীতে মানুসের সংখ্যা সাতশত কোটি অথবা আটশত কোটি। প্রত্যেকেও জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত বাসস্থান। তাই পথের পাশে কারো ঘুমানের প্রয়োজন নেই, কনকনে শীতে অথবা প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে কেউ মাথা গুজার ঠাই পাবনো, কেউ বাস্তুহারা হারা হয়ে থাকবে। কোনটাই হওয়া সম্ভব নয় এবং উচিত নয়। আজ হাজারো মানুষ যে বাস্তুহারা তার কারণ সক্ষম মানুষদের অমানবিকতা, ভবিষ্যত এ অবস্থা চলতে পারেনা, চলা উচিত নয়। যদি মানব সভ্যতা আসলে সভ্যতা হয়। কারো শিশু সন্তাান বৃষ্টি ঝরা দিনে কাদা মাটি আর আবর্জনায় পড়ে থাকবে কোন মানুষ কি এটা সহ্য করবে যদি ঐ শিশু হয় তার নিজ সন্তান কারো ছোট বোন রোগ যন্ত্রণায় বিছানায় চটপট করছে দিনের পর দিন। অথচ সে তার চিকিৎিসার ব্যবস্থা না করে এ টাক কক্সবাজানা দার্জিলিং ভ্রমনে নষট করছে তবে তাকে কি প্রকৃত মানুষ বলা যাবে। আমরা সভ্য মানুষেরা বড় বড় ক্রীড়া আসরের আয়োজন করছি গ্রহণ উপগ্রহ নক্ষত্রের জগতে ব্যয়বহুল আবিস্কার অভিযান পরিচালনা করছি, অন্য দিকে ঐ রকম শতশত বোন কত উদ্ভাস্তু শরনার্থী তাবুতে চিকিৎসাহীন, আশ্রয়হীন, কত মায়ের আহাজারী, কত পিতার অশ্র“জল, তাদেরকে পুনর্বাসন না করে চন্দ্র মঙ্গল ইউরেনাসে অভিযান অর্থহীন, আগে তাদের পুনর্বাসন তারপর খেয়ালী অভিযান। কোন স্বাভাবিক মানুষ কি সহ্য করবে, যদি তার শিশু সন্তান খাবরের জন্য চিৎকার করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বে, অথচ প্রতিদিন শত শত শিশু খাবরের অভাবে মারা যাচ্ছে তারা কি মানুষের সন্তান নয়। অমরা কি মেনে নেব যদি আমাদেও কারো বৃদ্ধ মা প্রখর রোদের মাঝে অবসন্ন দেহে অসহনীয় পরিশ্রম করবে। তবে কেন একজন বৃদ্ধ মা শীর্ণ শরীরে প্রখর রৌদ্রে বসে ইট ভাঙ্গার কাজ করছে। তার পেটের সন্তান নইে। তাই বলে কি পৃথিবীর সন্তানেরাও সব মরে গেছে। ৪ হয়তো তাদের মন আর বিবেক মরে গেছে তাই একজন বৃদ্ধ পিতা খাবারের জন্য হাত পাতছে জনে জনে, কারণ তিনি কর্মক্ষম নন। আরেকজন বৃদ্ধ পিতা একটু উঞ্চ আবাস অথবা উঞ্চ পোষাকের অভাবে কনকনে শীতের মাঝে কষ্ট পাচ্ছে, শীত বস্ত্রের কি অভাব। আসলে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান কোনটারই অভাব নয়। অভাব মানসিকতার, অভাব উদারতার। সমাজ ব্যবস্থার সিস্টেমে সমস্যা, নিয়মের মাঝে ভুল। চিন্তায় সংকীর্ণতা, জ্ঞানের জগতে দৈন্যতা। যে কৃষকেরা দিনভর খেটে ফসল ফলাচ্ছে, পোষাক কারখানায় যারা শ্রমিকরূপ পোষক শিল্পী, ঔষধ কারখানায়, যারা দ্রুত হাতে ঔষধ তৈরী করছে। যেসব নির্মাণ শিল্প শ্রমিক যারা ইট অথবা কাঠের অথবা পাথরের বসতি গড়ছে ক্রমাগত, তারাই সভ্যতার প্রথম সারির সদস্য। আর সেই সহ মহান সদস্য যারা দিন রাত গবেষনা করছে মানুষের জন্য , মানুসের শান্তির জন্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, আরো দ্রুত খাদ্য উৎপাদনের জন্য , রোগজীবানু নাশক মেডিসিনের জন্য, পৃথিবীকে ক্ষধা দারিদ্রতা যুদ্ধ বন্ধের জন্য যারা সত্যিকারের উদ্যেগ নিতে চায়। সেই সব মানুষদেরকে যারা প্রকৃত মানুষ তারাই শধুমাত্র এই বিশ্ব সভ্যতার প্রথম সারির সদস্য। যদিও ইতিহাসে তাদের নাম থাকে নাা, ইতিহাস লেখা হয় রাজা মহারাজা রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদদের নামে, তা হোক কিন্তু এই শ্রমিক, শিল্পী, কৃষক, বিজ্ঞানীরা যা উৎপাদন করছে মূলত তাদের মাধ্যমে পৃথিবী ৫ তার দান ভান্ডার উম্মুক্ত করছে মানব সভ্যতার জন্য। এই উপহার মানব জাতির প্রত্যেক সদস্যের কাছে, এই ইকোসিস্টেমের প্রত্যেক প্রাণীর কাছে সরবরাহ করার দায়িত্ব তাদের যারা রাজা, রাজনীতিবিদ, সমাজপতি, রাষ্টপতি, পৃথিবী তাদেরকে এজন্য দায়িত্ব দিয়েছে, তাদেরকে পৃথিবী তার আলো বাতাস দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তুলেছে, তাদেরকে গণমানুষ ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় সমাজ রাষ্ট্র ও পৃথিবীর দায়িত্বভার অর্পন করছে। সম্পদ, খাদ্য পানীয়, সুষম বন্টনের জন্য, তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে পৃথিবীর কাছে এবং মানবজাতির কাছে তারা অপরাধী, এ সভ্যতায় তাদের কোন অবদান নেই। তারা শুধু ভোগ করলো, কোন ত্যাগ করলনা, তারা তাদের বিবেকের কাছের অপরাধী, স্রষ্টার কাছেও অপরাধি তাদের পরিমণাম অশুভ। একটি ভ্রমণ কারী দল যারা গহীন বনে পথ হারিয়েছে। ১০ জন সদস্যের ঐ দলের খাদ্য পানীয় শেষ হয়ে গেছে। তখন তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এল একটি গাছ যাতে ৪০ টি ফল রয়েছে, এখন তারা সবাই যদি সুষম বন্টন করে নেয়, তারা প্রত্যেকে ৪ টি ফল খেতে পারে, এটা তাদের জন্য যথেস্ট, কিন্তু তাদের ২ জন যারা শক্তিমান তারা ২ জন সব ফল দখল করে নিলে অন্যদের জন্য ফলের অভাব হয়, এই পৃথিবীও প্রত্যেক মানুষের জন্য চারগুন খাবারের ব্যবস্থা করছে প্রতিদিন। কিন্তু তা দখল করে আছে ২ % ক্ষমতাবান ও ধনী মানুষ তাদেও কারনে পৃথিবীতে খাবারের অভাব মনে হয় । দূর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। শরণার্থী শিবিরে হাহাকার দেখা দেয়। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি ৫ মিনিটে পৃথিবীতে ১ টি করে শিশু খাবারের অভাবে মারা যায়। শুধু মাত্র-৬ এই ২% স্বার্থপর মানুষরূপ অমানুষের কারণে। ঐ ভ্রমণকারী দলের যাদের ১০ জন সদস্যের ২ জন ক্ষমতাবান এবং অমানুষ আর বাকী ৮ জন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই ১০ জন সদস্যের গ্র“পটাকে যদি একটি সমাজ ধরা হয় তবে এই ক্ষুদ্র সমাজকে সভ্য সমাজ বলা যাবেনা। বৃহৎ পরিসরে পৃথিবীর বিশাল সমাজ ব্যবস্থাও অনুরূপ। শোষণ বঞ্চনা, ক্ষুধা, দারিদ্র, যুদ্ধ, দূর্ভিক্ষ। অথচ পৃথিবী উদার। এ উদার পৃথিবীতে অনুদার মানুষের সমাজ। সুন্দর পৃথিবীতে অসুন্দর মনের মানুষ। যাদের মন সংকীর্ণ, যারা স্বার্থপর, তাই তাদের নেতারা ও স্বার্থপর সংকীর্ণমনা, লোভী ও বিলাসী। এই পৃথিবীর সমাজ আর ঐ ভ্রমণকারী দলের অবস্থাও একই, প্রার্থক্য শুধুমাত্র সংখ্যার কম বেশী। ভ্রমণকারী দলের সদস্য ১০ জন। আর পৃথিবীর সমাজের সদস্য প্রায় ৮ শত কোটি। এই গোলাকার পৃথিবীটা ৮ শত কোটি মানুষের বাহনের মত সবাইকে নিয়ে পৃথিবী মহামূন্যে ভ্রমন করছে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ মাইল বেগে। যেন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ যাত্রীবাহী যান যা অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে চলছে অবিরাম। এই বাহনেই বড় বড় পাত্রে পানি রাখা আছে। যাতে যাত্রীরা পিপাসায় কাতর না হয়। রয়েছে বাতাসের প্রবাহ যাতে প্রচন্ড তাপে তারা ক্লান্ত না হয়। আছে বিশ্রাম। বিনোদন ছায়া আছে খাদ্য বস্ত্রের প্রয়োজনের চেয়ে বেশী উপকরন। এই বাহনের চারপাশে এমন কঠিন বেষ্টনী দেয়া যাতে যাত্রাপথের কোন ঝড় ঝঞ্চা যাত্রীদের গায়ে লাগতে না পারে। এই রূপে পৃথিবী ৮ শত কোট মানুষের জন্য রেখেছে ৩২ কেটি মানুষের খাবার। ফলের বাগানে প্রতি মিনিটে বের হয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ টন ফল, ফসলের মাঠে প্রতি সেকেন্ডে ৭ ধান,গম, শষ্য উৎপন্ন হচ্ছে। প্রতিদিন সমপরিমাণ বা তার বেশি খাবার সরবরাহ করছে। সাগর মহাসগার রূপী বড় বড় জলাধারে পানি জমা করে রেখেছে। পৃথিবীর আবর্তনে এই জলরাশি যাতে পড়ে যেতে না পারে শক্তিশালী মধ্যাকর্ষন দিয়ে বিস্তীর্ণ জলারশি ধরে রেখেছে। এ আকর্ষন ধরে রাখছে বায়ুমন্ডলকে। যে অক্সিজেন ছাড়া প্রাণী জগত একঘন্টাও টিকে থাকতে পারেনা। পৃথিবীর এ আকর্ষন উপেক্ষা করে বায়ুমন্ডল মহাশূন্যে হারিয়ে যেতে পারে না। শুষ্ক ভূমিতে পানি ছিটানোর জন্য সূর্যের আলো দিয়ে তিল তিল করে পানির বিন্দু তুলে নিয়ে মেঘ তৈরী করছে। বাতাসের প্রবাহ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিরূপ পানি দিয়ে জমিনকে উর্বর করছে। উপযোগী করছে ফসল উৎপাদনের জন্য। পিপাসা নিবারনের জন্য, উত্তপ্ত মাটিকে শান্ত করার জন্য। মহাশূন্যের হাজারো উল্কাপিন্ড, ধুলিঝড় অথবা অগ্নিবৃষ্টি অথবা অন্য কোন আঘাত থেকে পৃথিবী তার বাসিন্দাদেরকে রক্ষার জন্য তার চারদিকে রেখেছে অনকে দূর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সাত স্তরের চুম্বক ক্ষেত্রের বেষ্টনী। এমনি হাজারো উপায়ে হাজারো পদ্ধতিতে পৃথিবীর তার বাসিন্দাদেরকে মায়ের মত আগলে রেখেছে। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান সাদা কালো ধনী দরিদ্র কাউকে সে কোন প্রার্থক্য করেনা। সবার জন্য সমান উদারতা এই উদার পৃথিবীল। পৃথিবী অবস্থান করছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে যৌক্তিক অবস্থানে। মহাশূন্যের এমন নিখুঁত অবস্থানে যা তার বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পৃথিবী অবস্থান করছে সূর্য থেকে ৯ কোটি কিলোমিটার দূরে। যদি সে অবস্থান করতো ১৮ কোটি কিলোমিটাার দুরে ৮ অত্যধিক শীতে সভ্যতা জমে যেত। যদি ৯ কোটি কিলোমিটারের চেয়ে কম দূরত্ব্ েঅবস্থান করতো, যত কম দূরত্ব তত বেশী তাপ- এভাবে প্রচন্ড গরমে কোন প্রাণীই টিকে থাকতে পারতনা। অথবা যদিও থাকত অসহনীয় গরম সহ্য করতে হত। আলো তাপ ছায়া, সুষম বন্টনের জন্য পৃথিবী ২৪ ঘন্টায় একবার আবর্তন করছে। যদি পৃথিবী এক দিনের জন্য এ আবর্তন বন্ধ করে দেয় পৃথিবীর একদিক হবে জমাট হীম বরফ। অপর দিক হবে উত্তপ্ত দাবদাহ। কোনদিকেই মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারবেনা। আর অন্য কোন গ্রহে বা উপগ্রহে মানুষের জন্য কোন উপযোগী এক ইঞ্চি জায়গা নেই। এমনকি পৃথিবীর সহোদর খ্যাত মঙ্গলেও থাকার একটুকু জায়গা মানুষ পাবেনা। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চন্দ্রে থাকার জায়গা নেই। যেখানে মানুষ পাড়ি দিয়েছে অনেক স্বপ্ন নিয়ে। অক্সিজেন হীন, পানি হীন, বাতাস হীন, মাটিহীন, মরুভূীম আর বালির সেই জগত চন্দ্রের বুক থেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসছে মানুষ। মানুষের সুবিধা ও শান্তির জন্য পৃথিবীর এই যে হাজারো ব্যবস্থাপনা - যদি পৃথিবী তার একটিও বন্ধ করে দেয় তবে মানুষের কি অবস্থা হবে কলপনা করলে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে। যদি আমরা কল্পনা করি যদি পৃথীর এক ঘন্টার জন্য অক্সিজেন বন্ধ করে দেয়। অথবা এই বছর মেঘ সৃষ্টি করা বন্ধ রাখে অথবা আবর্তন বন্ধ রাখে ১ বছর অথবা যদি মধ্যাকর্ষন ছিহ্ন করে বা অর্ধেক করে দেয়। এভাবে পৃথিবী তার একটি বা কয়েকটি ব্যবস্থাপনা বন্ধ করলে ঘটবে অনেক অভাবনীয় ঘটনা, মানুষ ও প্রাণীজগত অনেক বিপদে পড়বে। পৃথিবীর বাসিন্দাদের স্বার্থে সব সিস্টেমকে সেট করা হয়েছে। পৃথিবী তার উপগ্রহ চন্দ্রকে রেখেছে এমন ভাবে যাতে চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিবিম্বিত করে ৯ রাতের জোসনা সৃষ্টি করে যাতে বাগানের ফলগুলো মিস্টি হতে পারে। বাতাসকে প্রবাহিত করে বৃষ্টি বন্টন করে। ফলে উর্বর হয়ে স্থানে স্থানে বনানীর সৃষ্টি হয়। যদি বৃষ্টি না হয় পৃথিবীর হত শুধুই মরুভূমি। সূর্যের আলোয় আর বৃষ্টির পানি হতে উৎপন্ন ফসলে কারো মনোপলি নেই। কারো একছচত্র মালিকান নাই। সবার সম অধিকার সবার মালিকানা। কেউ বঞ্চিত হবে না। কাউকে বঞ্চিত রাখা যাবেনা। এটা বিধির বিধান। এটা বিশ্ব প্রকৃতি বিধান। এ নিয়ম অমান্য করা হলে সভ্যতা ধ্বংস হয়। সভ্যতা আর সভতা থাকেনা। স্রষ্টা অসন্তুষ্ট হয়। মানুষের দুঃখ কষ্ট, বঞ্চনা শুধুমাত্র স্বার্থপর মানুষ শ্রেণীর জন্য যারা অধিকাংশ মানুষের সম্পদ, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, উপকরণ দখল করে আছে, যারা নিজেদের সামান্য বিলাসিতার জন্য অঢেল সম্পদ নষ্ট করছে, যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য জাতিতে জাতিতে যুদ্ধের বীজ বপন করছে। যারা খাদ্যের মওজুদ করছে, আর তার দাম বৃদ্ধি করছে। এমনকি তারা অপরিমেয় খাদ্য ভান্ডার ধ্বংস করে দিচ্ছে যাতে খাদ্যের অভাব দেখা দেয় আর মানুষ ক্ষুধায় সামান্য বিনিময়ে তাদের দাসানুদাস গোলাম হয়ে থাকে। তাদের সংখ্যা হয়তো সর্বোচ্চ ২-৫%, তাদের কারনে কষ্টে আছে ৪৫% মানুষ। আর চরম কষ্টে আছে বাকী ৫০%। প্রযুক্তির এ যুগে আমরা খুব সহজে দুটি স্থানের দৃশ্য পাশাপশি দেখতে পারি। একটি দৃশ্যে দেখা যায় একটি শরণার্থী কেন্দ্রে সামান্য খাবার পানীয়র জন্যে উদ্বাস্ত মানুষের আহাজারী, মানবজাতির অসহায়ত্ব আর যন্ত্রাণার কঠিন দৃশ্য। ঠিক একই সময়ে পৃথিবীর আরো ইকটি স্থানের দৃশ্য পাশাপশি- আরেকটা পর্দায় দেখা যায় যেখানে যারা ফ্যাশন শো, ক্রীড়া, আসরের কিংবা অহেতুক সম্পদ নষ্টের প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। এই বিলাশী মানুষগুলোর জানে অপর প্রান্তে কি হচ্ছে। তবুও তাদের মধ্যে বিন্দু মাত্র সহযোগীতার চিন্তা আসেনা। ১০ এ দুটি দৃশ্য দেখার পর একজন বিবেকবান মানুষ কি তাদেরকে, বিলাসী প্রাণীগুলোকে মানুষ বলতে চাইবে? সে কি বলবে ওরা সভ্য ? ওরা কোন সভ্যতার নাগরিক? এদের জন্য কোন সত্যিকার মানুষ পার্থনা করবেনা। যুগ যুগ ধরে তাই প্রতিটি বঞ্চিত, ক্ষুধিত, তৃষিত আত্মা এদেরকে অভিশাপ দিয়ে এসেছে। তাদের অভিশাপ পৃথিবীর গহীন জমাট কালো অন্ধকার হয়ে জমে আছে। স্রষ্টটার কাছে জমা আছে তাদের ফরিয়াদ, তাদের পরিণাম হবে অনেক কষ্টের যদিও তাদের বিলাসীতায় মোড়ানো জীবন ধরন তাদেরকে অনুভব করেত দেয়না তাদের ভবিষ্যত পরিনাম কী। যখন কোথায় অন্যায় বৈষম্য, জুলুম এবং বিশৃংখলা দেখা দেয় যদি কর্তৃপক্ষ বা মালিক কাউকে তা নিরসন করার জন্য ক্ষমতা ও দায়িত্ব দেন তখন অন্যায় নিরসন হয়। যদি কর্তৃপক্ষ কাউকে ক্ষমতা অপর্ন না করে তখন অন্যায় বৈষম্য নিরসন হয়না। তখন এই বৈষম্য আর জুলুমের দায় কর্তৃপক্ষর উপর বর্তায়। কিন্তু যখন কর্তৃপক্ষ কাউকে বা কোন প্রতিনিধি দলকে ক্ষমতা ও দায়িত্ব অর্পন করেন তারপরও দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিনিধি দল বৈষম্য ও জুলুম নিরসনের উদ্যেগ না নেয় তখন এই জুলুমের দায়ভার দায়িপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা দলের উপর বর্তায়। স্রষ্টা তথা কর্তৃপক্ষের পক্ষে পৃথিবী বিশেষ ব্যক্তিদেরকে সম্পদের বন্টন ও বৈষম্য নিসনের জন্য ক্ষমতা দিয়েছে এং তাদেরকে সেভাবে গড়ে নিয়েছে। তারা হচ্ছে সমাজ নেতা ও রাষ্ট্রনায়কগণ। কিন্তু তারা সম্পদ ও ভূমি বন্টনের যথাযথ উদ্যেগ নেয়নি। উধিকন্তু তাদের অনেকে বৈষম্য, জুলুম নির্যানে সহযোগীতা করছে। তাই বলা যায় এর দায়ভার তাদের উপর। ১১ পৃথিবীর ক্ষুধা, দারিদ্রতা, যুদ্ধ, সহিংসতার জন্য স্রষ্টাকে দোষ দেয়া যায় না। কারণ সে পর্যাপ্ত খাদ্য পানীয় আলো বাতাস দিয়েছে। এজন্য দায়ী তারা যাদেরকে সম্পদ বন্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বৃহৎ পরিসরে দায়বদ্ধ। যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাদের উচিৎ পদত্যাগ করা। যদি তারা পদত্যাগ করে তারা দায় মুক্ত। তারা যখন সরে যাবে অন্যেরা যারা যোগ্র্য তার স্বয়ংক্রিয় ভাবে পৃথিবীর নিজস্ব নিয়মে দায়িত্ব ও ক্ষমতা লাভ করবে। যারা দায়িত্ব নিয়েছে এবং পেয়েছ তারা প্রায় সকলেই দায়িত্ব পালন করেনি। উপরন্তু ক্ষমতা ও শক্তির অপব্যবহার করছে। তাদের কারণে অন্যসব মানুষ ও প্রাণী কষ্ট ভোগ করছে। পরবর্তী জীবনে স্রষ্টার কাছে যারা অত্যাচারী তারা শাস্তিযোগ্য হবে। এবং যারা অত্যাচার ও কষ্ট ভোগ করেছে তারা এমন কোন প্রতিদান পাবে যাতে তাদের কষ্ট শোক, বঞ্চনা পুষিয়ে নিতে পারে। এটা বিশ্বপ্রকৃতির একটি যৌক্তিক নিয়ম। যতœ নেওয়া এই পরিভাষা অনেক কাজকে অন্তর্ভূক্ত করে। মানব জাতির যতœ নেওয়ার কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশীদার ব্যক্তিগন দেশ, সমাজ, মাটি ও মানুষের জন্য অবদান রাখছে তারা একটি ইউনিটির অন্তর্গত। তাদেরকে সমর্থন ও সহযোগীতাও এই কার্যক্রমের একটি অংশ। তারা কেউ বিনামূল্যে দরিদ্র জনগোষ্টির চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে, কেউ বিপন্ন নারীদেরকে আইনী সহায়তা দিচ্ছে। কেউ বৃক্ষরোপন অভিযান অথবা শীত বস্ত্র বিতরনে অংশ নিচ্ছে। তারা সবাই একই ইউনিটিতে আছে। প্রয়োজন তাদের সকলের কাজ সমন্বিত ভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় হওয়া। এবং বর্মবন্টন করা। লক্ষমাত্রা নির্ধারন করে ১২ তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরন করার উদ্যেগ গহণ করা। শুধুমাত্র বিশ্ব দরিদ্র দিবস পালন বা দরিদ্র বর্ষ ঘোষণা অথবা ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রতাকে জাদুঘরে পাঠানোর ঘোষনার মধ্যে চমৎকারিত্ব ছাড়া আর কোন অর্থ নাই। যদি সত্যিকারে পৃথিবীর মত উদারতা না থাকে ব্যবসায়িক ও প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এই মহতী কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আবারো ঐ ভ্রমণ কারী দলের দৃষ্টান্ত- যদি তাদের কোন সদস্য ৪০ টি ফলের মাঝে একজন একাই ৩০ টি ফল খাওয়ার নামে নষ্ট করে আর ৯ জনের জন্য থাকে ১০ টি ফল। এখন এই ৯ জনের মাঝে যে ৪ জন অপেক্ষাকৃত শক্তিমান তারা সিদ্ধান্ত নিল যেহেতু ঐ ১ জন ৩০ টি একাই নিয়েছে আমরা ৪ জন যদি ১০ টি গ্রাস করি তাহলে আমাদের তার তুলনায় তেমন কোন দোষ হয় না। তাই তারা ৪ জনে বাকী ১০ টি গ্রাস করে। এতে একেবারে বঞ্চিত হয় বাকী ৫ জন। যারা তুলনামূলক দূর্বল এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নাই। কিন্তু যদি ঐ ৪ জন বলতো ও একাই ৩০ টি খেয়েছ তাতে কি ১০ টি ফলতো আছে, আমরা ৯ জনে সবাই ভাগ করে খাব। এতে সবাই একটি করে ফল পাবে। এটা সবার জন্য যথেষ্ট হবে। উপরের দৃষ্টান্তের অর্থ হচ্ছে পুরো পৃথিবীর মানুষ এই তিন ভাগে বিভক্ত। ১% মানুষ খুব শক্তিমান, ধনকুবের। তারা দখল করে আছে প্রায় ৮০% সম্পদ, আর বাকী ৯৯% মানুষের জন্য আছে মাত্র ২০% সম্পদ। এখন ঐ ৯৯% মানুষ যদি সিদ্ধান্ত নেয় শক্তিমান ধনকুবের অধিকাংশ সম্পদ দখল করে নিয়েছ তারা এমন বিলাসিতায় মত্ত যে মানুষের কান্না তাদের কানে পৌঁছে না। ১৩ তাহোক, তারা ঐ সব সম্পদ ভোগ করুক, আমাদের ঐ সম্পদ দরকার নেই। আমরা ৯৯% মানুষ বাকী ২০% সম্পদ সবাই ভাগ করে নেব। কাউকে বঞ্চিত করবোনা। তবে এই সিদ্ধান্তই পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিতে পারে। এই ২০% সম্পদ ৯৯% মানুষের জন্য যথেষ্ট। সবার সকল প্রয়োজনীয় চাহিদা ভালভাবে পূরন করতে পারে। কিন্তু অবস্থ তা নয়। অবস্থা হচ্ছে ঐ ভ্রমণকারী দলের ৪ জন সদস্যের মত। অর্থাৎ বাকী যে ৯৯% মানুষ তাদের মধ্যে ৩০% ধনী। বাকীরা দরিদ্র ও বিপন্ন, এই ৩০% ধনীরা ঐ ১ % ধনকুরেরদেরকে দৃষ্টান্ত অনুসরন করে ৯৯% প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে। ফলে ৫০% মানুষের জন্য পড়ে আছে উচ্ছিষ্ট। তারা যাপন করছে কষ্টের জীবন। উপরের দৃষ্টান্ত অনুসারে একটি দরিদ্র রাষ্ট্র ধনী রাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য না নিয়েও নিজেদের যা আছে তা দিয়ে নিজেদের সবাইকে পুনর্বাসিত করে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। যদি তাদের তরুন, সক্ষম ও নেতৃস্থানীয় গণ প্রতিজ্ঞা করে- আমাদের সামান্য আছে। এই সামান্যটাই আমরা সবাই ভাগ করে নেব। কাউকে বঞ্চিত করবোনা। ধনী রাষ্ট্রগুলোর ধনীক শ্রেণীর বিপুল সম্পদ। তার দিকে চেয়ে আমরা কেন লোভী হব। আমরাও কেন আমাদেরকে ভাই বোনদের সম্পদ গ্রাস করবো। তাদের অনেক আছে তারা নষ্ট করুক। অপচয় করুক অথবা বিলাসিয়তা করুক। আমরা তাদের মত পশু হব না। আমরা নৈতিক ভাবে তাদেরকে ছাড়িয়ে যাব। তারা ভোগ করছে আমরা ত্যাগ করবো। তারা নষ্ট করছে। আমরা মানবতার তরে সম্পদ কাজে লাগাবো। হোক আমাদের সম্পদ কম। এই কম টাই বিপন্ন মানুষের প্রাণ রক্ষা করবে। পৃথিবীর আশীর্বাদ নিয়ে আসবে। যে অনেকের সম্পদ একা ভোগ করবে শারিরিক অবস্থানে ১৪ সে পশুর পর্যায়ে, মানসিক ভাবেও তার মনে পাশবিকতা। তার অজীর্ন অরুচী আসবে জীবনের উপর। ভোগে সে কখনোই তৃপ্ত হবে না। তার একের কারণে অন্য অনেকে সমস্যায় ভূগবে। তার নিজের ও অন্যদের সমস্যার জন্য সে দায়ী। সবাই কে বঞ্চিত করে অনেকের সম্পদ একজনে নিয়ে হয়তো সে সবচেয়ে দামী প্রসাদের মালিক হতে পারে। যাতে বিশ্বের সেরা সুন্দরীরা থাকবে সেবাদাসী হতে থাকবে। হয়তো এভাবে সে তার ক্ষুদ্র লক্ষ্য পুরন করতে পারে। কিন্তু সে থাকবে মানসিক শান্তিহীন অস্থির চিত্ত। সবসময় হারানোর আশংকায়। যার যত বেশিী সম্পদ তার ততবেশি হারানোর আশংকা। যে কোন সময় তাকে এই সম্পদ ত্যাগ করে চলে যেতে হবে পারে। এসব সে চিরকাল ভোগ করতে পারবেনা। অথচ সে মানবিক আত্মার অধিকারী হলে অনন্ত জগতে এমন প্রতিদান পাবে যা সে কখনো হারানোর আশংকা করতে হবে না। একই সময়ে বিশ্বের সেরা ধনী একজনই হতে পারে। সবাই হতে পারে না। কয়েকজন একসাথে, সেরা ধনী হতে পারে না। যদি সবাই এ প্রতিযোগীতা করে (প্রায় সবাই এ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত কিন্তু বিল গেটস ছাড়া আর সবাই ব্যর্থ) তবে একজন ছাড়া আর সবাই ব্যর্থ। কিন্তু মানবিকতা ও উদারতা দিয়ে একটি সভ্য সমাজ ও জগত গড়া সম্ভব যেখানে প্রত্যেকে সত্যিকারের মানুষ। একজন রাষ্ট্রপ্রধান অথবা তার সহকারীগণ চাইলে তার শাসনাধীন রাষ্ট্রে ১৫ এমন কোন কর্মসূচী শুরু করতে পারে। আবার সাধারন জনগন চাইলে তারা অবশ্যই এরকম কর্মসূচী নিবে। এমনকি জাতিসংঘও কোন উদ্যেগ নিতে পারে। যাকে একটি সামগ্রিক উদ্যেগ বলা যাবে। খন্ড অথবা বিচ্ছিন্ন কোন কর্মসূচী নয়। আমি মনে করি খুব দ্রুত জাতি সংঘের কর্মসূচীতে এরকম উদ্যোগ সংযুক্ত করা প্রয়োজন। জাতিসংঘ চাইলে ঐ সম্পদ খাদ্য নিরাপত্ত ও পুনর্বাসন কাজে নিয়ে আসতে পারে যা যুদ্ধে নষ্ট করা হচ্ছে। নিজের ভাইকে ক্ষুধার্ত রেখে কেউ চন্দ্র মঙ্গলে অভিযান করতে পারে। কিন্তু এ অভিযান আবিস্কার তাকে তৃপ্ত করবেনা কখনোই। সে জানবে আরো গ্রহ নক্ষত্র আছে, সেখানেও যেতে হবে। সে হয়তো সমগ্র মিল্ক ওয়ে গ্যালাক্সি জয় করে প্রক্সিসা সেন্টরাই অভিযানে বের হতে পারে। কিন্তু নিজেকে সে কখনো একজন প্রকৃত মানুষ ভাবতে পারেবেনা। তার এ অভিযান কখনো শেষ হবে না। এই সৌর জগতের মত কোটি কোটি সূর্যের জগত রয়েছে। কোটি জগতে পরিভ্রমণ করার জন্য সে কোটি বর্ষ সময় পাবে না। এজন্য যে অসীম সময় প্রয়োজন তা সে পেতে পারে অন্য জগতে যেখানে ভাল মন্দের প্রতিদান দেওয়া হবে। সত্যিকার মানুষ প্রকৃত বিশুদ্ধ আত্মার জন্য এমন প্রতিদান আছে যাতে সে তার সকল স্বপ্ন পূরন করতে পারে। গহীন বনে অথবা মরুভূমিতে একটি ভ্রমণকারী দলের সামনে যখন খাবার পানীয় শেষ হয়ে যায় তখন যে খাবার পানি নিয়ে আসে অথবা ছায় নিয়ে আসে তাকে বলা যায় দেবদূত। পৃতিবীরও আছে অনেক দেবদূত। যারা বৃষ্টি হয়ে মাটিকে সিক্ত করে। অক্সিজেন হয়ে জীবনকে বাঁচিয়ে রাখে। গাছ হয়ে ছায়া দেয়। সূর্য হয়ে আলো দেয়। তাপ হয়ে শহর জনপদকে উষ্ণ করে, চাঁদ হয়ে ফলকে মিষ্টি করে, খোলা আকাশ হয়ে মনকে উদার করে। বিস্তৃর্ণ সাগর হয়ে মনকে প্রশস্ত করে। যদি এই বৃষ্টি রূপ অক্সিজেনরূপ অথবা সূর্যরূপ দূতেরা না আসত তখন পৃথিবী হত মরূভূমি। খাদ্যশুন্য জীবন শূন্য, কোন মানব বসতি নাই। শহর, নগর গ্রাম নাই, সভ্যতা নাই। তাই ১৬ মানব জাতির প্রত্যেক সদস্যদের উচিৎ ঐ স্রষ্টাকে স্মরণ করা এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা যিনি সৃষ্টি করে এই সব প্রকৃতির সন্তানদেরকে। এই সম্পদ এই প্রকৃতি একা গ্রাস করা যাবে না। বিপন্নদের মাঝে বিতরন করে দিতে হবে এমনভাবে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে এবং তাদের সর্বশেষ সদস্যটিও পুনর্বাসিত হয়। প্রকৃতির এসকল সম্পদ স্রষ্টার আশীর্বাদ আমানত। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ভোগ করতে হবে। নষ্ট করা যাবে না। অপচয় করা যাবে না। অন্যকে বঞ্চিত করা যাবে না। ধ্বংস করা যাবেনা। সম্পদ এমনভাবে বন্টন করতে হবে যাতে প্রত্যেকে তার পরিমাণ মত পেতে পারে। একটি ক্ষুধার্ত জনগোষ্টির বসতিতে প্লেন থেকে খাবারের প্যাকেট ফেলা হয়, আর সেই বস্তিতে যারা শক্তিশালী ও সন্ত্রাসী তারা সব লুটে নিল। যারা অভুক্ত তারা অভুক্তই থেকে গেল এই বিতরন দান লোক দেখানো এবং অর্থহীন। গ্রাম বা শহরের একটি অংশে এনজিও দের ফান্ডরাইজিং এবং তার অর্থহীন কার্যক্রম এই দৃষ্টান্তের মত। কারন এসব এমন খন্ড উদ্যেগ এখানে শতকরা একজন বিপন্ন মানুষ ঐ ফান্ড বা দান পাচ্ছে। যারা আসলে বিপন্ন বেশী। সহজ কথায় তারা সত্যিকারের বিপন্ন নয়। তারা বিপন্নের বেশ ধারী। বিপন্ন মানুষ কখনো অনুষ্ঠানে এসে অর্থ গ্রহণ করে ঔষধ / খাবার কিনতে পারবেনা, যে সতিকারের বিপন্ন তার কাছে যেতে হবে। ঔষধ আর খাবার নিয়ে, সে পড়ে আছে পথের এক প্রান্তে, বস্তির কোণে। উঠে আসার ক্ষমতা তার নাই। তাই এনজিওদের উচিত তারা সবাই মিলে সমগ্র জনগোষ্টির মাঝে সকল প্রতিবন্ধী ও অক্ষম জনগোষ্ঠির তালিকা করবে এবং এদের জন্য বাজেট তৈরী করে স্তরে স্তরে তা প্রয়োগ করবে। এভাব দারিদ্রতা কমে আসবে অন্ধ, পঙ্গু, বিপন্ন মানুষ পুনর্বাসিত হবে। তাদের অধিকাংশই উৎপাদনশীল কাজে যুক্ত হওয়ার মত সক্ষম হয়ে উঠবে। হিসাব করতে হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যেকের জন্য কতটুকু প্রয়োজন, সমগ্র বিপন্ন জনগোষ্ঠির কতটুকু প্রয়োজন। তার পুরো অংশই সংগ্রহ করতে হবে। সক্ষম লোক দের কাছ থেকে। এবং সরকারের কাছ থেকে। যারা সংগ্রহ করবে তারা প্রায়ই নিজেদেরকে ঠিক রাখতে পারে না। এজন্য বিকল্প হতে পারে পারিবারিক ১৭ উদ্যোগ- যার মূল শর্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোগ গুলোকে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ। কেউ চলার পথে ভিক্ষা দিচ্ছে, মসজিদে, মন্দিরে মাদ্রাসায় এতিমখানায় বিভিন্ন উপলক্ষে খাওয়াচ্ছে। কেউ শীতবস্ত্র বিতরন করছে। এই সব খন্ড উদ্যোগকে একত্রিত করে সামগ্রিক ও পারিবারিক সিস্টেমের উদ্যোগ। সমাজে এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যা সমাধান করা দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। যেমন লোড শেডিং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বা রাস্তায় জ্যাম, শিক্ষাব্যবস্থার সংশোধন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দূনীর্তি ইত্যদি। এগুলো নিয়ে পত্র পত্রিকায় অনেকে লিখছে। কারণ যারা সাফার করছে তারা তা বলতে পারছে। একজন কর্মকর্তা অফিসে যাওয়ার পথে জ্যামে পড়লো আর গাড়ীতে বসেই জ্যাম সমস্যা নিয়ে পত্রিকায় একটি লেখা পাঠিয়ে দিল। এই দ্বিতীয় পর্যায়ের সমস্যাগুলো মানুষকে অনেকটা কষ্ট দিচ্ছে কিন্তু জীবন বিপন্ন করে তুলছে না। আর প্রথম পর্যায়ের বিষয় হচ্চে অন্নহীনকে অন্ন দেওয়া, আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দেওয়া, চিকিৎসা সেবা দেওয়া। ৩য় পর্যায়ের বিষয়- উচ্চশিক্ষা, প্রয়োজনীয় গবেষণা, ৪র্থ পর্যায়ের বিষয় ক্রীড়া, বিনোদন, ইত্যাদি, ২য়, ৩য়, ৪র্থ পর্যায়ের সমস্যা গুলো আলোচিত, ১ম পর্যায়ের সমস্যাগুলো একেবারে আলোচানায় আসেনা। কারণ যারা বিপন্ন তারা চিৎকার দিয়ে বলতে পারে সাহায্য কর। যারা চরম বিপন্ন, কথা বলার শক্তিটুকু নেই। তারা বলতে পারে না। তাই তাদের দিকে কেউ মনোযোগ দেয় না। তাদের সমস্যাগুলো আলোচনায় আসেনা। মরুভূমিতে এক ফোঁটা বৃষ্টি অর্থহীন। অথচ এই একফোঁটা বৃষ্টি যখন অন্য অসংখ্য ফোটার সাথে ঝরে এই অঝর বৃষ্টি ধারা সভ্যতার সূচনা করে। এই অসংখ্যা বৃষ্টির ফোটা প্রকৃত পক্ষে অনেক একটি অনেক ফোঁটার সমষ্টি। এই মহা সভ্যতার পিছনে প্রত্যেক এক ফোটা বৃষ্টির অবদান থাকে। যেহেতু একটি ফোটা প্রত্যোকটিট ফোটা যৌথভাবে সমন্বিত ভাবে বর্ষিত। বিপন্ন মানুষকে সহযোগীতার যে বিশাল কার্যক্রম এখানে একজন মানুষের চেষ্টার ফলাফল প্রায় শূন্য। অথচ যদি একটি জাতির প্রত্যেক সদস্য এই কাজে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ১৮ অবদান রাখে তার ফলাফল হবে একটি বিপন্ন জন গোষ্টির অবস্থা সম্পূর্ণই পাল্টে যাবে। তাই একক উদ্যোগ গুলোকে একসাথ করে নিতে হবে সমন্বিত উদ্যোগ। নগরির এক প্রান্তে পানির জন্য হাহাকার, দীর্ঘ সারি, অন্য দিকে সাগরের অথৈই জলরাশির মাঝে একজন লোক ডুবে মরছে, যে অনেকের সম্পদ গ্রাস করে, বিপুল ধন ভান্ডারে ডুবে মরে, মানুষের কষ্টের দীর্ঘশ্বাস গুলো জমাট বাধে তার ঘাড়ের উপর, যা পরজনমে তার জন মর্মান্তিক পরিণতি হবে। যারা ধনী তাদের আরো ধন চাই। কারণ বাড়তি নিরাপত্তার জন্য রক্ষীর প্রয়োজন। রক্ষীদের থেকে বাচার জন্য আরো রক্ষী আরো উপাদান প্রয়োজন। আরো সম্পদ চাই। আরো ধন চাই। আরো চাই। কোন পরিমাণই তাদেরকে তুষ্ট করতে পারেনা। এ চাওয়াতেই অতৃপ্ত তাদের জীবন শেষ হয়। তারা যাদেরকে বঞ্চিত করলো তাদেরকেও মারল, নিজেও মরল। অবৈধ ধনকুবের আন্ডার ওর্য়ার্ল্ডের মাফিয়া, পাহাড় সম দূর্নীতিতে গড়া ধনভান্ডার জমা করে তারা একে অন্যকে প্রতিনিয়ত আক্রমন করছে। একদিকে সামান্য সম্পদের জন্য বিপুল মানুষের হাহাকার। অপর দিকে বিপুল সম্পদের জন্য গুটি কয়েক মানুষের অকারণ লড়াই। নগরির এক প্রান্তে পানির অভাব অপর প্রান্তে সমুদ্রের পানিতে ডুবে মরছে কেউ। সীমাহীন পানি জমা রেছেছে পৃথবী- ১০ টি পৃথিবীর মানুষ মিলেও শেষ করতে পারবেনা। তাহলে অভাব কেন। অভাব পানির নয়। পানি বন্টন ব্যবস্থার। অভাব সম্পদের নয়। সম্পদ বন্টনের। অভাব বিতরন ব্যবস্থার। বিপুল পরিমাণ খাবার উৎপাদন হচ্ছে। কোটি কোট টন ফল ফলাদি রবিশষ্য প্রতিদিন গাছ থেকে বের হয়ে আসচে। ফসেলর মাঠে মাটির নীচে , খনিতে, সাগরে সর্বত্রই খাবারের মওজুদ বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা এমন সব বস্তু থেকে সুস্বাদু খাবার তৈরী করছে। যেসব বস্তু আগে খাওয়ার কথা কেউ কলপনা করেনি। এভাব বিপুল সম্পদ বিপুল খাবার। কিন্তু অভা সৃষ্টি হচ্ছে কারন যুদ্ধে নষ্ট করা হচ্ছে, মজুদদাররা স্টক করে রাখছে। ১৯ বিলাসীরা খাবার নষ্ট করছে, গুদামে নষ্ট হচ্ছে। তারপর যা আছে ক্ষুধার্ত মানুষ তা খেতে পারেনা। কারণ তাদের কাছে অর্থ নেই, তাদের হাতের নাগালে চোখের সামনে খাবার, তাদের পেটে ক্ষুধা, তারা ডাস্টবিনের আবর্জনা খাচ্ছে, কিন্তু তবুও তাদেরকে খাবার দেওয়া হবে না। কারন তাদের নেই। তারা বিপন্ন। এভাবে অনধিকার চর্চার ফলে এই অসহায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠি চরমভাবে বঞ্চিত।। মানুষ চায় পৃথিবী ছেড়ে আরো অন্য কোথাও বাসযোগ্য ভূমির সন্ধান। তারা হাজারো গ্রহ অনুসন্ধান করছে। পর্যবেক্ষন কারী কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে আবার পৃথিবীর কোলে ফিরে এসেছে। হয়তো এমন অস্থায় মানুষকে রেখেছ পৃথিবী অথবা মানুষকে সে এমন শক্তি দেয়নি যার ফলে এই কোল থেকে অন্যত্র আবাস গড়তে না পারে। পৃথিবী চায়না তার সন্তানেরা দূরে কোথাও হারিয়ে যাক সে চায় তারা সবাই এখোনে থাকুক মিলে মিশে একটি পরিবার হয়ে, অন্য বাসযোগ্য গ্রণ থাকলে মানুষ সে গুলোতে বিভক্ত হয়ে যেত। এখানেই যেন তারা থাকতে পারে সে জন্য মানুষ ও ইকোসিস্টেমের অন্য সব প্রাণীর যা যা প্রয়োজন সব কিছুরই ব্যবস্থা রেখেছে। কোন কিছুই বাদ দেয়নি। একটি শিশু মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে পৃথিবীর কালে আসে। মায়ের ছায়াতলে সে বড় হতে থাকে। যখন সে বড় হয় নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, তখন বৃদ্ধ মায়ের সাধ্য থাকে না সন্তানকে কাছে রাখার। মায়ের বাধণ ছিন্ন করে মায়ের ছায়া ছেড়ে সে দুর দেশে চলে যায়। কিন্তু মানুষ পৃথিবীর এই সন্তানেরা পৃথিবীর বাধন ছিন্ন করে। পৃথিবীর ছায়া ছেড়ে দূলে চলে যেতে পারে না। মায়ের বাধনের চেয়েও পৃথিবীর বাধন কঠিন। পৃথিবীর এ বাধন অপ্রতিরোধ্য। জন্ম থেকে মৃত্যু, মৃত্যুর পরে, অনন্ত কাল এ পৃথিবীর আশ্রয়ে থাকতে হয় মানুষকে, এত শক্ত বাধন পৃথিবীর তাই বহু যুগ ধরে চেষ্টা করেও কেউ পৃথিবীর বাধন ছিন্ন করে বেরিয়ে যেতে পারেনি। অন্য কোথায় আশ্রয় নিতেও পারে নি। মা যতই স্নেহ করুক, সন্তানেরা গ্রহ গ্রহান্তরে ছড়িয়ে পড়তে চায়। ২০ নাসা রাসা ওরা রাত দিন এ জন্যে চেষ্টা করছে। সন্তান বড় হলে মায়ের আশ্রয় ছেড়ে কোন তম্বী যুবতীর সানিধ্য পেতে চায়। মানব শিশু জন্মের পর থেকে সুন্দর পূর্ণ চন্দ্রের দিকে হাত বাড়িয়েছে। যৌবনে চাঁদের জোসনায় মুগ্ধ হয়ে সে চাঁদে পাড়ি জমিয়েছে। ভেবেছে এ মোহনীয় চাঁদই হবে তার স্বপ্নময় নতুন আবাস। কিন্তু সেখানে সে একদিনও থাকতে পারেনি। নির্ঝঞ্চাটে। অনেক কষ্টে ভারসাম্য রেখে হাটতে হয়েছে তাকে। যেভাবে বিবাহিত পুরুষেরা শান্তির নামে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে সুন্দরী স্ত্রীর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে সারাক্ষণই কসরত করতে থাকে। তাই সে ফিরে এসেছে মায়ের মত পৃথিবীর বুকে। যৌবনা চন্দ্রের কাছে মানুষেরা শান্তি না পেয়ে ফিরে আসে বৃদ্ধ পৃথিবীরূপ মায়ের কাছে। পৃথিবীর বুকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস তা মানুষের কারণে। মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে তাই প্রাকৃতিক দূর্যোগ, জলবায়ুর উঞ্চতা বৃদ্ধি। মানুষ গাছ রোপন করা লাগেনি। মানুষ আসার আগে পৃথিবী বন বনানী দিয়ে পৃষ্ঠকে ঢেকে দিয়েছে। এটা পৃথিবীর পোষাক। মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। অক্সিজেন দায়িনী বনাঞ্চল কেটে বসতি স্থাপন করেছে। তারা অতিরিক্ত করছে। সমপরিমাণ গাছ পালা তারা রোপন করেনি তারা পারমাণবিক বোমা দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করেছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তারা দায়ী সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগের জন্য। হয়তো মানবজাতি এখনো জানতে পারেনি অথবা জানার চেষ্টা করেনি পৃথিবী তাদের আচরন গুলোকে কিভাবে গ্রহণ করে। সে একজন মানুষকে শাস্তি দেয় না। তার সিস্টেম এমনভাবে করা হয়েছে। তার রিএকশান সমস্ত গোষ্ঠি এবং অঞ্চলকে প্রভাবিত করে। অথবা ধ্বংস করে। কখনো ভূমি ধ্বসে ভূমি তলিয়ে যায়। এখনো ভূমি কম্পে আকাশচুম্বী অট্টালিকা প্রসাদ ভেঙে যায়, এভাবে সে শোষককে বিনাশ করে, শোষিত কে মুক্তি দেয়। ২১ একজন ব্যক্তি ও তার অফিসের সাথে তুলনা করলে মনে হবে অফিসটাই মুখ্য, ব্যক্তি অফিসের অংশ মাত্র। অফিস স্থির থাকে, ব্যক্তি মুভ করে। অফিসকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিরা আবর্তিত হয়। এভাবে সুর্য পৃথিবীর অবস্থান থেকে স্থির। পৃথিবি আবর্তিত হয়, সুর্যকে ঘিরে, তাই সুর্যই মুখ্য ও প্রধান। পৃথিবি গৌন। এভাবেই স্বাাভাবিক ভাবা হয়। কিন্তু বাস্তবে পৃথিবিটাই প্রধান ও মুখ্য। সুর্য গৌন, সূর্যের সাথে আরো গ্রহণ নক্ষত্র সবই গৌন। পৃথিবির জন্য সুর্য। পৃথিবি তার বাসিন্দাদের জন্য সুর্যকে ওই স্থানে রেখেছে। তার আশে পাশে অগণিত গ্রহ নক্ষত্রকে রেখেছে মহাশূন্যে ভাসাম্যের জন্য। কারণ অফিসের জন্য মানুষ নয়। মানুষের জন্য অফিস। হাজারো অফিস একত্র করা হলে একটি প্রাণ ও তথা একটি মানুষের সমান মূল্য হবে না। এভাবে পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী মূল্যবান হাজারো ক্লীব সৌরজগত এর চেয়ে। একজন শিক্ষক যিনি বিনা বেতনে শিশুদেরকে এবং বালক বৃদ্ধ দেরেকে পড়ান। তিনি তার বন্ধুকে বলছে যদি কোন স্রষ্টা থাকতো তাহলে ঐ বালকটি খাবারের জন্য এত কষ্ট করতো না। তার বন্ধু বললো- শুধুমাত্র এ কারণে তুমি বলতে চাও যে স্রষ্টা নেই। শিক্ষক বলে ঠিক তাই। বন্ধু বলে- ঠিক আছে আমি একজন কে নিয়ে আসি যে পড়া লেখা কিছুই জানেনা। একারণে আমি বলবো যে এ গ্রামে কোন শিক্ষক নাই। তা কেন। শিক্ষকতো অবশ্যই আসে কিন্তু সে শিক্ষকের কাছে আসে নি। সে তার গুরুত্ব বুঝে না বা তার সে সুযোগ হয়নি। বন্ধু বললেন- তাহলে দেখ মানুষ স্রষ্টার কাছে বা তার সিস্টেমের কাছে আসে না, যদি তারা তার সিস্টেমের কাছে আসতে তবে তারা ক্ষুধা দারিদ্রতা অথবা যুদ্ধ থেকে মুক্তি পেত। মানুষ যে ক্ষুধায় মরছে তা আল্লাহ অথবা ভগবানের দোষ নয়। কারণ তিনি খবারের অভাব রাখেন নি। একজন ব্যক্তি তার সন্তানের বা শিশুর জন্য ঘরে পর্যাপ্ত খাবার রেখে গেল। তার আগে বুয়া বা আয়াকে বলে গেল - দায়িত্ব দিয়ে গেল ২২ তাকে খাওয়ানোর ও যতœ নেওয়ার জন্য। এ জন্যে। তাকে আনা হয়েছে কিন্তু সে বিনোদন, গেমসে, টিভি দেখায় ব্যস্ত, বাচ্চার দুধ সে গ্রাস করছে। অথাচ বাচ্চাটা খাবারের জন্য কাঁদছে বাচ্চার পাশে খাবার পড়ে আছে তা নেওয়ার শক্তি তার নেই। বা সে ওই অবস্থায় নেই। এখন বাহিরের একজন লোক এসে বলছে দেখ বাচ্চার বাবা কত নিষ্ঠুর। অর্থাৎ সব দোষ বাচ্চার বাবার। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দোষ হচ্ছে, সেই বুয়ার, যে দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু তা পালন করে না। যেহেতু স্রষ্টা পর্যাপ্ত খবার তা বন্টনের নির্দেশে দিয়েছে - যারা সমাজ ও রাষ্ট্র ও পৃথিবীর ক্ষমতা নিযেছে তাদেরকে- স্রষ্টা তাদেরকে শক্তি ও ক্ষমতা দিয়েছেন মানুষের কাছে খাদ্য ভান্ডার প্রয়োজন মত পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য। এবং সমাজের শান্তি বজায় রাখার জন্য। তারা এ দাযিত্ব পালন করেনি। মানুষের অধিকার নিজেরা আত্মসাৎ করেছে এজন্য পরবর্তী জগতে তারা শাস্তি ভোগ করবে। পৃথিবী তার সমস্ত রেকর্ড হয়তো অদৃশ্য থেকে রেখে যাচ্ছে। আপনার সামনে যদি আপনার পিতার সন্তান না খেয়ে থাকে তবে কি আপনি পিতার প্রকৃত সন্তান, সব মানুষের পিতা আদম বা এডেন, মাতা ইভ বা হাওয়া। প্রত্যেকে মানুষ প্রত্যেকের ভাই বোন, এরা যেই বিপন্ন হোক অন্য সব ভাই বোনকে এগিয়ে আসতে হবে। নয়তো তারা প্রত্যেকে দায়ী হবে তার সাধ্য অনুসারে। ধনীরা, ক্ষমতাবানরা ভাবতে পারে যে স্রষ্টাতো উৎপাদন করেনা আমরা উৎপাদন করি। আমরা যদি ইচ্চা তাই করি আমাদের সম্পদ আমরা কাউকে না দিলে কেন আমরা শাস্তি পাব, তিনি অক্সিজেন দিচ্ছেন- ঐ অক্সিজেনতো আমরা একা গ্রাস করিছি না। তিনি যেভাবে বিনা আয়েশে অক্সিজেন দিচ্চেন সেভাবে যদি চাল ডাল দিতে তাহলে আমরা তা ধরে রাখতাম না। তাদের বুঝা উচিৎ যে তারা কোন ক্ছি্ইু বানাতে পারে না। তৈরী করতে বা সৃষ্টি করতে পারে না। অথবা উৎপাদন করতে পারে না। তৈরি করতে বা সৃষ্টি করতে পারে না। তারা শুধু স্থানান্তর করতে পারে, আকৃতি পরির্তন করতে এবং প্রক্রিয়াজাত করে। সব কিছুই পৃথিবীর কাছ থেকে নেওয়া ২৩ সবকিছুইর স্বত্বধিকারী পৃথিবী আপনি কাউকে ১ বস্তা চাউল দিলেন, ১ বস্তা ডাউল দিলে, ১ প্যাকেট করে হলুদ, মরিচ দিলে, ১ ড্রাম পনি দিলেন, আরো প্রয়োজনীয় জিনিস দিলেন। সে সব মিশিয়ে খিচুড়ি তৈরী করলো। এর পর ঐসব জিনিসের আকৃতি আগের মত নেই। সে প্রক্রিয়াজাত করে খিচুড়ি বানিয়েছে আর বললো সব আমি এখাই খাবো এসব আমার কারণ আমি এটা তৈরী করেছি। সে আগত ভোজঅনুষ্ঠানের লোকদের কিছুই দিবেনা। এখন এটা স্বাভাবিক যে চাউল ডাউল ইত্যাদির মালিক যে সেই এই খিচুড়ির মালিক, যে খিচুড়ি পাকিয়েছে সে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পেতে পারে যা সবার চাইাতে হয়তো সামান্য বেশি। তাই কেউ বলতে পারেনা চুড়ান্ত ভাবে সে এই ঘরের মালিক, এই ল্যাপটপটা অথবা এই টিভিটা - পার্টসগুলো আলাদা করুন। সেখানে লোহা তামা দস্তা সিলিকন সবই পৃথিবীর, কোনটাই মানুষের তৈরী নয়। মানুষ শুধু আকৃতি পরিবর্তন করেছে। যে আকৃতি পরিবর্তন করে সে মালিক হযনা। সকল সম্পদ পৃথিবীর। পৃথিবীকে উপহার দেওয়া হয়েছে। যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবী তার অংশ কেটে এসব তৈরী করছে। ব্যাপার এরকম যে মা তার চামড়া দিয়ে সন্তানের পোষাক ও খাবার তৈরী করেছে। স্রষ্টা পৃথিবীকে দিয়েছেন, আর পৃথিবী দিয়েছে মানুষকে। প্রার্থক্য এটুকু যে ক্ষমতাবান সামর্থবান মানুষেরা যতটুকু পেেেরছে গ্রাস করেছে রেখেছে দাবী করছে নিজেরাই মালিক। যদি স্রষ্টা সবকিছু আয়েশ ছাড়াই যেভাবে তিনি অক্সিজেন দিচ্ছেন তাহলে মানুষ মনে করতো তারা যে হাত দিয়ে খাবার তুলছে , মুখ দিয়ে চিবুচ্ছে, তাতেও পরিশ্রম হচ্ছ্ েএ কষ্টের কি দরকার। তাহলে সুবিধা দিতে হবে, গাছের মত, যেভাবে অক্সিজেন ত্যাগ করে আর কার্বন গ্রহণ করে স্বয়ক্রিয় ভাবে আয়েশ প্রয়াস ছাড়া। তাহলে মানব সভ্যতা হতনা, তাত হত গাছ সভ্যতা। মানুষ তখন হত এক প্রকার দাছ। এই যে অক্সিজেন তৈরী করতে কোন কষ্ট হয়না তাই অক্সিজেনের কোন মূল্য নাই। কোন কোন মানুষ পুরো জীবনে হয়তো একবার ও ভাবেনি যে অক্সিজেন বলে কিছু আছে। কারণ পরিশ্রম ছাড়াই তা পাচ্ছে। পরিশ্রম ছাড়া পায় বিধায় মহামূল্যাবান অক্সিজেনকে সে অনুভব করে পরিশ্রম ছাড়া যদি খাবার পেত এসবের কোন কোন মূল্যই থাকত না ২৪ অক্সিজেন নেওয়ার সময় সামান্য যে শ্রমটুকু করতে হয়, হয়তো তা নাহলে কোন মানুষকে বোঝানো যেতনা অক্সিজেন বলে মূল্যবান কিছু আছে। সভ্যতার জন্য, শ্রম, শ্রমই মানুষকে মর্যাদা বাড়িয়েছে। বিবেকই মানুষকে অন্য সবব প্রাণী ও জীবের উপর সেরা অবস্থানে বসিয়েছে। মানুষের জন্য মায়ের মত পৃথিবী শ্রেষ্ট আশীর্বাদ, ব্রেন, বিবেক, ও শ্রম মানুষের জন্য আশীর্বাদ। মানবিক কর্মসূচী নিতে হলে সব মানুষকে এই মানবিক বোধ জাগ্রত করতে হবে। তাই প্রয়োজন মানবিক শিক্ষার। মানবিক শিক্ষার অভাব বিধায় শিক্ষিতদেরকেও এ বোধটুকু নেই যে একজন আফ্রিকান আর একজন রাশিয়ান একে অন্যের শত্র“ নয়, ভিন দেশী নয়। তারা দুজন একই পিতার সন্তান, একে অন্যকে বিনাশের জন্য তার দেশ আক্রমন করবেনা। তাকে রক্ষার জন্য হাত বাড়িয়ে দিবে। দুই সহোদর ভাই, কাজের জন্য দুজন দু দেশে পাড়ি দিযেছে। এভাবে একজনের সন্তান আমেরিকান হয়েছে অন্যজনের সন্তানেরা হয়েছে ইন্ডিয়িান, এভাবে তারা বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন চরিত্রের ভিন্ন রংয়ের- তাই বলে আত্মীয়তা / রক্তের বন্ধন শেষ হয়ে যায়নি। এভাবে সকল দেশের সকল মানুসের একই পিতার রক্ত। রক্তের গ্রুপ পিতা পুত্রের আলাদা হতে পারে। কিন্তু একটি ধ্র“ব সত্যকে শুধু আঞ্চলিকতার আড়ালে ঢেকে রাখা যায় না। পৃথিবী একটি প্রাণ। একটি মাতৃ প্রাণ। সে যা দিচ্ছে তার সন্তানদেরকে তা অতুলনীয় উপহার, সে গ্রহণ করছে শুধু আবর্জনা, উচ্ছিষ্টটুকু, যুগ যুগ ধরে পৃথিবী মানুষের কোটি কোটি টন আবর্জনা শোষন করছে তাতে তার দু:খ নেই। তার দু?:খ এজন্যে যে যুদ্ধে তার শরীর ক্ষত বিক্ষত করা হয়। তার সন্তানদের বসতি ধ্বংস করা হয়। পারমানবিক ২৫ বোমায় পরিবেশ নষ্ট করা হয়। গাছ কেটে বৈঞ্চিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করা হয়। পৃথিবীর দু:খ এ জন্য যে এত খাবার সে বের করে দিচ্ছে তবুও তার সন্তানেরা খেতে পায়না। তারা শীতে আশ্রয় পায়না। কেউ মারা গেলে সমাজের কাছে তার মূল্য থাকে না। পৃথিবী তাকে নিজের বুকে টেনে নেয়। যাতে সে অপদস্ত না হয়। যাতে তার ভাইয়েরা তার গন্ধে অতিষ্ট না হয়। তাকে অভিশাপ না দেয়। যাতে অন্য জীবিত মানুষদের ক্ষতি না হয়। পৃথিবীর কান্না আছে তা অশ্র“হীন কান্না। হয়তো বজ্রের ধ্বনি বৃষ্টির শব্দ অথবা অন্য কোন মহাজাগতিক শব্দের সাথে পৃথিবীর কান্না মিশে আছে। পারিবারিক উদ্যেগের অর্থ হচ্ছে এরূপ যেমন কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে ১০০ টি পরিবার আছে। সামর্থ বেশি যাদের, যাদের খাবার থাকে উদ্বত্ত, ধরা যাক ঐ এলাকায় ১০ জন মানুষ বিপন্ন মুমুর্য ও প্রতিবন্ধি মানুষ আছে। এখন এই ১০ জনের দায়িত্ব নিবে ১০০ টি পরিবার । ১০ টি ফ্যামিলি ক্রমান্বয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করাবে। এভাবে কয়েকমাসের মধ্যে একজন একজন বিপন্ন মানুষ সুস্থ হয়ে উঠবে। এভাবে পুরো জাতি স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। যারা স্থায়ী প্রতিবন্ধি তাদের যতœ স্থায়ী ভাবে হবে। ১০ টি স্বচ্ছল ফ্যামিলির পক্ষে একজন মানুষ সাপোর্ট দেয়া খুবই সহজ। যেখানে তাদের সদস্যরা মাঝে মাঝে অনেক অর্থ কাজে অকাজে অপচয় অপব্যয় করছে। যদি কোন পরিবারে তিন সদস্য থাকে তারা স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারে। চার সদস্য হলেও তথা সদস্য একজন বাড়লেও তাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়না। তাকে আরেকজন সদস্যের মতই মনে করতে হবে। একিট বিপন্ন মানুষের যতœ নিতে হবে যতক্ষণ না সে কর্মক্ষম ও স্বাবলম্বী হয়। এটা পুরো পৃথিবীর ব্যাপী রিহ্যাবিলেশন প্রোগ্রাম। এটা বলা সহজ, করা খুব কঠিন, হতে দুসাধ্য কাজ। কিন্তু অসাধ্য নয়। যদি সবার মাঝে মানবিক শিক্ষা ও বোধ জাগ্রত হয় তাহলে এটা খুব সহজ। সমগ্র পৃথিবী থেকে রাজতন্ত্র বিলোপ হয়ে গণতন্ত্র এল কারণ মানুষ চাইছিল এটাই। যদি মানুষ সম্মিলিত ভাবে ২৬ সিদ্ধান্ত নেয় যে আমাদের কোন ভাই অথবা বোন না খেয়ে থাকেবনা তাহলে এই কর্মসুচী সহজ বাস্তবায়ন সম্ভব । পুরো পৃথিবীতে বিশ্বকাপ অনুষ্টিত হচ্ছে কারণ মানুষ চেয়েছে। একদিন পৃথিবী নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী অভিকর্ষ ছিন্ন করে নক্ষত্রের মাঝে নিজেকে নিক্ষেপ করবে। যাতে প্রকৃত মানুষেরা এবং অপ্রকৃত মানুষেরা আলাদা হতে পারে। পৃথিবী এভাবে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে। মা তার সন্তানের ঐ অংশ কেটে ফেলার জন্য হসপিটালে নিয়ে যায় যা পঁচে গেছে। বাবা তার ২ টি সন্তানের মধ্যে একটিকে ত্যাজ করে যেটি মাদকাসক্ত, বখে গেছে। এবং যার ভাল হবার আর কান আশা নাই। পৃথিবী তাদরেক অনেক দিন যাচাই করেছে এজন্য তারা পেয়েছে প্রত্যেকে ২০-১০০ বছর সমসয়। অপ্রকৃত মানুষ যারা পৃথিবীর পঁচে যাওয়া অনুমানুষ তাদের দেহ হয়তো সুদর্শন, মন ও চিন্তহা কুৎসিত। প্রাণ, মন ও বিবেক এই তিন যারা আচে সেই প্রকৃত মানুষ, প্রান আচে প্রাণী কিন্তু মন বেস আছে সে শুধু দৈহিক ও মানসিকাবে মানুষ যদি বিবিক না থকে সে অমানুষ, যার বিবেক আছে সেই সত্যিকারে মানুষ । যৌক্তিক মানুষ। প্রকত মানুষ। যাদের এ তিনটটি স্তর আছে তার নক্ষত্রের মাঝেও ধ্বংস হবে না। কারণ স্বর্ণ আগুনে পোড়ে নষ্ট হয়না। শোধিত হয়। প্রান আছে বিধায় টিকে থাকে মানুষ। প্রান না থাকলে মাটির বুকে সে টিকতে পারেনা। মিশে যায়। মাটি তাকে গ্রাস করে। এভাবে নক্ষত্র তাকে গ্রাস করবে অমানুষদেরকে শত শত বছর ধরে। এক পর্যায়ে তারা হয়তো বিলীন হবে। কারণ প্রাণ ও মন ধ্বংস করা ব্যাপক সময়ের ব্যাপার। প্রয়োজন পৃথিবী শোধিত হওয়ার পর আবার বেরিযে আসবে। তাহবে নতুন পৃথিবী । সেখানে যেখানে শুধু প্রকৃত মানুষেরাই থাকবে, তাহলে সর্বোন্নত সভ্যতা। সভ্যতার সবেচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত সব বিশুদ্দ মানুষের সেই পৃথিবীতে থাকেব। সবাই উঠে আসবে আত্মার জগত থেকে। যে পৃথিবীতে কোন সীমাবদ্ধতা থাকবেনা। লোভ হিঙসা হানাহানি থাকবেনা। কারণ লোভী হিংসুব মানুষগুলোই যে থাকবেনা। সে পৃথিবী হবে পুরোপুরি বিশুদ্ধ মানুষদের। মানবিক আত্মার কোন বিনাশ নাই। (আমরা হয়তো বিবেক হীন মানুষ দের প্রতি বিরক্ত হয়। একটি ভাল জিনিস উৎপাদনের জন্য অনেক ডাস্ট স্বয়ংক্রিয় ভাবে উৎপন্ন হয়। হয়তো তারা সেই ডাস্ট। তারা আবশ্যম্বভাবী। সেক্ষেত্রে আমরা যাই ডাস্ট যত কম হয় এবং মূল প্রকৃত বস্তুর পরিমাণ যত বেশি হয়) ২৭ পৃৃথিবী সবকিছুকে অন্যভাবে দেখছে। মানুষের চিন্তাধারা, মানসিকতা, ও আচরনের অদৃশ্য রেকর্ড রাখছে। মানুষ জানেনা কিভাবে তাদের সাথে সে কি রকম আচরন করবে। মানুষ জানে না। পৃথিবীর মানবিকতা, পৃথিবী ব্যপী তন্ন তন্ন করে খুজের পৃথিবীর মন কোথায়- তাহয়তো খুজে পাওয়া যাবেনা। এটা পেতে আরো অনেক সময় বাকী। এখন মানুষ তা নিজের আত্মার সন্ধান পায়নি। হয়তো একদিন পাবে অথবা পাবেনা। জীবিত ও মৃত মানুষোর মাঝে আপাত পার্থক্য একটাই। মৃত মানুষের আত্মা নেই, জীবিত মানুষের আত্মা আছে, কিন্তু আত্মা দেহের ঠিক কোন কোন স্থানে যন্ত্রাপতি দিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তা খুজে পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর আত্মা মন যেখানেই হোক, তার আচরন যা সে তার সন্তানদের ব্যাপারে কালের মহাস্বাক্ষী। তার বুকে বাযূমন্ডলের সবার সকল কথা, আচরন ও জীবন লিখিত আছে। পৃথিবী তার গাছ গাছালিগুলো ধীরে বড় করে। তর সন্তানদেরকে ধীরে করে, এভাবে সবাইকে তরু লতা ফফ, ফুল প্রানী, সবইকে হঠাৎ বৃদ্ধি করে না। যদি তা করতো প্রতি সেকেন্ড এ পৃথিবীর ওজন বাড়তো কোটি কোটি টন, হঠাৎ অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্দিতে ভারমাসাম্য হারিয়ে মহাশুন্যে গতিপথ বিচ্যুত হয়ে ধ্বংস হত। যা পৃথিবী সুর্যকে না ঘুরিয়ে নিজ ঘোরে, যাতে অন্য নক্ষত্রের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ে, কারণ সূর্যের পাশে বায়ুমন্ডল নেই। যা আছে পৃথিবীর চারপাশে। চন্দ্রকে এমনভাবে ঘোরায় যাতে জোয়ার বাটা হয়ে সাগরের জমে থাকা পানি প্রবাহিত হয় সকল স্থানে। যদি চন্দ্র জোয়াট বাটা সৃষ্টি না করতো বহু যুগ ধরে জমে থাকা পানি নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যেত। মানুষ ক্রমাগত ডেভেলাপমেন্ট করছে। অন্য কোন প্রাণী ডেভেলাপ কছেনা । অন্যদিকে সবাই চক বাধা নিয়মেই আছে। তেমনি । অন্য সব গ্রহ নক্ষত্র পবির্তনের দিক থেকে স্থির। মঙ্গল বা বৃস্পতির মাঝে আদিকাল থেকে বিরান মরুভুমি, পাথর, পাথর কোন কোন গ্রহ যুগ যুগ ধরে বরফে জমে আছে। বরফে জমে আছে। একমাত্র পৃথিবী প্রতিমূহুর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে, গ্রাম নগর সভ্যতা এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে চলে আসছে। সর্বত্রই প্রগতি, সর্বত্রই পরিবর্তন, ক্রম বিবর্তন ২৮ পৃথিবীর সভ্যতাতা ক্রম বৃদ্ধি পায়, অন্য সব গ্রহে সভ্যতা স্থির। মানুষের জন্য অন্য সকল প্রাণীদের ইকোসিস্টেম রেখেছে পৃথিবী। আর নিজের জন্য রেখেছে অন্য সব গ্রহের সুনির্দিষ্ট অবস্থান, গতি ও অভিকর্ষ মহাকর্ষের ভারসাম্য। পৃথিবীর পানির সাথে প্রাণীদেরক রেখেছে যাতে সেখানেও ভারসাম্য থাকে। যদিও পানির সাথে অক্সিজেন আছে। কিন্তু জলজ প্রাণীরা সে অক্সিজেন আলাদা করতে পারে না, তাই দ্রভীভূত অক্সিজেন রেখেছে পানির স্তরে স্তরে। যে মানুষটি কখনো অনুভব করেনি যে অক্সিজেন নামে কিছু আছে যা তার জীবন রক্ষা করছে , কখনো তার মনে প্রশ্ন জাগেনি যে মাটির উপর সে আছে তার তলা কোথায়। যদি সে এমন কোন বিছানায় শুয়ে থাকত যা ভাসছে শূন্যের উপর, সে ভয়ে শংকায় অস্থির হয়ে যেত, অথচ পৃথিবীও এভাবে ভাসছে। সে জানে না পৃথিবী তাকে সহ সবাইকে কিভাবে ধরে রাখছে অগনিত পয়েন্টের ভারসাম্য সৃষ্টি করে। বইয়ের পাতায় কি লেখা আছে। কোন পশু তা বুঝে না, সে দেখে তা খাওয়া যাবে কি যাবেনা। সে শুধু দেখে সাদা আর কালো, ইতিহাসের পাতায় লেখা যুগ যুগান্তরের কাহিনী, আলমারীতে সাজানো সে ইতিহাস স্তরে স্তরে সাজানো ইতিহাস গ্রন্থ কাটে কুটি কুটি করে তার ক্ষুধাও মিটে না, তবুও সে তা নষ্ট করে। এ তার উল্লাস। এ ভাবে একজন পশু মানব উল্লাস ক্ষোভে ধ্বংস করে বিপুল সম্পদ। যার অধিকার নেই পশু মানুষের। সে পৃথিবীর ভাষা বুঝেনা। একটি গাছের পাাও ছেড়ার অধিকারও তার নাই। কারন এই পাতা শত শত চেষ্টায় ও সে জোড়া লাগাতে পারবেনা, কোন পাতা সে সৃষ্টি করতে পারবেনা, যদি কেউ একটি গাছ কাটে তাকে রোপন করতে হবে অন্তত একটি গাছ। একটি ইদুরের সেই দৃষ্টি জ্ঞান নেই যে দৃষ্টি আছে একজন জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের। তাই ইদুর মূল্যবান ইতিহাস গ্রন্থ কাটে। যে বুঝে সে তা যতেœ রাখে। এটাই প্রার্থক্য একজন বিবেক সম্পন্ন মানুষ আর বিবেকহীন অমানুষের মাঝে। একজন প্রকৃত দৃষ্টি ভঙ্গীহীন মানুষের সেই দৃষ্টি নেই যে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি আছে একজন প্রকৃত মানুষের। যারা মানুষ রূপ পশু তারা বুঝতে পারেনা পৃথিবীর ভাসা। পৃথিবী কি বলছে যুগ যুগ ধরে। পৃথিবীর কি বিধান, কি আইন। পৃথিবী কেন তাদেরকে লালন করলে। তাদেরকে নিয়ে পৃথিবীর সন্তানদেরকে নিয়ে পৃথিবীর কি স্বপ্ন। ২৯ পৃথিবীর অন্তর্নিহিত ভাষা যারা বুঝতে পারে তারাই হতে পারে প্রকৃত মানুষ। পৃথিবীর সব কিছুতে বার্তা রয়েছে প্রতিটি বস্তু ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ মেসেজ বহন করে। চেষ্টা করলে মানুষ তা বুঝতে পারে। সঠিক জ্ঞান চর্চাই এ পথের একমাত্র উপায়। যদি বীজকে ভূমি গর্ভে আশ্রয় দেওয়া হয় সে গাছ হয়ে ছায়া দিবে। একজনকে নয় শুধু অনেককে । মানব শিশুকে যতœ নেওয়া হয় সে চিকিৎসক হবে অথবা নার্স হয়ে সেবা করবে। অথবা ছিনতাইকারী হয়ে রাজপথ আগলে দাড়াবে। একাই হরন করবে অনেক মানুষের সুখ ও শান্তি। পৃথিবী একদিন তার প্রত্যেক সন্তানকে জিজ্ঞেস করবে কেন তুমি আমার উপহার একা গ্রাস করলে, কেন তোমার ভাইকে বঞ্চিত করলে। সে বলবে আমি তাকে দেখিনি। তুমি এর চেয়ে দূরের স্থানের সংবাদ দেখেছ। খেলার স্টেডিয়ামে ছুটে গেছ। কিন্তু পথের পাশে প্রতিনিয়ত তুমি কি তাকে দেখতে না। সে স্মরন করিয়ে দিতে সকল স্থানে তারা আছে বিপন্ন হয়ে। তারা তোমার সাহায্যের হাত চায়। তারাও বাচতে চায়। মানবেতর জীবন থেকে মুক্তি চায়। কম্পিউটারে কিছু ফাইল থাকে ভাইরাস ফাইল। তারাও এক ধরনের পোগ্রাম। এই ফাইলগুলো স্পর্শ করলে কোন রোগ হয়না। এগুলো কে দেখলে অসুন্দর ও লাগেনা। কোন গন্ধও ছাড়ায় না। কিন্তপিসির ক্লিানার তাদেরকে মুছে ফেলে। কারন তারা ভাইরাস, তারা করাপ্টেড, তাদের প্রোগ্রাম করাপটেড, তারা কম্পিউটারের অন্য সবার জন্য ক্ষতিকর। তাদের মধ্যে যে তথ্য আছে তা ভুল ও অযৌক্তিক। তেমনি ধনলোভী, স্বার্থপর ধনী মানুষগুলো দেখতে সুন্দর ভাজ করা মানসম্মত পোষাক, সেন্টের সুঘ্রান ছড়ায়। সাদা মিহি সুন্দর স্বাস্থবান চামড়া, তবুও তারা অমানুষ। কারণ তাদের অন্তর কলুষিত, চিন্তা অযৌক্তিক, তাদের মন বিবেক হীন। তাই পৃথিবীর ক্লিনিং পোগ্রাম তাদেরকে ভাইরাস হিসেবে ডিটেক্ট করবে। আলাদা করবে। যেভাবে স্বর্ণ আগুনে পড়ে খাদ ভেজাল বের কের খাটি হয়। পৃথিবীও একদিন নির্দিষ্ট সময় শেষে যখন উপযুক্ত পরিমাণ প্রকৃত মানুষের লক্ষ্য পুরন হবে। নক্ষত্রপুঞ্জ নীহারীকার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়বে। আর এভাবে শোধন করে বিশুদ্ধ হবে। ভাইরাস অমানুষনগুলো দীর্ঘ দিন জ্বলে পুড়ে যখন শেষ হবে। তাদেরকে আলাদা করে পৃথিবীর প্রকৃত সন্তানদেরকে নিয়ে পৃথিবী ফিরে আসবে তার আদি অবস্থানে এভাবে অমানুষগুলো শস্তি পাবে এবং বিনাশ হবে। ৩০ প্রকৃত মানুষ গুলোকে সে আগুন স্পর্শ করবেনা। ধ্বংসও করবেনা। কারণ আগুন স্বর্ণকে পোড়াতে পারে না। প্রকৃত মানুষেরা পৃথিবীল বুকে থাকবে শুদ্ধতম মানুষ হয়ে সর্বোন্নত সভ্যতার নাগরিক হয়ে যে পৃথিবীতে সীমাবদ্ধতা থাকবেনা, স্থান ও কালের ও সময়ের ও সামর্থের। পৃথিবলি বর্তমান সময় , কাল ও শক্তির মাত্রা সীমাবদ্ধ কারন অসীম স্থান ও কালে কোন কিছু যাচাই করা যায় না। সিলেকশান বা মান নির্ণয়ের জন্য সীমাবদ্ধ ও অল্প পরিসরের স্থান কালও শক্তির প্রয়োজন। পরীক্ষর স্থল ও কাল সীমাবদ্ধ যেমন একটা পরীক্ষায় ৩ ঘন্টা সময় থাকে নির্ধারিত সিলেবাস থাকে এভাবে যাচাই করা হয় কে পাশ করবে কে ফেল করবে। যোগ্যদেরকে বাচাই করার জন্য। এজন্য নির্দিষ্ট সময় স্থান ও সামর্থ। বর্তামানে পৃথিবী সবকিছুকে সীমাব্ধতা আরোপ করে রেখেছে। একজন মানুষ চাইলে এশিয়া থেকে আমেরিকা যেতে পারবেনা। এক মুহুর্তে কারণ সামর্থ সীমিত কিন্তু বিশুদ্ধতম সভ্যতায় মানুষের সামর্থ হবে সীমাবদ্ধতা মুক্ত। স্থান কাল সম্পদ সবই সীমাবদ্ধতা ম্ক্তু। যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য এ পার্থক্য। যে পার্থক্য আর পরীক্ষার হলের মধ্যে। পার্ক আর হল। পরীক্ষার হলে সময় র্নিারিত, স্থান নির্ধারিত সে আসনে রুল নাম্বার সেখানেই বসতে হবে। অন্য আসনে ইচ্ছা মত বসা যাবেনা। বই দেখে লিখা যাবেনা। নির্দিষ্ট সময়ের পর লেখা যাবেনা। কারন এভাবে যোগ্যতার যাচাই হয়। পার্কে স্থান, কাল অপেক্ষাকৃত সীমাবদ্ধ কম, যে কেউ যে কোন স্থানে বসতে পারবে। বই পড়তে পারবে। যতক্ষন ইচ্ছা, কারন সেখানে যোগ্যতার যাচই হয়না। সীমাব্ধ পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকৃক মানুষ বাচইি হবে পৃথিবী নক্ষত্রের অভ্যন্তরে পবেেশর পর এর পর সর্বোন্নত পৃথিবীতে থাকবে প্রকত মানুষেরা যেখানে আর যাইেেয়র প্রযোজন নাই তাই সেখানে সীমাবদ্ধতা নাই শুদ্ধতম পৃথিবী পরিচ্ছন্ন মনের মানুষদের জন্য সবচেয়ে সেরা উপহাার । হয়তো সে পৃথিবীর আকৃতি অনেক বড়। অমানুষদের মধ্যে নিম্ন সারির পশুদের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যেমন একজন যে নারীর কোলে পালিন হেেয়ছে অথবা কিশোরী বালিকার উপর নির্যাতন করেছে, কোন নারীর দায়িত্ব নেয়নি। কোন দাম্পত্য সম্পর্কে জড়ায়নি, বহু নারীকে যে ভাগ করেছে। কাউকে দান করেনি। কোন কন্যা সন্তানকে পালন করেনি তারা এ প্রকৃতির এবং এরকম প্রকৃিতর রয়েছে আরো অনেক। ৩১ পৃথিবীর জন্য প্রয়োজনয়ি প্রাথমিক কাজ হচ্ছে সবার জন্য খাদ্য বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, সুশিক্ষা নিশ্চিত করা। ২য় কাজটি হচ্ছে পরিশ্রম ও সাধনা চেষ্টা দিয়ে এ সভ্যতাকে উন্নত সভ্যতায় রূপ দেওয় প্রাথমি ও প্রথম কাজটি হচ্ছেনা । ২য় কাজটি হচ্ছে। প্রথম কাজটি না হওয়ায় পরেরটি বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। যদি প্রাথমিক কাজটি সম্পদান করে সর্বশ্রেণীর মানুষ মিলে ২য় কাজে হাত দেওয়া হয়। তবে সভ্যতা প্রকৃত সভ্যতা হবে। সভ্যতার মাত্রা পুর্ণ হচ্ছে সীমাবদ্ধ পৃথিবী কিন্তু শান্তিময় পৃথিবী। যেখানে কেউ অশান্তিতে নাই কেউ কষ্টে নাই অভাব দুঃখ দুর্ভিক্ষ নাই। যুদ্ধ নাই সন্ত্রান নাই। খুব দ্রুত শেষহবে তার টেস্টিং পিরিয়ড। পৃথিবী একটি প্রাণ, সহজ ও চুড়ান্ত কথা এই যে পৃথিবীর প্রান রয়েছে, বিজ্ঞানীরা অনেকে বলেছেন গাছের প্রান আছে। এই প্রান ক্ষুদ্র জীবনের প্রকাশ। গাছের মাঝে ইলেক্টন প্রোট্টন কনিকা সঞ্চালিত হয়। অনুবিক্ষণ যন্ত্রে তাই দেখা যায়। মৃত প্রাণীর মাঝে কোন কম্পন থাকেনা। কিন্তু জীবন্ত প্রাণির প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গে কম্পন থাকে তার শিরা উপপরিশরায়, চুল, চামড়া ইত্যাদির মাঝে কম্পন থাকে। রক্তের প্রবাহ থাকে। প্রথিবীর চুল গুলো গাছপালারূপ ঝর্ণা রূপ শিরা হয়ে প্রবাহিত হয়। ভূঅত্যন্তরে সাতটি প্লেট ক্রমাগত মুভ করছে যার কারনে মার্জিন হিসেবে পাহাড় তৈরী হচ্ছে পৃথিতবী এস্থানে থেকে অন্য স্থানে সের যাচ্ছে সবয়ংক্রিয় ভাবে। একটি জীবিত প্রাণীই একমাত্র এসব করতে পারে। প্রাণ আছে বিধায় মানুষের জন্য ও অন্য সবার জন্য যা প্রয়োজন তা সে দিতে পারে। প্রান আছে বিধায় সে বিধাতার নির্দেশ গ্রহণ করে। যেভাব সিস্টেম তৈরী করে। একটি চেয়ার অথবা টেবিল জড় পদার্থ কারো নির্দেশ গ্রহণ করতে পারেনা। কারন তার প্রান নাই । একজন মা তার সন্তাতানের জন্য কখন কি প্রয়োজন তা বুঝতে পারে এবং আগেই তা প্রস্তুত থাকে। তাই সন্তান যখন কথা বলতে না পাার অবস্থায় মায়ের কাচে থাকেত হয়। তাই পৃথিবীর প্রান এবং মাতৃপ্রান। প্রাকৃতিক বিপয়য় সমুহ পৃথিবী সৃষ্টি করে না। করে ভারসাম্যর জন্য আরো বড় বিপর্যয় থেকে মানুষ ও প্রাণীদেরকে রক্ষা রকার জন্য প্রাকৃতিক সব বিপর্যয় মানব সৃষ্ট । সুস্থ শরীর যখন জ্বর হয় যখন অনিময় করা হয়। যদি জ্বর না হত ৩২ যদি এভাবে তাপ হয়ে বেরিয়ে না আসত তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হত। এভাবে মানুষ অনিয়ম করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। এ ভারসাম্য আনার প্রক্রিয়া কে মনে হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই দূর্যোগের ফলে মহাবিপর্যয় না হয়ে ভারসাম্য ফিরে আসে । পৃথিবী ভুমকম্প দেয় অতিষ্ট হয়ে। শোষকদেরকে ধ্বংস করার জন্য। এতে যারা বিপন্ন যারা ধুকে ধুকে মরছে তারাও বিলীন হয়। তারা কষ্ট হতে মুক্ত্ িপায়। পৃথিবী কোন একক বাসিন্দার জন্য কোন আচরন করেনা। তা কালের নীতির বিপরীত। পৃথিবীর আচরনে একটি অঞ্চল অথবা একটি জনােগষ্ঠি প্রভাবিত হয়। দৃষ্টান্ত রূপ দুটি পিপিলিকা একটি হাতির পিঠে ঝগড়া করে।। হাতি তাদেরকে থামাতে পারে না। কারণ তার আকৃতি সেরকম নয়। অথচ একটি পাখি তাদেরকে থামাতে পারে। হাতি যা করতে পারে সে প্রচন্ড ক্রোধে ঝাকুনি দিতে পারে অবা নিজেকে নিক্ষেপ করতে পারে কোন বস্তুর সাথে। তাহলে শোষক ও শেষিত দুটিই মরবে। অবসান হবে শোষন ও কষ্টের। পৃথিবী চায় তার সন্তান তিলে তিলে শোষিত না হয়ে তার কোলে আশ্রয় নিক। যখন পিতা মাতা পুত্রকধুদের এমনকি কোথায় পুত্র কন্যাদের অবহেলার শিকার হয় তখন বৃদ্ধি ঐ পিতা মাতা রূপ সন্তানকে পৃথিবী তার কোলে টেনে নেয়। তার আশ্রয় হয় ভূগর্ভে যেখানে তার কোন যন্ত্রনা নেই। এক মাকে দেখি সে তার সন্তাকে ডিমের কুসুম খাওয়ায় আর নিজে খোসাটুকু খায় মাছ। মাছ বাচ্চাকে দেয। নিজে কাটা আর হাড়গোড় খায়। এক মা নয় প্রায় সব মা যারা সত্যিকারে মা তারা এরকমই করে। বহু মা এমনও আছে যারা কুসুম খেতে পারে না। মাছ খেতে পারে না। মাংস খেতে পারে না। কাটা আর হাড় গোড় উচ্ছিষ্ট তারা খেতে অভ্যস্ত তাই তাদের খাবার হয়ে গেছে। পৃথিবী এভাবে মানুষের বর্জ উচ্চিষ্ট খাচ্ছে। সুস্বাদু ফলমুল দিচ্চে মানুষকে। মানুষ যখন অক্ষম হয় পরিবারে ও সমাজে তার কোন কূল্য থাকেনা তখন পৃথিবী তাকে নিজ কোলে টেনে নেয়। যেখানে নাইলোটিকা মাছ তার ছাপোনা গুলোকে গিলে খায় জ্যান্ত যখন কোন শত্র“ আক্রমন করে, আবার বের করে দেয় জান্ত যখন নিরাপদ হয়। যে উপবাস থেকে দিনে কিছু খায়নি আর সন্দ্য হওয়া মাত্র চতুর্গুন ভোজন করেছে সে আসলে অনুভব করেনি। অনাহারি মানুসের কষ্ট। অথবা তার শত শত মাস ব্যাপী করা উপাস কখনো বিপন্ন মানুষের কাছে তাকে টেনে নেয় নি। তার এ উপবাস ছিল শুধু লোক দেখানো স্রষ্টাকে খুশী করার জন্য নয়। উপবাস উপসনা হোক সত্যিকারে উপবাস উপাসনা। যা নিয়ে যাবে ধনীদেরকে বিপ্নন্ন অভুক্ত মানুষের কাছে । সফল হোক পৃথিবীর এ স্বপ্ন পৃথিবী হোক মানুষের শান্তির আবাস। পৃথিবীর কোন সন্তান যেন কষ্টে না থাকে অভুক্ত না থাকে। আশ্রয় হীন না থাকে।
-------------------------------------------------------------------------