সৌরবিদ্যুতে আলোকিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের গ্রামাঞ্চল
সৌরবিদ্যুতের আলোয় রাতের গাঢ় অন্ধকার সরিয়ে আলো ঝলমল করছে তাহিরপুরের পল্লী এলাকার অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামগুলো। শীতের শেষ ও গরমের শুরু থেকে সারাদেশের মানুষ যখন ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা করছেন তখন তাহিরপুরের পল্লী এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছেন সৌরবিদ্যুত্। প্রযুক্তির উত্কর্ষের ফলে নিম্নআয়ের লোকজন থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ এ সুবিধা ভোগ করছেন। সৌরবিদ্যুত্ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পল্লী এলাকার মানুষজনের কাছে যা ছিল শুধু স্বপ্ন আজ সৌরবিদ্যুতের কল্যাণে তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এখন গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত হচ্ছে সৌরবিদ্যুতের আলোয়।
সারাদেশে ৬৪ জেলায় বিদ্যুত্ সুবিধাবঞ্চিত ৬০ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুতায়িত করতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন (আরএসএফ), গ্রামীণশক্তি উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্প চালু করে। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে তাহিরপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল কলাগাঁও বাজারে গ্রামীণ শক্তি প্রথম সৌরবিদ্যুত্ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। পরে ২০০৪ সালে তাহিরপুর উপজেলা সদর, বাদাঘাট বাজারে তাদের প্রকল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটে। বর্তমানে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলায় কমপক্ষে শতাধিক গ্রামে বিদ্যুতের পাশাপাশি সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার রয়েছে।
তাছাড়া উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে কিছুদিন আগেও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর ব্যবহার হতো। কিন্তু ডিজেলের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধির কারণে জেনারেটরের বিল ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে জেনারেটর ব্যবহার ছেড়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে কিস্তির মাধ্যমে সৌরবিদ্যুত্ ক্রয়ের সুবিধা পাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও এখন সৌরবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। গ্রামীণ শক্তি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত তারা উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজারের মতো গ্রাহককে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন।