কভিড-১৯, যেই ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্ব আজ কাঁপছে। এই পরিস্থিতে দুই শ্রেণীর মানুষের জন্য 'অতি ছোট' মুখে দুটো 'বড়' কথা বলতে চাওয়াটা কেমন জানি না। তবে এটুক জানার তৌফিক আল্লাহ পাক দিয়েছেন, অন্যকে মনে করিয়ে দেয়া কতটা জরুরী। অবশ্যই আমার প্রথম কর্তব্য এবং উদ্দেশ্যও যেন হয়, আগে নিজের জন্য।
১
কোনরকম যুক্তি দিয়ে কোন যুক্তি খন্ডনের ইচ্ছা নাই, বুঝানোর যোগ্যতাও নাই। এইসব যুক্তি দিয়ে প্রমাণের বিষয়ও না। কেবল তাদের জন্য কিছু কথা, কিছু আকুতি, যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগেন;
দূরে যাবার দরকার নেই, নিজেকে দেখলেই কী হয়ে যায় না? মানুষের শরীর এতটাই নিখুঁত ভাবে তৈরী করা; শরীরের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নিয়েও যদি একটু ভাবা যায়; ব্যাপারটা এভাবে না হয়ে এভাবে হলে কেমন হত, আমাদের শরীর এই অঙ্গ এভাবে না হয়ে একটু ব্যতিক্রম হলে কী হত। কেবল একটা আঙ্গুলের ৪টা ভাজের একটি ভাজ না থাকলে ব্যাপারটির প্রভাব জীবনে, আমাদের কাজে-কর্মে কীভাবে পড়তো? কোন কিছু ধরতে কত কষ্ট হত? যদি চুলের মাঝে স্কিনের সেন্সিটিভিটি থাকতো? প্রতিবার চুল কাঁটার সময় কী ব্যাথাটা পেতে হত? যদি কেবল নখ না থাকতো? বা কান এরকম নরম না হয়ে শক্ত হত? ঘুমানোর সময় পাশ ফেরা যেত? আচ্ছা, যদি চোখের পাপড়ি বাহিরের দিকে না হয়ে একটু ভেতরের দিকে হতো? প্রতিবার চোখ খুলতে, বন্ধ করতে কত কষ্ট হত?
এগুলো স্রেফ আমাদের শরীর কতটা চমৎকার এবং নিখুঁত ভাবে ডিজাইন করা, তা ভাবানোর জন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে বলা। একজন স্রষ্টা ব্যতীত এতটা পার্ফেকশন কীভাবে সম্ভব! কত সাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছি, বুঝতেই পারছি না কী ব্যাপারটা ঘটে যাচ্ছে।
একই ভাবে প্রকৃতির ব্যাপারে; প্রকৃতির বিষয় গুলো এভাবে না হয়ে সামান্য ভিন্ন ভাবে হলে কেমন হত? মেঘের যদি পানি ধরে রেখে ভাসার ক্ষমতা না থাকতো? যদি বৃষ্টির ফোঁটা এরকম না হয়ে, ভিন্ন রকম হত? আচ্ছা, সাগরে যদি লবণ না থাকতো, এর ফলাফল কী হত ভাবা যায়? ব্যাপার গুলো এতটাই নিখুঁত ভাবে ডিজাইন করা যে, স্রেফ একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই হয়তো গোটা বিশ্ব বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। কীভাবে সম্ভব এতটা পার্ফেকশন একজন স্রষ্টা ব্যতীত?
এভাবে একটু ভাবতে গেলেই দেখা যায়, বাকিসব বাদ দিলেও কেবল দৃষ্টিতে যা ধরা পড়ে তা সবই কত নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। সবকিছুই! এতটাই নিখুঁত যে তা একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই বিশাল বিশৃঙ্খলা দেখা দিত। ব্যাপার গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে, পোস্ট বড়ই হতে থাকবে।
আসল কথা যা বলতে চাচ্ছিলাম; যেই ভাইরাস আপনার দ্বারা দেখা সম্ভব না তার প্রতি বিশ্বাস এনে সে অনুযায়ী যদি কাজ করা যায় (যা অতি স্বাভাবিক এবং করাই উচিৎ), এই চাঁদ-সূর্য, আসমান-জমিন, আলো-বাতাস, দিন-রাত, মেঘ-বৃষ্টি, সাগর-পাহাড়, নিজের শরীর; এত এত নিদর্শন দেখেও কী বিশ্বাস করা যায় না, এইসবের পেছনে একজন স্রষ্টা আছেন?
এত নিদর্শন দেখেও, তা নিয়ে ভেবেও, মস্তিষ্কে এই ভাবনা উদয় হওয়ার জন্য কী যথেষ্ট নয়; এইসবের পেছনে একজন স্রষ্টা আছেন?
২
আমরা যারা ভাবি, খুব দ্বীন মানার চেষ্টা করছি; তাদের জন্যও কী এটা একটা ভালো সুযোগ নয়, নিজের ঈমান কতটা দুর্বল সে সম্পর্কে অবগত হবার?
করোনার জন্য এত সচেতনতা অবলম্বন করছি, যা অবশ্যই নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবলম্বন করা শরীয়তের দাবী, এমন কি সঠিক নিয়তে করা হলে আল্লাহর কাছে নেকিও পাবার আশা করা যায়। সেই সাথে এটাও কি ভাবার বিষয় নয় যে, যেই আমি মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য এত সচেতন, সেই আমি মৃত্যুর পরের ভয়াবহতার ব্যাপারে কতটুক সচেতন? জাহান্নামের আগুন কতটা ভয়াবহ, তার জন্য কত বেশি সচেতন হওয়া জরুরী? যার ফলাফল আরো অনন্তকালের জন্য?
আমাদের "বিশ্বাসের স্থর" ঠিক কোন পর্যায়ে আছে এতটুকও কী আমরা বুঝার চেষ্টা করতে পারি না?
করোনার জন্য যেভাবে প্রতিনিয়ত হাত ধুই (যা অবশ্যই এখন করা অতি জরুরী), সেই সাথে ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ওজু করার আগে মিছওয়াকের ব্যাপারে যতটা গুরুত্ব আমাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহ দিয়েছেন তার কিছুটা হলেও অন্তরে ধারণ করে সেই মুহাব্বাতের সাথে মিছওয়াক করার অভ্যাসটিও করে ফেললে কি আরো ভালো হয় না?
(এই পোস্ট থেকে যেন কেউ ভুল কিছু না বুঝে, তাই ক্লিয়ার করা। আমার উদ্দেশ্য মোটেও এটা নয় যে; করোনা নিয়ে এমন করলে, আখেরাতের জন্য করবেন না কেন। আমার উদ্দেশ্য হল স্রেফ এটাই মনে করিয়ে দেয়া- আমরা বলি আমরা জান্নাত-জাহান্নামে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমাদের কাজ কর্ম দেখে কে বলবে আমাদের এই "বিশ্বাস" ঠিক কোন পর্যায়ে থেকে গেছে। বিষয়টা বুঝানোর জন্যই কেবল করোনা প্রসঙ্গ আনা।)
কভিড-১৯, যেই ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্ব আজ কাঁপছে। এই পরিস্থিতে দুই শ্রেণীর মানুষের জন্য 'অতি ছোট' মুখে দুটো 'বড়' কথা বলতে চাওয়াটা কেমন জানি না। তবে এটুক জানার তৌফিক আল্লাহ পাক দিয়েছেন, অন্যকে মনে করিয়ে দেয়া কতটা জরুরী। অবশ্যই আমার প্রথম কর্তব্য এবং উদ্দেশ্যও যেন হয়, আগে নিজের জন্য।
১
কোনরকম যুক্তি দিয়ে কোন যুক্তি খন্ডনের ইচ্ছা নাই, বুঝানোর যোগ্যতাও নাই। এইসব যুক্তি দিয়ে প্রমাণের বিষয়ও না। কেবল তাদের জন্য কিছু কথা, কিছু আকুতি, যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগেন;
দূরে যাবার দরকার নেই, নিজেকে দেখলেই কী হয়ে যায় না? মানুষের শরীর এতটাই নিখুঁত ভাবে তৈরী করা; শরীরের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নিয়েও যদি একটু ভাবা যায়; ব্যাপারটা এভাবে না হয়ে এভাবে হলে কেমন হত, আমাদের শরীর এই অঙ্গ এভাবে না হয়ে একটু ব্যতিক্রম হলে কী হত। কেবল একটা আঙ্গুলের ৪টা ভাজের একটি ভাজ না থাকলে ব্যাপারটির প্রভাব জীবনে, আমাদের কাজে-কর্মে কীভাবে পড়তো? কোন কিছু ধরতে কত কষ্ট হত? যদি চুলের মাঝে স্কিনের সেন্সিটিভিটি থাকতো? প্রতিবার চুল কাঁটার সময় কী ব্যাথাটা পেতে হত? যদি কেবল নখ না থাকতো? বা কান এরকম নরম না হয়ে শক্ত হত? ঘুমানোর সময় পাশ ফেরা যেত? আচ্ছা, যদি চোখের পাপড়ি বাহিরের দিকে না হয়ে একটু ভেতরের দিকে হতো? প্রতিবার চোখ খুলতে, বন্ধ করতে কত কষ্ট হত?
এগুলো স্রেফ আমাদের শরীর কতটা চমৎকার এবং নিখুঁত ভাবে ডিজাইন করা, তা ভাবানোর জন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে বলা। একজন স্রষ্টা ব্যতীত এতটা পার্ফেকশন কীভাবে সম্ভব! কত সাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছি, বুঝতেই পারছি না কী ব্যাপারটা ঘটে যাচ্ছে।
একই ভাবে প্রকৃতির ব্যাপারে; প্রকৃতির বিষয় গুলো এভাবে না হয়ে সামান্য ভিন্ন ভাবে হলে কেমন হত? মেঘের যদি পানি ধরে রেখে ভাসার ক্ষমতা না থাকতো? যদি বৃষ্টির ফোঁটা এরকম না হয়ে, ভিন্ন রকম হত? আচ্ছা, সাগরে যদি লবণ না থাকতো, এর ফলাফল কী হত ভাবা যায়? ব্যাপার গুলো এতটাই নিখুঁত ভাবে ডিজাইন করা যে, স্রেফ একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই হয়তো গোটা বিশ্ব বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। কীভাবে সম্ভব এতটা পার্ফেকশন একজন স্রষ্টা ব্যতীত?
এভাবে একটু ভাবতে গেলেই দেখা যায়, বাকিসব বাদ দিলেও কেবল দৃষ্টিতে যা ধরা পড়ে তা সবই কত নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। সবকিছুই! এতটাই নিখুঁত যে তা একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই বিশাল বিশৃঙ্খলা দেখা দিত। ব্যাপার গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে, পোস্ট বড়ই হতে থাকবে।
আসল কথা যা বলতে চাচ্ছিলাম; যেই ভাইরাস আপনার দ্বারা দেখা সম্ভব না তার প্রতি বিশ্বাস এনে সে অনুযায়ী যদি কাজ করা যায় (যা অতি স্বাভাবিক এবং করাই উচিৎ), এই চাঁদ-সূর্য, আসমান-জমিন, আলো-বাতাস, দিন-রাত, মেঘ-বৃষ্টি, সাগর-পাহাড়, নিজের শরীর; এত এত নিদর্শন দেখেও কী বিশ্বাস করা যায় না, এইসবের পেছনে একজন স্রষ্টা আছেন?
এত নিদর্শন দেখেও, তা নিয়ে ভেবেও, মস্তিষ্কে এই ভাবনা উদয় হওয়ার জন্য কী যথেষ্ট নয়; এইসবের পেছনে একজন স্রষ্টা আছেন?
২
আমরা যারা ভাবি, খুব দ্বীন মানার চেষ্টা করছি; তাদের জন্যও কী এটা একটা ভালো সুযোগ নয়, নিজের ঈমান কতটা দুর্বল সে সম্পর্কে অবগত হবার?
করোনার জন্য এত সচেতনতা অবলম্বন করছি, যা অবশ্যই নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবলম্বন করা শরীয়তের দাবী, এমন কি সঠিক নিয়তে করা হলে আল্লাহর কাছে নেকিও পাবার আশা করা যায়। সেই সাথে এটাও কি ভাবার বিষয় নয় যে, যেই আমি মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য এত সচেতন, সেই আমি মৃত্যুর পরের ভয়াবহতার ব্যাপারে কতটুক সচেতন? জাহান্নামের আগুন কতটা ভয়াবহ, তার জন্য কত বেশি সচেতন হওয়া জরুরী? যার ফলাফল আরো অনন্তকালের জন্য?
আমাদের "বিশ্বাসের স্থর" ঠিক কোন পর্যায়ে আছে এতটুকও কী আমরা বুঝার চেষ্টা করতে পারি না?
করোনার জন্য যেভাবে প্রতিনিয়ত হাত ধুই (যা অবশ্যই এখন করা অতি জরুরী), সেই সাথে ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ওজু করার আগে মিছওয়াকের ব্যাপারে যতটা গুরুত্ব আমাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহ দিয়েছেন তার কিছুটা হলেও অন্তরে ধারণ করে সেই মুহাব্বাতের সাথে মিছওয়াক করার অভ্যাসটিও করে ফেললে কি আরো ভালো হয় না?
(এই পোস্ট থেকে যেন কেউ ভুল কিছু না বুঝে, তাই ক্লিয়ার করা। আমার উদ্দেশ্য মোটেও এটা নয় যে; করোনা নিয়ে এমন করলে, আখেরাতের জন্য করবেন না কেন। আমার উদ্দেশ্য হল স্রেফ এটাই মনে করিয়ে দেয়া- আমরা বলি আমরা জান্নাত-জাহান্নামে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমাদের কাজ কর্ম দেখে কে বলবে আমাদের এই "বিশ্বাস" ঠিক কোন পর্যায়ে থেকে গেছে। বিষয়টা বুঝানোর জন্যই কেবল করোনা প্রসঙ্গ আনা।)