-শুনছো?
জ্বি।
-ধরো কিছু একটা পাওয়ার জন্য তুমি ছুটেছো। সেই জিনিস তুমি পেলে না, তোমার কেমন লাগবে?
স্বাভাবিক ভাবেই খুব কষ্ট লাগবে।
-কেন লাগবে?
অবশ্যই আমি জিনিসটি পেলাম না তাই।
-তোমার যে কষ্ট লাগছে এটা একদিক দিয়ে তোমার ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কষ্ট নিশ্চয় একটা নেগেটিভ ফীলিং। তারমানে কষ্টটা না লাগলে তোমার এই ক্ষতিটুকু হতো না, ঠিক?
জ্বি, ঠিক।
-তাহলে জেনে শুনে এই ক্ষতি আমরা কেন করি?
কারণ আমরা একটা জিনিস চেয়েছি, তার জন্য কষ্ট করেছি, তবু তা পাইনি।
-তারমানে তোমার যুক্তি দাড়াচ্ছে, আমার একটা ক্ষতি হয়েছে কেন, আরো ক্ষতি হতে হবে। এরকম?
ঠিক এরকমও না। এটা একটা ন্যাচারাল প্রসেসের মতো হয়ে গেছে। মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত কিছু না পেলে কষ্ট পায়।
-এটা ন্যাচারাল প্রসেস হয়নি, বেশিরভাগ মানুষ নিজের অক্ষমতা এবং বোকামিকে প্রশ্রয় দিয়ে ব্যাপারটাকে এমন বানিয়েছে যে, তুমি যা পাওনি তার জন্য কষ্ট পাও, আফসোস করো; যদিও এসব করলে পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র পজিটিভ চেঞ্জও হবে না, স্রেফ কিছু নেগেটিভ চেঞ্জ ছাড়া।
হতে পারে। এত গভীরভাবে ভেবে দেখিনি।
-কিছু ব্যাপার গভীরভাবেই ভেবে দেখতে হয়। তুমি এখন যা পাওনি তার জন্য টেনশন করতে করতে মারা যাওয়ার অবস্থা হলেও কী কেউ এসে তোমাকে তা দিয়ে বলবে, "ভাই আপনি টেনশন করেছেন, তাই আপনার জন্য এই পুরষ্কার"? বলবে নাকি?
তবু ব্যাপার গুলো মেনে নেয়া এত সহজ না।
-সহজ না কারণ আমরা ব্যাপার গুলোকে কঠিন বানিয়ে রেখেছি। বেশিরভাগ মানুষ তার প্রতিটি পদক্ষেপে কিছু বোকামি করে থাকে। এই বোকামি গুলোকেই আমরা নিয়ম মনে করে ফেলি এবং তাই হওয়াটা স্বাভাবিক ভাবি। যা পাওনি তার কথা ভাবার মতো অর্থহীন কাজ তুমি কেন করবে? তারচে বরং যা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে তার কথা ভাবো, কাজে আসবে।