-শেফালি
-বলো
-কিছু না
-সমস্যা টা কি তোমার? হ্যা?
-বললাম তো কিছু না।
-মানে কি এসবের? যত্তসব ঢং! কবার ডাকলে এখন পর্যন্ত? একটা কথাও কি বলেছো?
-কথা না থাকলে ডাকা যাবে না এমন কোন কথা আছে কি?
-তোমার সাথে বেরুলেই মাথা ধরে যায়। তাও এবার শেষ বার দেখে হলাম।
শেফালি কথাটা বলে চুপ করে থাকলো। রিকশা চলছে। আমিও মনের ভেতর কথার পাহাড় নিয়ে চুপ করে রইলাম।
একটু পর আমি রিকশা থামাতে বললাম। সাথে সাথে শেফালি বললো,
-আরে কি হল? রাগ করলে নাকি?"
-না।
-রিকশা থেকে নেমে গেলে কেন?
আমি শেফালির চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললাম, "হাটতে ইচ্ছে করছে। তোমার ইচ্ছে করলে আসতে পারো। নয়তো রিকশা করে বাসায় চলে যাও।"
শেফালি রিকশা থেকে নেমে ভাড়া চুকিয়ে আমার পিছু পিছু আসতে লাগল।
-হয়েছে কি তোমার?
-কিছু না
-ব্যাপারটা একটু বোঝার চেষ্টা করো। প্লিজ।
আমি শেফালির দিকে তাকালাম। কিছু একটা বলতে যেয়েও বলতে পারলাম না। পাথরের মতো কি যেন গলার কাছে এসে টুপ করে নিচে পড়ে গেল। আমি হাটতে লাগলাম। হয়তো শেফালিই ঠিক। এই মেয়ের সাথে যতো বেশি সময় থাকবো, যত বেশি সময় ধরে সে শুধু আমার রবে; পরে তত বেশি কষ্ট পাবো। হঠাৎ কয়েকটা মুহূর্তের জন্য আমি অনুভূতিহীন হয়ে গেলাম। ঠিক কিছু চিন্তা করতে পারলাম না। শেফালি পেছন থেকে ডাকছে, তবু আমার ইচ্ছে করছে না তার দিকে তাকাতে। শেফালি আমার সামনে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। ঠোট দুটো কানের কাছে এনে ফিসফিস করে বললো,
"তুমি কি সত্যিই বুঝো না? নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করো? আমাদের প্রেমের কোন ভবিষ্যৎ নেই।"