অধ্যায় একঃ
আমাদের গল্পগুলো এ শহরের,এই সময়ের। উদাসীন পৃথিবীতে স্বপ্ন দেখার কোন মানে
হয় না যেখানে জীবন নাশের ঘন্টা বাজার সময়
অনির্দিষ্ট । আসলেই কি অনির্দিষ্ট ঠিক তা নয় নির্দিষ্ট
তবে ক্ষন অজানা । তাই বলে আশা করতে মানা নেই
যে এক যুগ অথবা এক শতাব্দি বেঁচে থাকার । এই
আশা করাটার একটা বড় গুণ আছে তা হলো যে
কোন কিছু প্রাপ্তিতে তৃপ্তি মেলে । কিন্তু
ভালো তৃপ্তি কিংবা খারাপ তৃপ্তি পাওয়া সম্পূর্ন নির্ভর
করে মেনে নেওয়ার উপর । তবে এইজন্য
‘জীবন’কে কোনভাবেই দোষারোপ করা
যাবে না কারন সে ঘন্টা বাজার আগ পর্যন্ত বেঁচে
থাকার সুবিধা দেয় বলা যায় একটা প্যাকেজ ।
'জীবনটা অনেকগুলো চাকার একটা রেলগাড়ি। গাড়ির প্রতিটি কামরা জীবনের এক একটা মুহূর্ত। এখানে কত লোকের সাথে বন্ধুত্ব হবে,সম্পর্ক গড়ে উঠবে আবার ভেঙে যাবে এটাই নিয়ম। ঝালমুড়িওয়ালা,চানাচুরওয়ালা,সিগারেট বিক্রেতা,চা-ওয়ালা আরো কত কত জন! আর আমরা সবাই রেলগাড়ির কামরায় বসে বাইরের গাছপালা দেখা ভাঙা কাঁচের লোক। যাদের সবকিছুই নড়বড়ে। যেখানে আমরা একে অপরকে ভেতরের চোখে দেখি না,দেখি শুধু চামড়ার চোখে।'
অধ্যায় দুইঃ
আমাদের গল্পের চতুর্থ চরিত্রটি এই পৃথিবীতে কয়েক লাখ বছর ধরেই বসবাস করছে। সেটা হলো একটা তেলাপোকা। তেলাপোকার বর্তমানের সাথে মিশে যার আমাদের গল্পের অন্যান্য চরিত্রদের বর্তমান বা তাদের ভেতরকার আর এক বর্তমান। নারীর সাথে তেলাপোকার এক বর্তমান ভবিষ্যত জড়িয়ে আছে। যেটা কেবল কয়েক মুহূর্তের জন্য নারীর মনে ভয়ের সাথে আলতো ভালবাসা জাগিয়ে তোলে। আর সে সুযোগটাই পুরুষের মনে জন্ম দেয় কয়েক সহস্র কবিতার....